Ajker Patrika

ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে পদত্যাগ করছেন হাজারো ফেডারেল কর্মী

রাজপথে বিক্ষোভরত ফেডারেল কর্মীরা। ছবি: এএফপি
রাজপথে বিক্ষোভরত ফেডারেল কর্মীরা। ছবি: এএফপি

আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ২০ লাখ ফেডারেল কর্মীকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আজ ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি কর্মীরা পদত্যাগ করেন, তাহলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের বেতন দেওয়া হবে। এই প্রস্তাব মেনে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার কর্মী। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

ট্রাম্প প্রশাসন আশা করেছিল, অন্তত ১০ শতাংশ কর্মী অর্থাৎ ফেডারেল সরকারের ২০ লাখেরও বেশি কর্মীর মধ্যে প্রায় ২ লাখ কর্মী এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। সেটি হলে সরকারের ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ কর্মসূচির শেষ দিনে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত কর্মী পদত্যাগে রাজি হয়েছেন।

গত ২৮ জানুয়ারি ফেডারেল কর্মীদের ‘বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচি’ সংক্রান্ত একটি ইমেইল পাঠিয়ে বলা হয়, যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি ছেড়ে দিতে রাজি হন, তাহলে তারা ৮ মাসের বেতনের সমান অর্থ পাবেন। এই চুক্তিতে রাজি থাকলে ‘রিজাইন’ (পদত্যাগ) শব্দটি লিখে ফিরতি ইমেইল দিতে বলা হয়।

এই প্রস্তাবের ব্যাপক সমালোচনা করেছিল ফেডারেল শ্রমিক ইউনিয়ন আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ (এএফজিই)। তারা এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল।

তাঁরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ফেডারেল কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রভাব বেশ ভয়াবহ হতে পারে। কার্যকর ফেডারেল সরকারের ওপর নির্ভরশীল আমেরিকানদের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্বাহী আদেশ ও নীতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হলো ফেডারেল সরকারকে এমন একটি বিষাক্ত পরিবেশে পরিণত করা, যেখানে কর্মচারীরা থাকতেও চাইলে থাকতে পারবে না।’

গতকাল বুধবারও সারাদেশে হাজার হাজার মানুষ এই সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। তবে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ট্রাম্প ব্যাপক হারে প্রশাসনিক কর্মচারী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনায় যারা সম্মতি দেবেন না, তাদের জন্য আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বারবার সরকারের আকার কমানো এবং ফেডারেল ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ট্রাম্প এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বলা হয়।

গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনতে ট্রাম্পের এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সব কর্মীকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এদিকে ফেডারেল কর্মচারীদের প্রতি বছরের অদল-বদলের হার বিশ্লেষণ করে অ-লাভজনক সংস্থা পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিস জানিয়েছে, ফেডারেল কর্মচারীদের বার্ষিক অপসারণ হার প্রায় ৬ শতাংশ, অর্থাৎ যারা ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বাই আউট’ প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ হয়তো এরইমধ্যে সরকারি চাকরি ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত