Ajker Patrika

এবার ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন দিলেন নেতানিয়াহু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২৫
সোমবার নৈশভোজের সময় নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের চিঠি হস্তান্তর করেন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার নৈশভোজের সময় নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের চিঠি হস্তান্তর করেন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি বিশেষ উপহার নিয়ে এসেছিলেন। সেটি ছিল ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার একটি চিঠি।

নোবেল পুরস্কার ট্রাম্পের জন্য একটি চরম আকাঙ্ক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসনে, বিশেষ করে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধ অবসানে প্রচেষ্টার জন্য তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য।

২১ মাস ধরে চলা এই সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধান নেতানিয়াহুর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের ব্লু রুমে নৈশভোজের সময় ট্রাম্প এই বিষয়ে নেতানিয়াহুকে চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

তবে খাবার পরিবেশনের আগেই নেতানিয়াহু দ্রুত ট্রাম্পের শান্তি স্থাপনের সক্ষমতা তুলে ধরেন, যেখানে মধ্যস্থতাকারীরা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিশদ বিবরণ চূড়ান্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

নেতানিয়াহু টেবিলের অপর প্রান্ত থেকে ট্রাম্পের হাতে চিঠিটি তুলে দিতে গিয়ে বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আমাদের কথা বলার সময়ও একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করছেন। তাই আমি আপনাকে, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, নোবেল পুরস্কার কমিটিতে পাঠানো চিঠিটি দিতে চাই; আপনাকে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের চিঠি এটি, যা আপনার প্রাপ্য এবং আপনার এটি পাওয়া উচিত।’

ট্রাম্প এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় মুগ্ধ হয়ে উত্তর দেন, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এটা আমি জানতাম না। দারুণ! বিশেষ করে আপনার কাছ থেকে এটা পাওয়া খুবই অর্থবহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, বিবি।’

সোমবার নৈশভোজ শুরু হওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধ বন্ধ করছি। আমি যুদ্ধ বন্ধ করছি। এবং আমি মানুষের মৃত্যু দেখতে ঘৃণা করি।’

স্পষ্টতই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নোবেল পাওয়ার সেই লক্ষ্য অর্জনে নেতানিয়াহুকে একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে দেখেন ট্রাম্প। যদিও প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলি নেতাকে যখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে মনে করেছেন, তখন মাঝে মাঝে তাঁর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এখন ট্রাম্পকে হামাস ও নেতানিয়াহুকে এমন সব শর্তে সম্মত করাতে হবে, যা তারা আগে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাবে কি না, সে-সম্পর্কিত ভাষা নিয়ে উভয় পক্ষে তর্ক চলছে।

উল্লেখ্য, এর আগে হোয়াইট হাউসে এক বিরল মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার ঘোষণা দেন। পরে পাকিস্তান সরকার এ নিয়ে বিবৃতিও দেয়। এ নিয়ে পাকিস্তানেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ: নবনির্বাচিত ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

মোদিজি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই, তবে দিল্লিতে আপনার বোন বসে আছেন: ওয়াইসি

অধ্যক্ষকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হলো কলেজ থেকে

হাফ হাতা পোশাক পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত