যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গতকাল শুক্রবার ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ১৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম ফায়ারিং স্কোয়াডে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
কারা কর্মকর্তারা জানান, ব্র্যাড সিগমন্ড (৬৭) নামের ওই ব্যক্তিকে গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে ব্রড রিভার কারেকশনাল ইনস্টিটিউশনে তিনজন স্বেচ্ছাসেবী কারারক্ষীর একটি ফায়ারিং স্কোয়াড গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
ব্র্যাড সিগমন্ড ২০০১ সালে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার মা-বাবাকে বেসবল ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সিগমন্ড তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি তাঁর প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যা করেন। সিগমন্ড আদালতে স্বীকারোক্তি দেন, ছুটির দিনে প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হত্যা করতে চেয়েছিলেন এবং নিজেও আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড এড়াতে সিগমন্ড সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। তবে আদালত তাঁর আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। পরবর্তী সময় সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টারও তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন।
মৃত্যুদণ্ডের জন্য সিগমন্ডকে লিথাল ইনজেকশন, বৈদ্যুতিক চেয়ার এবং ফায়ারিং স্কোয়াডের মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। তিনি ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি বেছে নেন। তবে তাঁর আইনজীবী জেরাল্ড কিং জানান, সিগমন্ডকে তাঁর মৃত্যুর পদ্ধতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
জেরাল্ড কিং বলেন, ‘প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশন বা ফায়ারিং স্কোয়াড—এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটি তিনি না বেছে নিলে, সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাচীন বৈদ্যুতিক চেয়ারে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব পদ্ধতিই ভয়াবহ। যদি তিনি প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশন বেছে নিতেন, তাহলে সাউথ ক্যারোলাইনার তিন ব্যক্তির মতো সিগমন্ডেরও দীর্ঘ ও কষ্টদায়ক মৃত্যুর ঝুঁকি থাকত।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে বেশির ভাগ মৃত্যুদণ্ড প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশনের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল ১৫ বছর আগে ২০১০ সালে, উটাহ রাজ্যে। অন্য তিনটি রাজ্য—আইডাহো, মিসিসিপি এবং ওকলাহোমাতেও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি আছে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগের বছর ২৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে আলাবামা রাজ্য আরও একধাপ এগিয়ে। সম্প্রতি নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এই রাজ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একটি মাস্কের মাধ্যমে গ্যাস পাম্প করে শ্বাসরোধে মৃত্যু ঘটানো হয়। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গ্যাস ব্যবহারের এই পদ্ধতিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গতকাল শুক্রবার ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ১৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম ফায়ারিং স্কোয়াডে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
কারা কর্মকর্তারা জানান, ব্র্যাড সিগমন্ড (৬৭) নামের ওই ব্যক্তিকে গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে ব্রড রিভার কারেকশনাল ইনস্টিটিউশনে তিনজন স্বেচ্ছাসেবী কারারক্ষীর একটি ফায়ারিং স্কোয়াড গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
ব্র্যাড সিগমন্ড ২০০১ সালে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার মা-বাবাকে বেসবল ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সিগমন্ড তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি তাঁর প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যা করেন। সিগমন্ড আদালতে স্বীকারোক্তি দেন, ছুটির দিনে প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হত্যা করতে চেয়েছিলেন এবং নিজেও আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড এড়াতে সিগমন্ড সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। তবে আদালত তাঁর আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। পরবর্তী সময় সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টারও তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন।
মৃত্যুদণ্ডের জন্য সিগমন্ডকে লিথাল ইনজেকশন, বৈদ্যুতিক চেয়ার এবং ফায়ারিং স্কোয়াডের মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি বেছে নিতে বলা হয়েছিল। তিনি ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি বেছে নেন। তবে তাঁর আইনজীবী জেরাল্ড কিং জানান, সিগমন্ডকে তাঁর মৃত্যুর পদ্ধতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
জেরাল্ড কিং বলেন, ‘প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশন বা ফায়ারিং স্কোয়াড—এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কোনো একটি তিনি না বেছে নিলে, সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাচীন বৈদ্যুতিক চেয়ারে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব পদ্ধতিই ভয়াবহ। যদি তিনি প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশন বেছে নিতেন, তাহলে সাউথ ক্যারোলাইনার তিন ব্যক্তির মতো সিগমন্ডেরও দীর্ঘ ও কষ্টদায়ক মৃত্যুর ঝুঁকি থাকত।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে বেশির ভাগ মৃত্যুদণ্ড প্রাণঘাতী লিথাল ইনজেকশনের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল ১৫ বছর আগে ২০১০ সালে, উটাহ রাজ্যে। অন্য তিনটি রাজ্য—আইডাহো, মিসিসিপি এবং ওকলাহোমাতেও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি আছে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগের বছর ২৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে আলাবামা রাজ্য আরও একধাপ এগিয়ে। সম্প্রতি নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এই রাজ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একটি মাস্কের মাধ্যমে গ্যাস পাম্প করে শ্বাসরোধে মৃত্যু ঘটানো হয়। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গ্যাস ব্যবহারের এই পদ্ধতিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় ব্ল্যাকআউট মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুদ্ধের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আজ রোববার (৪ মে) রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আধঘণ্টার জন্য এই এলাকার সব আলো বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সীমান্তের
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের ধারাবাহিক অবরোধ এবং শিশুখাদ্য, পুষ্টিকর উপাদান ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ফলে গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হতে যাচ্ছে। এ ছাড়াও প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু ‘মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে’ বলে জানিয়েছে অবরুদ্ধ গাজা প্রশাসন।
১০ ঘণ্টা আগেপেহেলগাম হামলার জেরে ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘আগ্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) তুলতে চায় পাকিস্তান। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা পরিষদকে ‘ব্রিফ করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানায়, তারা দূরপাল্লার অ্যারো-৩ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত থাড (THAAD) অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে। কিন্তু এত সব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া
১১ ঘণ্টা আগে