আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিক্ষোভে উত্তাল মেক্সিকো সিটি। ‘ফুয়েরা গ্রিঙ্গো’ স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজপথ। স্প্যানিশ এই স্লোগানের বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘মার্কিনরা বেরিয়ে যাও!’ এক মাসের বেশি সময় ধরে মার্কিন-ইউরোপীয়দের মেক্সিকো ভ্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।
গত ৪ জুলাই এই আন্দোলন শুরু হয়। ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। বিবিসি বলছে, মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের দিনই মেক্সিকোতে আন্দোলন শুরু কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবেই আন্দোলন শুরুর জন্য ওই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুরুতে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে সহিংস। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মুখোশধারী কিছু উগ্রপন্থীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবাউম। সহিংসতাকে ‘বিদেশীবিদ্বেষ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন যতই যৌক্তিক হোক, এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমার দেশে বেড়াতে আসা কাউকে আমি কোনোভাবেই বেরিয়ে যাও বলতে পারি না।’
কিন্তু পশ্চিমা পর্যটকদের প্রতি মেক্সিকানদের এই ক্ষোভ কেন? ঠিক কী কারণে তাদের ওপর এত চটেছে স্থানীয়রা?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেক্সিকোর অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা ‘কনদেসা’র প্রতি পাঁচটি বাড়ির একটিতে এখন পর্যটকদের বসবাস। শুধু কনদেসা নয়, রোমা, লা হুয়ারেজের মতো শহরগুলোতেও পরিস্থিতি একইরকম। যে কারণে, শহরগুলোর অনেক পুরোনো বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে হয়েছে, যা তাদের জন্য অনেক বড় ধাক্কা। এ ছাড়াও এসব জনপ্রিয় শহরগুলোর বেশির ভাগ রেস্তোরাঁয় এখন মেন্যু লেখা হচ্ছে ইংরেজিতে, পশ্চিমা পর্যটকদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মিলিয়ে খাবারের স্বাদেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। ছোট ছোট এই পরিবর্তনগুলোই গলার কাটা হয়ে বিঁধছে স্থানীয়দের।
এরিকা আগুইলার নামে এক মেক্সিকান বিবিসিকে জানান, ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে মেক্সিকো সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছিল তার পরিবার। ২০১৭ সালে হঠাৎ একদিন তাদের বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়। কারণ, ১৯২০ এর দশকে তৈরি হওয়া ওই পুরোনো ভবন ভেঙে এখন পর্যটকদের থাকার উপযোগী কমার্শিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট বানানো হবে।
এরিকা বলেন, ‘আপনি ভাবতে পারেন? যে বাড়িতে আমার পরিবার সেই ১৯৭৭ সাল থেকে বাস করছেন, হঠাৎ সেখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হলো। তারা আমাদের বলে হয় এক মাসের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে, নয়তো দুসপ্তাহের মধ্যে ২৯ লাখ ডলার দিয়ে ভবনটি কিনে নিতে পারি। এত টাকা আমরা পাব কোথায়?’
বাধ্য হয়ে ওই বাড়ি ছাড়তে হয় এরিকার পরিবারকে। কিন্তু ওই শহরের আর কোনো বাড়িতেই তাদের ঠাঁই হয়নি। বর্তমানে পাশের রাজ্যে বসবাস করছেন তারা। এরিকা জানান মেক্সিকো সিটি থেকে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। সমাজকর্মীরা এই ধরনের ঘটনাকে ‘কেন্দ্রের অধিকার হারানো’ বলে অভিহিত করছেন। সার্জিও গঞ্জালেজ নামের এক সমাজকর্মী বলেন, যে কোনো শহর বা দেশের প্রাণকেন্দ্রে বসবাসের অধিকার হারানো মানে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়া। তিনি আরও জানান, তিনি ও তার দল গত ১০ বছরে শুধু লা হুয়ারেজ এলাকাতেই ৪ হাজারের বেশি এমন ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এমনকি সার্জিও নিজেও উচ্ছেদের শিকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এক ধরনের নগর যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি। এখানে আসলে জমির অধিকার নিয়ে লড়াই চলছে—কে থাকবে আর কে থাকবে না তা নিয়ে লড়াই চলছে।’ তিনি জানান, তার এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া বেশির ভাগ বাসিন্দাই আর শহরে ফিরতে পারেনি। ফলে সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত অনেক অধিকার তারা হারিয়েছে।
সার্জিও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি এখানে প্রথম যে অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছিলাম, তার মাসিক ভাড়া ছিল প্রায় ৪ হাজার পেসো। আজ সেই একই অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া ১০ গুণেরও বেশি। এটা চরম অন্যায়।’
ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মুখে মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লারা ব্রুগাদা ১৪ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা, পুরোনো বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন সামাজিক আবাসন তৈরি করা। সার্জিও বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকার এখনো নব্য উদার অর্থনৈতিক মডেলকে উৎসাহিত করছে, যা বদলায়নি। যদিও তারা মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বাড়িয়েছে, যা আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালো মনে করি, কিন্তু এটি তাদের শাসনের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করেনি।’ মেয়রের এই পদক্ষেপগুলোকে তিনি ‘সাময়িক উপশম’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এগুলো অনেকটা ঘোড়া পালিয়ে যাওয়ার পর আস্তাবলের দরজা বন্ধ করার মতো।’
প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সমালোচকেরা বলছেন, তিনি যখন মেক্সিকো সিটির মেয়র ছিলেন, তখন এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং উল্টো ২০২২ সালে এয়ারবিএনবির সঙ্গে একটি চুক্তি করে পর্যটন এবং ডিজিটাল যাযাবরদের উৎসাহিত করেছেন শেইনবাউম, যা বিদেশিদের শহরে বসতি গড়তে আরও আকৃষ্ট করেছে।
এরিকা তার পরিবারের এই অবস্থার জন্য ভবনটির পুরোনো মালিক, নগর সরকার, এমনকি ভাড়াটেদেরও দোষ দেন। তার মতে, নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সময় মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তবে, বিদেশিদের খুব বেশি দোষারোপ করেন না তিনি। এরিকা বলেন, ‘যদি আমারও অন্য কোথাও ভালো থাকার সুযোগ হতো, তাহলে আমিও হয়তো তাই করতাম। আর পর্যটন মেক্সিকোর জন্য ভালো, এটি আয়ের একটা বড় উৎস।’
তবে বিক্ষোভ মিছিলের অনেক মানুষই এরিকার সঙ্গে একমত নন। তারা এই আমেরিকান এবং ইউরোপীয়দের দোষারোপ করেন। তারা অভিযোগ করেন যে এই বিদেশিরা মেক্সিকোর রীতিনীতি বোঝে না, স্প্যানিশ ভাষা শিখতে চায় না, এবং অনেক ক্ষেত্রেই করও দেয় না। তাদের আরও ক্ষোভ—ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকায় মেক্সিকোসহ অন্য অনেক দেশের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে মেক্সিকোতে মার্কিনদের এত আয়েশি জীবন যাপনের কোনো অধিকার নেই। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে যখন মেক্সিকান এবং অন্যান্য অভিবাসীদের সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন ধনী আমেরিকানরা দক্ষিণে চলে এসে বসতি স্থাপন করলে তা অবশ্যই অন্যায়। উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়াকে পশ্চিমারা ঠিক মনে করছে, কিন্তু দক্ষিণ থেকে উত্তর গেলেই সমস্যা। এটি কি দ্বিচারিতা নয়?’ প্রশ্ন তোলেন তারা।
বিক্ষোভে উত্তাল মেক্সিকো সিটি। ‘ফুয়েরা গ্রিঙ্গো’ স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজপথ। স্প্যানিশ এই স্লোগানের বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘মার্কিনরা বেরিয়ে যাও!’ এক মাসের বেশি সময় ধরে মার্কিন-ইউরোপীয়দের মেক্সিকো ভ্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।
গত ৪ জুলাই এই আন্দোলন শুরু হয়। ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। বিবিসি বলছে, মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের দিনই মেক্সিকোতে আন্দোলন শুরু কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবেই আন্দোলন শুরুর জন্য ওই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুরুতে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে সহিংস। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মুখোশধারী কিছু উগ্রপন্থীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেনবাউম। সহিংসতাকে ‘বিদেশীবিদ্বেষ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন যতই যৌক্তিক হোক, এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমার দেশে বেড়াতে আসা কাউকে আমি কোনোভাবেই বেরিয়ে যাও বলতে পারি না।’
কিন্তু পশ্চিমা পর্যটকদের প্রতি মেক্সিকানদের এই ক্ষোভ কেন? ঠিক কী কারণে তাদের ওপর এত চটেছে স্থানীয়রা?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেক্সিকোর অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা ‘কনদেসা’র প্রতি পাঁচটি বাড়ির একটিতে এখন পর্যটকদের বসবাস। শুধু কনদেসা নয়, রোমা, লা হুয়ারেজের মতো শহরগুলোতেও পরিস্থিতি একইরকম। যে কারণে, শহরগুলোর অনেক পুরোনো বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে হয়েছে, যা তাদের জন্য অনেক বড় ধাক্কা। এ ছাড়াও এসব জনপ্রিয় শহরগুলোর বেশির ভাগ রেস্তোরাঁয় এখন মেন্যু লেখা হচ্ছে ইংরেজিতে, পশ্চিমা পর্যটকদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মিলিয়ে খাবারের স্বাদেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। ছোট ছোট এই পরিবর্তনগুলোই গলার কাটা হয়ে বিঁধছে স্থানীয়দের।
এরিকা আগুইলার নামে এক মেক্সিকান বিবিসিকে জানান, ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে মেক্সিকো সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছিল তার পরিবার। ২০১৭ সালে হঠাৎ একদিন তাদের বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়। কারণ, ১৯২০ এর দশকে তৈরি হওয়া ওই পুরোনো ভবন ভেঙে এখন পর্যটকদের থাকার উপযোগী কমার্শিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট বানানো হবে।
এরিকা বলেন, ‘আপনি ভাবতে পারেন? যে বাড়িতে আমার পরিবার সেই ১৯৭৭ সাল থেকে বাস করছেন, হঠাৎ সেখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হলো। তারা আমাদের বলে হয় এক মাসের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে, নয়তো দুসপ্তাহের মধ্যে ২৯ লাখ ডলার দিয়ে ভবনটি কিনে নিতে পারি। এত টাকা আমরা পাব কোথায়?’
বাধ্য হয়ে ওই বাড়ি ছাড়তে হয় এরিকার পরিবারকে। কিন্তু ওই শহরের আর কোনো বাড়িতেই তাদের ঠাঁই হয়নি। বর্তমানে পাশের রাজ্যে বসবাস করছেন তারা। এরিকা জানান মেক্সিকো সিটি থেকে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। সমাজকর্মীরা এই ধরনের ঘটনাকে ‘কেন্দ্রের অধিকার হারানো’ বলে অভিহিত করছেন। সার্জিও গঞ্জালেজ নামের এক সমাজকর্মী বলেন, যে কোনো শহর বা দেশের প্রাণকেন্দ্রে বসবাসের অধিকার হারানো মানে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়া। তিনি আরও জানান, তিনি ও তার দল গত ১০ বছরে শুধু লা হুয়ারেজ এলাকাতেই ৪ হাজারের বেশি এমন ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এমনকি সার্জিও নিজেও উচ্ছেদের শিকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এক ধরনের নগর যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি। এখানে আসলে জমির অধিকার নিয়ে লড়াই চলছে—কে থাকবে আর কে থাকবে না তা নিয়ে লড়াই চলছে।’ তিনি জানান, তার এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া বেশির ভাগ বাসিন্দাই আর শহরে ফিরতে পারেনি। ফলে সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত অনেক অধিকার তারা হারিয়েছে।
সার্জিও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি এখানে প্রথম যে অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছিলাম, তার মাসিক ভাড়া ছিল প্রায় ৪ হাজার পেসো। আজ সেই একই অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া ১০ গুণেরও বেশি। এটা চরম অন্যায়।’
ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মুখে মেক্সিকো সিটির মেয়র ক্লারা ব্রুগাদা ১৪ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা, পুরোনো বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন সামাজিক আবাসন তৈরি করা। সার্জিও বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকার এখনো নব্য উদার অর্থনৈতিক মডেলকে উৎসাহিত করছে, যা বদলায়নি। যদিও তারা মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বাড়িয়েছে, যা আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালো মনে করি, কিন্তু এটি তাদের শাসনের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করেনি।’ মেয়রের এই পদক্ষেপগুলোকে তিনি ‘সাময়িক উপশম’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এগুলো অনেকটা ঘোড়া পালিয়ে যাওয়ার পর আস্তাবলের দরজা বন্ধ করার মতো।’
প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সমালোচকেরা বলছেন, তিনি যখন মেক্সিকো সিটির মেয়র ছিলেন, তখন এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং উল্টো ২০২২ সালে এয়ারবিএনবির সঙ্গে একটি চুক্তি করে পর্যটন এবং ডিজিটাল যাযাবরদের উৎসাহিত করেছেন শেইনবাউম, যা বিদেশিদের শহরে বসতি গড়তে আরও আকৃষ্ট করেছে।
এরিকা তার পরিবারের এই অবস্থার জন্য ভবনটির পুরোনো মালিক, নগর সরকার, এমনকি ভাড়াটেদেরও দোষ দেন। তার মতে, নিজেদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সময় মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তবে, বিদেশিদের খুব বেশি দোষারোপ করেন না তিনি। এরিকা বলেন, ‘যদি আমারও অন্য কোথাও ভালো থাকার সুযোগ হতো, তাহলে আমিও হয়তো তাই করতাম। আর পর্যটন মেক্সিকোর জন্য ভালো, এটি আয়ের একটা বড় উৎস।’
তবে বিক্ষোভ মিছিলের অনেক মানুষই এরিকার সঙ্গে একমত নন। তারা এই আমেরিকান এবং ইউরোপীয়দের দোষারোপ করেন। তারা অভিযোগ করেন যে এই বিদেশিরা মেক্সিকোর রীতিনীতি বোঝে না, স্প্যানিশ ভাষা শিখতে চায় না, এবং অনেক ক্ষেত্রেই করও দেয় না। তাদের আরও ক্ষোভ—ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকায় মেক্সিকোসহ অন্য অনেক দেশের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে মেক্সিকোতে মার্কিনদের এত আয়েশি জীবন যাপনের কোনো অধিকার নেই। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে যখন মেক্সিকান এবং অন্যান্য অভিবাসীদের সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন ধনী আমেরিকানরা দক্ষিণে চলে এসে বসতি স্থাপন করলে তা অবশ্যই অন্যায়। উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়াকে পশ্চিমারা ঠিক মনে করছে, কিন্তু দক্ষিণ থেকে উত্তর গেলেই সমস্যা। এটি কি দ্বিচারিতা নয়?’ প্রশ্ন তোলেন তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সার্জিও গোরকে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সী গোর শুধু ভারতের সঙ্গেই নয়, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দেখবেন।
২৯ মিনিট আগেবুলগেরিয়া যাওয়ার পথে ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের বিমানে জিপিএস জ্যামিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। ইসি জানিয়েছে, এর পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উরসুলা ভন ডার লিয়েনকে বহনকারী বিমানটি বুলগেরিয়ায় অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। যদিও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে
৩৮ মিনিট আগেকম্বোডিয়ার ফনম পেনের এক পার্কে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন জেসিকা ক্যারিয়াড হপকিন্স নামে এক ব্রিটিশ নারী। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন ও একটি তথাকথিত ‘ত্রিভুজ প্রেস’-এর জটিলতার কারণে। ৩৪ বছর বয়সী নিহত জেসিকা যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ারের হারপেনডেনের বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগেপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আজকের বিশেষ অধিবেশনে রাজ্যের বাইরে বাংলাভাষীদের ওপর বাড়তে থাকা হেনস্তা ও নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে