কানাডা যদি অনিয়মিত অভিবাসী এবং অবৈধ মাদকের প্রবাহ বন্ধে সীমান্ত সুরক্ষিত না করে তাহলে ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরই তাদের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এ হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তার কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কানাডা। সীমান্তে উন্নত নজরদারি এবং আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠনের কথা ভাবছে ট্রুডো প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রুডোর চারজন মন্ত্রী এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে এ পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। এই পরিকল্পনায় নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনার বিস্তারিত ঘোষণা করতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রুডো প্রশাসনের নবনির্বাচিত অর্থ ও আন্তসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাং জানান, অবৈধ মাদক এবং অনিয়মিত অভিবাসনের প্রবাহ থেকে সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলো একই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি—মানুষ এবং পণ্যের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করবে।
পরিকল্পনায় রয়েছে—ফেন্টানাইল (মাদক) বাণিজ্য বন্ধ করা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ, মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় বাড়ানো এবং সীমান্তে যানবাহনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ।
প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—আকাশ থেকে নজরদারি টাস্ক ফোর্স, যেখানে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং বন্দরগুলোতে নজরদারি টাওয়ার থাকবে। অবৈধ মাদক শনাক্ত করতে পারবে এমন কুকুরকে প্রশিক্ষণের জন্য কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিকে (সিবিএসএ) তহবিল দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথগুলোর জন্য নতুন শনাক্তকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ সম্পর্কে লেব্ল্যাং বলেন, সিনথেটিক ড্রাগ ইউনিট, সম্প্রসারিত যৌথ বাহিনী এবং নতুন কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোযুক্ত দ্বিপক্ষীয় বিশেষ ফোর্স তৈরি করা হবে।
নতুন অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার এই পরিকল্পনার জন্য ১৩০ কোটি কানাডিয়ান ডলার (৯০ কোটি মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করবে।
লেব্ল্যাং জানান, তিনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আসন্ন ‘সীমান্ত প্রধান’ টম হোমানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
গত ১ বছরে যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্তে ২৩ হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা পুলিশ জানায়, গত চার বছরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত অঞ্চলে আরও বেশি ক্যামেরা এবং সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। তবে এসব অনুপ্রবেশকারীদের থামানো তাদের পক্ষে কঠিন বলে স্বীকার করেছে তাঁরা।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে কানাডায় প্রবেশ করার কথা ভাবছেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আমাদের অফিশিয়াল প্রবেশপথের বাইরে কানাডায় প্রবেশের চেষ্টা বিপজ্জনক।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কানাডা কম ভিসা মঞ্জুর করা এবং ভিসা–ধারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাদের অভিবাসন আইন সংশোধনের পরিকল্পনাও করেছে, যাতে জনস্বার্থে অভিবাসন নথি বাতিল, স্থগিত বা পরিবর্তন করা যায়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগের পর, সোমবার তড়িঘড়ি করে শপথ নেন ট্রুডোর দীর্ঘদিনের মিত্র লেব্ল্যাং।
ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক প্রস্থান ট্রুডোর সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার একটি লিবারেল হলিডে ইভেন্টে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘রাজনীতিতে সব সময় কঠিন দিন এবং বড় চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা কখনো এই মুহূর্তগুলো থেকে পিছু হটি না। আমরা কাজ করে যাই, তা সহজ হোক বা কঠিন।’
কানাডা যদি অনিয়মিত অভিবাসী এবং অবৈধ মাদকের প্রবাহ বন্ধে সীমান্ত সুরক্ষিত না করে তাহলে ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পরই তাদের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এ হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তার কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কানাডা। সীমান্তে উন্নত নজরদারি এবং আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠনের কথা ভাবছে ট্রুডো প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রুডোর চারজন মন্ত্রী এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে এ পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। এই পরিকল্পনায় নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনার বিস্তারিত ঘোষণা করতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রুডো প্রশাসনের নবনির্বাচিত অর্থ ও আন্তসরকার বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাং জানান, অবৈধ মাদক এবং অনিয়মিত অভিবাসনের প্রবাহ থেকে সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলো একই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি—মানুষ এবং পণ্যের মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করবে।
পরিকল্পনায় রয়েছে—ফেন্টানাইল (মাদক) বাণিজ্য বন্ধ করা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ, মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, তথ্য বিনিময় বাড়ানো এবং সীমান্তে যানবাহনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ।
প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—আকাশ থেকে নজরদারি টাস্ক ফোর্স, যেখানে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং বন্দরগুলোতে নজরদারি টাওয়ার থাকবে। অবৈধ মাদক শনাক্ত করতে পারবে এমন কুকুরকে প্রশিক্ষণের জন্য কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিকে (সিবিএসএ) তহবিল দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথগুলোর জন্য নতুন শনাক্তকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ সম্পর্কে লেব্ল্যাং বলেন, সিনথেটিক ড্রাগ ইউনিট, সম্প্রসারিত যৌথ বাহিনী এবং নতুন কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোযুক্ত দ্বিপক্ষীয় বিশেষ ফোর্স তৈরি করা হবে।
নতুন অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার এই পরিকল্পনার জন্য ১৩০ কোটি কানাডিয়ান ডলার (৯০ কোটি মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করবে।
লেব্ল্যাং জানান, তিনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আসন্ন ‘সীমান্ত প্রধান’ টম হোমানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
গত ১ বছরে যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্তে ২৩ হাজারেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা পুলিশ জানায়, গত চার বছরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সীমান্ত অঞ্চলে আরও বেশি ক্যামেরা এবং সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। তবে এসব অনুপ্রবেশকারীদের থামানো তাদের পক্ষে কঠিন বলে স্বীকার করেছে তাঁরা।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে কানাডায় প্রবেশ করার কথা ভাবছেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আমাদের অফিশিয়াল প্রবেশপথের বাইরে কানাডায় প্রবেশের চেষ্টা বিপজ্জনক।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কানাডা কম ভিসা মঞ্জুর করা এবং ভিসা–ধারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাদের অভিবাসন আইন সংশোধনের পরিকল্পনাও করেছে, যাতে জনস্বার্থে অভিবাসন নথি বাতিল, স্থগিত বা পরিবর্তন করা যায়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগের পর, সোমবার তড়িঘড়ি করে শপথ নেন ট্রুডোর দীর্ঘদিনের মিত্র লেব্ল্যাং।
ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক প্রস্থান ট্রুডোর সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার একটি লিবারেল হলিডে ইভেন্টে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘রাজনীতিতে সব সময় কঠিন দিন এবং বড় চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা কখনো এই মুহূর্তগুলো থেকে পিছু হটি না। আমরা কাজ করে যাই, তা সহজ হোক বা কঠিন।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৪ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৬ ঘণ্টা আগে