মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এ মাসেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। পাশাপাশি তিনি সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ আলোচনায় ইউক্রেন বাদ পড়ায় কিয়েভের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্লোরিডায় অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগোতে নিজের ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি এখনো চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আশা করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত।’
এর আগে রিয়াদে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
ট্রাম্প প্রথমবারের মতো রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের কাজের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা বলেন। তিনি বলেন, আলোচনার পর তিনি একটি চুক্তি হওয়ার বিষয়ে ‘অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনা খুবই চমৎকার হয়েছে। রাশিয়া কিছু একটা করতে চায়। তারা এই নৃশংস বর্বরতা বন্ধ করতে চায়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার আছে এবং বিষয়টি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।’ এরপর তিনি ইউক্রেনকে ভর্ৎসনা করেন তাদের বাদ পড়ার বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টারও বেশি দীর্ঘ এই আলোচনা থেকে তাঁর দেশকে বাদ দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমি শুনেছি তাঁরা আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ।’ এ সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যেসব ইউক্রেনীয় মনে করেন তাঁরা ‘বিশ্বাসঘাতকতার শিকার’—তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কী বলবেন।
ট্রাম্প ইউক্রেনের বাদ পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কিয়েভের তিন বছর আগেই রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা উচিত ছিল যাতে মস্কোর আগ্রাসন এড়ানো যেত। তিনি বলেন, ‘আজ আমি শুনেছি, “ওহ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ” কিন্তু তোমরা তো তিন বছর ধরে সেখানে আছ, এটা তো সে সময়ই শেষ করা উচিত ছিল...এটা শুরুই করা উচিত হয়নি। তোমরা একটা চুক্তি করতে পারতে।’
এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শন সাভেট এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টে বলেছেন, রাশিয়াই যুদ্ধ শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প দেখছি পুতিনের প্রচারণা পুরোপুরি বিশ্বাস করে নিয়েছেন।’
শন সাভেট আরও বলেন, ‘একটি সহজ কথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার: পুতিন বিনা উসকানিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন এবং তাঁর বাহিনী ইউক্রেনীয় জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়াই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।’
ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে বাইডেনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করেছে যাতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার আছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের নির্বাচন করা উচিত। এটি রাশিয়ার পক্ষ থেকে নয়, এটি আমার কাছ থেকে আসছে এবং আরও অনেক দেশের কাছ থেকেও।’ তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো যদি ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে চায়, তবে তিনি এর বিরোধিতা করবেন না।
ইউরোপীয় নেতারা একটি শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে সেনা উপস্থিত থাকলে ভালো, আমি একেবারেই এর বিরোধিতা করব না।’
তবে কিছু ইউরোপীয় নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ওয়াশিংটন মস্কোর কাছে বড় ধরনের ছাড় দিতে পারে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামো নতুনভাবে সাজাতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এ মাসেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। পাশাপাশি তিনি সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ আলোচনায় ইউক্রেন বাদ পড়ায় কিয়েভের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্লোরিডায় অবস্থিত নিজ বাসভবন মার-এ-লাগোতে নিজের ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি এখনো চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আশা করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত।’
এর আগে রিয়াদে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
ট্রাম্প প্রথমবারের মতো রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের কাজের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা বলেন। তিনি বলেন, আলোচনার পর তিনি একটি চুক্তি হওয়ার বিষয়ে ‘অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনা খুবই চমৎকার হয়েছে। রাশিয়া কিছু একটা করতে চায়। তারা এই নৃশংস বর্বরতা বন্ধ করতে চায়।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার আছে এবং বিষয়টি খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।’ এরপর তিনি ইউক্রেনকে ভর্ৎসনা করেন তাদের বাদ পড়ার বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টারও বেশি দীর্ঘ এই আলোচনা থেকে তাঁর দেশকে বাদ দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমি শুনেছি তাঁরা আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ।’ এ সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যেসব ইউক্রেনীয় মনে করেন তাঁরা ‘বিশ্বাসঘাতকতার শিকার’—তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কী বলবেন।
ট্রাম্প ইউক্রেনের বাদ পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কিয়েভের তিন বছর আগেই রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা উচিত ছিল যাতে মস্কোর আগ্রাসন এড়ানো যেত। তিনি বলেন, ‘আজ আমি শুনেছি, “ওহ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ” কিন্তু তোমরা তো তিন বছর ধরে সেখানে আছ, এটা তো সে সময়ই শেষ করা উচিত ছিল...এটা শুরুই করা উচিত হয়নি। তোমরা একটা চুক্তি করতে পারতে।’
এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শন সাভেট এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টে বলেছেন, রাশিয়াই যুদ্ধ শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প দেখছি পুতিনের প্রচারণা পুরোপুরি বিশ্বাস করে নিয়েছেন।’
শন সাভেট আরও বলেন, ‘একটি সহজ কথা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার: পুতিন বিনা উসকানিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন এবং তাঁর বাহিনী ইউক্রেনীয় জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়াই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।’
ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে বাইডেনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করেছে যাতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার আছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের নির্বাচন করা উচিত। এটি রাশিয়ার পক্ষ থেকে নয়, এটি আমার কাছ থেকে আসছে এবং আরও অনেক দেশের কাছ থেকেও।’ তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো যদি ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাতে চায়, তবে তিনি এর বিরোধিতা করবেন না।
ইউরোপীয় নেতারা একটি শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে সেনা উপস্থিত থাকলে ভালো, আমি একেবারেই এর বিরোধিতা করব না।’
তবে কিছু ইউরোপীয় নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ওয়াশিংটন মস্কোর কাছে বড় ধরনের ছাড় দিতে পারে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামো নতুনভাবে সাজাতে পারে।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
২ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে