কানাডার পরবর্তী নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক খাতে কাজ করে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট ও পরিবর্তনের সময়ে দেশটির সরকারকে সহায়তা করেছেন। এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন বলেছে, রাজনৈতিক দুনিয়ায় নতুন হলেও কার্নির অর্থনৈতিক সংকট সামলানোর অভিজ্ঞতা তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তিনি এমন এক সময়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক উত্তেজনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গতকাল রোববার ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হন কার্নি। মজার বিষয় হলো, বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়া এই ব্যক্তিত্ব এর আগে কখনোই কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে বহু বছর ধরেই তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। লিবারেল পার্টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে দলে টানার চেষ্টা করছিল। অবশেষে ট্রুডোর সরকারকে করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার পর এবং গত জানুয়ারিতে ট্রুডোর পদত্যাগ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন কার্নি।
কার্নির জন্ম কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ফোর্ট স্মিথে এবং বড় হয়েছেন আলবার্টার অ্যাডমন্টনে। তার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি আইস হকি খেলতেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর থেকে রাজনীতির মঞ্চে
কার্নি একসময় টানা ১৩ বছর বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন লন্ডন, টোকিও, নিউইয়র্ক ও টরন্টোতে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাংক অব কানাডার সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০০৮ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হন। সে সময় বৈশ্বিক মন্দার ফলে বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল ছিল। তবে তিনি কানাডার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাঁর এই দক্ষতার কারণেই ব্যাংক অব কানাডার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। ব্রিটিশ ইতিহাসে একজন অ-ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে বসে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ অর্থনীতি
২০১৯ সালে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে জলবায়ু ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন কার্নি। তিনি আর্থিক খাতে কার্বন নিরপেক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন। তাঁর মতে, জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর থাকার সময়ই তিনি বিষয়টি অনুধাবন করেন।
তাঁর প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য হলো কানাডাকে কম-কার্বন অর্থনীতির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা। তিনি চান কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কার্বন ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানো।
বাণিজ্য যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির ফলে কানাডার পণ্যে ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এটি কানাডার অর্থনীতির জন্য এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কার্নি এই শুল্কের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন এবং পাল্টা শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার পরিবার, শ্রমিক ও ব্যবসাকে আক্রমণ করছেন। আমরা তাকে সফল হতে দেব না। হকির মতোই বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’
অর্থনীতিতে কার্নির গভীর দক্ষতা এবং সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কানাডার আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডার পরবর্তী নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক খাতে কাজ করে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট ও পরিবর্তনের সময়ে দেশটির সরকারকে সহায়তা করেছেন। এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন বলেছে, রাজনৈতিক দুনিয়ায় নতুন হলেও কার্নির অর্থনৈতিক সংকট সামলানোর অভিজ্ঞতা তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। তিনি এমন এক সময়ে দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক উত্তেজনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গতকাল রোববার ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হন কার্নি। মজার বিষয় হলো, বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়া এই ব্যক্তিত্ব এর আগে কখনোই কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে বহু বছর ধরেই তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। লিবারেল পার্টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে দলে টানার চেষ্টা করছিল। অবশেষে ট্রুডোর সরকারকে করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার পর এবং গত জানুয়ারিতে ট্রুডোর পদত্যাগ ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন কার্নি।
কার্নির জন্ম কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ফোর্ট স্মিথে এবং বড় হয়েছেন আলবার্টার অ্যাডমন্টনে। তার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি আইস হকি খেলতেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর থেকে রাজনীতির মঞ্চে
কার্নি একসময় টানা ১৩ বছর বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন লন্ডন, টোকিও, নিউইয়র্ক ও টরন্টোতে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাংক অব কানাডার সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০০৮ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হন। সে সময় বৈশ্বিক মন্দার ফলে বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল ছিল। তবে তিনি কানাডার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাঁর এই দক্ষতার কারণেই ব্যাংক অব কানাডার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। ব্রিটিশ ইতিহাসে একজন অ-ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে বসে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ অর্থনীতি
২০১৯ সালে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে জলবায়ু ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন কার্নি। তিনি আর্থিক খাতে কার্বন নিরপেক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন। তাঁর মতে, জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর থাকার সময়ই তিনি বিষয়টি অনুধাবন করেন।
তাঁর প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য হলো কানাডাকে কম-কার্বন অর্থনীতির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা। তিনি চান কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কার্বন ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানো।
বাণিজ্য যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির ফলে কানাডার পণ্যে ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এটি কানাডার অর্থনীতির জন্য এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কার্নি এই শুল্কের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন এবং পাল্টা শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার পরিবার, শ্রমিক ও ব্যবসাকে আক্রমণ করছেন। আমরা তাকে সফল হতে দেব না। হকির মতোই বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’
অর্থনীতিতে কার্নির গভীর দক্ষতা এবং সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কানাডার আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
৩৩ মিনিট আগেএনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় বাংকার বাস্টার বোমা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে অভিযান চালানো হয়, যা ছিল গত কয়েক বছরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
১ ঘণ্টা আগেতাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
২ ঘণ্টা আগে