অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলেই নাগরিকত্ব পাওয়ার যে সাংবিধানিক অধিকার আছে, তা আংশিকভাবে বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী এবং অস্থায়ী ভিসাধারী বাবা-মায়ের সন্তানদের আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লক্ষাধিক শিশু নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের আদেশে সবার জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে না। এটি প্রযোজ্য শুধু অবৈধ অভিবাসী অথবা অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ঘরে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে।
পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শিশু। এই সংখ্যা ২০০৭ সালের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কম। তবে ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২ লাখে।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হলে ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ‘নাগরিকত্বহীন’ মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৭ লাখে।
ট্রাম্প ইতিপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি কাউকে পরিবার বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। তাই পরিবারকে একসঙ্গে রাখতে হলে সবাইকে একসঙ্গেই ফেরত পাঠাতে হবে।’
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৮৬৮ সালে গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্ত হওয়া এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বা নাগরিকত্ব পাওয়া সব ব্যক্তি, যারা এখানকার আইনের অধীন, তারা এই দেশের নাগরিক।’
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই আইন অবৈধ অভিবাসী কিংবা অস্থায়ীভাবে অবস্থানরতদের সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তারা আরও বলছে, ১৮৯৮ সালের ‘ইউনাইটেড স্টেটস বনাম ওং কিম আর্ক’ মামলার রায় কেবল তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যাদের অভিভাবকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী আবাস ও বসবাস ছিল।
রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন জনগণের মাত্র ২৪ শতাংশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পক্ষে, আর ৫২ শতাংশ এর বিপক্ষে। রিপাবলিকানদের মধ্যে সমর্থন বেশি—প্রায় ৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ এই নীতির পক্ষে।
এদিকে, আজ শুক্রবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন এই আদেশের ওপর কোনো ‘সর্বজনীন স্থগিতাদেশ’ না জারি করেন। এতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আইনি বাধা অতিক্রম করে বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলেই নাগরিকত্ব পাওয়ার যে সাংবিধানিক অধিকার আছে, তা আংশিকভাবে বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী এবং অস্থায়ী ভিসাধারী বাবা-মায়ের সন্তানদের আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লক্ষাধিক শিশু নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের আদেশে সবার জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে না। এটি প্রযোজ্য শুধু অবৈধ অভিবাসী অথবা অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ঘরে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে।
পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার শিশু। এই সংখ্যা ২০০৭ সালের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কম। তবে ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২ লাখে।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হলে ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ‘নাগরিকত্বহীন’ মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৭ লাখে।
ট্রাম্প ইতিপূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি কাউকে পরিবার বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। তাই পরিবারকে একসঙ্গে রাখতে হলে সবাইকে একসঙ্গেই ফেরত পাঠাতে হবে।’
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৮৬৮ সালে গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্ত হওয়া এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বা নাগরিকত্ব পাওয়া সব ব্যক্তি, যারা এখানকার আইনের অধীন, তারা এই দেশের নাগরিক।’
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই আইন অবৈধ অভিবাসী কিংবা অস্থায়ীভাবে অবস্থানরতদের সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তারা আরও বলছে, ১৮৯৮ সালের ‘ইউনাইটেড স্টেটস বনাম ওং কিম আর্ক’ মামলার রায় কেবল তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যাদের অভিভাবকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী আবাস ও বসবাস ছিল।
রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন জনগণের মাত্র ২৪ শতাংশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পক্ষে, আর ৫২ শতাংশ এর বিপক্ষে। রিপাবলিকানদের মধ্যে সমর্থন বেশি—প্রায় ৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ এই নীতির পক্ষে।
এদিকে, আজ শুক্রবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন এই আদেশের ওপর কোনো ‘সর্বজনীন স্থগিতাদেশ’ না জারি করেন। এতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আইনি বাধা অতিক্রম করে বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মার্কিন মাটি থেকে দেওয়া পারমাণবিক হুমকি ঘিরে বিশ্বরাজনীতিতে তোলপাড়। মুনির বলেছেন, আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, প্রয়োজনে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাব। তাঁর এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখায় চাপে পাকিস্তান। এই আবহে দেশটির সাবেক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো গতকাল সোমবার সিন্ধে এক সমাবেশে বলেছেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায়, তবে ছয়টি নদীর পানি পাওয়ার জন্য যুদ্ধ ছাড়া বিকল্প থাকবে না।’ তাঁর মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কে।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা নিয়ে কড়া অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভারত থেকে বাণিজ্যিক লেনদেনের অর্থ রাশিয়া ব্যবহার করছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে। এর জেরেই ভারতীয় পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নতুন...
৩ ঘণ্টা আগেসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
৫ ঘণ্টা আগে