Ajker Patrika

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলপন্থি অবস্থানের অভিযোগে মাইক্রোসফটের সদর দপ্তরে কর্মীদের বিক্ষোভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সদর দপ্তরের একটি নির্দিষ্ট স্থানকে ‘ফ্রি জোন’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
সদর দপ্তরের একটি নির্দিষ্ট স্থানকে ‘ফ্রি জোন’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে মাইক্রোসফটের সদর দপ্তরে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক ডজন কর্মী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে মাইক্রোসফটের ইস্ট ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নো এজেডইউআরই ফর জেনোসাইড নামের একটি সংগঠন।

সদর দপ্তরের একটি নির্দিষ্ট স্থানকে ‘ফ্রি জোন’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ‘জয়েন দ্য ওয়ার্কার ইন্তিফাদা-নো লেবার ফর জেনোসাইড’, ‘মার্টায়ারড প্যালেস্টিনিয়ান চিলড্রেনস প্লাজা’র মতো স্লোগান।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইউনিট ৮২০০’ মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সিস্টেমে ফিলিস্তিনিদের ফোনকলের রেকর্ড সংরক্ষণ করছে বলছে সম্প্রতি এক যৌথ প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি ম্যাগাজিন +৯৭২ এবং হিব্রু ভাষার প্রকাশনা লোকাল কল।

মাইক্রোসফট অবশ্য জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো নজরদারি বা সাধারণ মানুষের কল রেকর্ড সংগ্রহ সম্পর্কে অবগত নয়। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, স্বাধীন তদন্তে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নাসরিন জারাদাত নামের এক কর্মী বলেন, ‘গাজায় প্রতিটি সেকেন্ড এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সেকেন্ডে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। মানুষ বোমায়-গুলিতে-ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ হোসাম নাসের নামের নামের আরেক বিক্ষোভকারী জানান তিনি তিন বছর ধরে মাইক্রোসফটে কাজ করেছেন। মাইক্রোসফট ইসরায়েলের কাছে প্রযুক্তি বিক্রি করছে এ নিয়ে আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি, আল-জাজিরার সাংবাদিক আল-শরীফের মৃত্যুর পর সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এবং ওই ঘটনার পরই বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করাকে নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছেন তিনি।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই ঘণ্টা প্রতিবাদ কর্মসূচি চলার পর পুলিশ এসে কর্মীদের চলে যেতে বলে। না গেলে গ্রেপ্তার করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানান যায়। এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে ওই স্থান ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র।

মাইক্রোসফটের রেডমন্ড ক্যাম্পাসে প্রায় ৪৭ হাজার কর্মী কাজ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৩০ জনের নামে মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনেই জয়ী হবে জামায়াত: মাওলানা হালিম

আক্কেলপুরে ‘একঘরে’ করে রাখা দিনমজুরকে মারধর, থানায় মামলা

‘কথিত আওয়ামী লীগ সদস্যদের’ বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিষয়ে ভারত অবহিত নয়: মুখপাত্র

কলকাতার নিউটাউনে বসে আয়েশ করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত