Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রেও মাস্কমুক্তির ঘোষণা, বিভ্রান্তিতে মার্কিনরা

যুক্তরাষ্ট্রেও মাস্কমুক্তির ঘোষণা, বিভ্রান্তিতে মার্কিনরা

ওয়াশিংটন ডিসি: ইসরায়েল ৫০ লাখের বেশি মানুষকে ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা দিয়েছে। সে হিসাবে ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের বেশিরভাগই টিকার দুই ডোজ পেয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণও বেশ কম। এ পরিস্থিতিতে গত মাসের মাঝামাঝিতেই ঘরের বাইরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয় দেশটি। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুলও।

এবার মাস্কমুক্তির স্বাদ পেতে যাচ্ছে মার্কিনরা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, ফাইজার এবং মডার্নার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর ঘরের ভেতরে বা বাইরে থাকার সময় মাস্ক না পরলেও চলবে। একক ডোজের টিকা জনসন অ্যান্ড জনসনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সিডিসির এই নতুন নির্দেশিকা ইঙ্গিত করে যে, বাইডেন প্রশাসন দ্রুত টিকাদান কর্মসূচির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। যেখানে ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশকে ওই তিনটি টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা ১১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৯ জন।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই এমন ঘোষণা দেয় সিডিসি। এ নিয়ে অনেকে এখনো অনেকটা বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন। বিশেষ করে গণপরিবহন, শপিং সেন্টারের মতো সেবা সংস্থায় যারা কাজ করেন তারা ধন্দে পড়েছেন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকাকালীন মাস্ক পরা নিয়ে কম হুজ্জত হয়নি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিজেও মাস্কের বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে সিডিসির সঙ্গে বারবার তার দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। শুরু থেকে স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সিডিসিকে বেশ কঠোর বলেই মনে হয়েছে। সেই সংস্থা এখন হঠাৎ করেই বিধিনিষেধ এতো শিথিল করায় অনেকে সমালোচনাও করছেন।

সিডিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন অবধি যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ ও এর বেশি বয়সীদের প্রায় ৪৬ শতাংশ টিকার পূর্ণ ডোজ পেয়েছে। ফলে সিডিসির এই সিদ্ধান্তকে অনেকে স্ববিরোধী বলে মনে করছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটিকে আমেরিকানদের বড় মুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত