দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেই নজির গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদে বসালেন সুজি ওয়াইলসকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারীকে এই পদে বসানো হলো।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজর কেড়েছেন ৬৭ বছর বয়সী এই নারী। রাজনীতির প্যাঁচপয়জার ভালোই বোঝেন তিনি। সব থেকে ভালো বোঝেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জটিল রাজনৈতিক চরিত্র। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পে প্রচার কৌশল অনেকটাই নির্ভর করেছে তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুজি একজন দক্ষ রাজনৈতিক কৌশলী। সুজির হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ পদে বসার কথা এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে কে এই নারী?
সুজি ওয়াইলস ১৯৫৭ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সঞ্চালক প্যাট সামারওলের কন্যা। ওয়াইলস দীর্ঘদিন ধরেই ‘রাজনৈতিক কৌশলবিদ’ বা পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করে আসছেন।
তাঁর রাজনৈতিক সফর শুরু হয় ১৯৭০-এর দশকে ওয়াশিংটন থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি রিপাবলিকান মার্কিন প্রতিনিধি জ্যাক কেম্প ও টিলি ফাউলারের হয়ে কাজ করেন। ১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগ্যানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছেন। পরবর্তীতে রোনাল্ড রিগ্যানের প্রচার কর্মসূচি ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন সুজি। এরপরে ক্রমে তিনি ফ্লোরিডার রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা ব্যবসায়ী সামরিক সটকে মাত্র সাত মাসের প্রচার চালিয়ে ফ্লোরিডার গভর্নর করেন সুজি। বর্তমানে স্কট যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর। ২০১২ সালে উটাহর সাবেক গভর্নর জন হান্টসম্যান জুনিয়রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০১৫ সালে রিপাবলিকান প্রাইমারির সময় সুজির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় হয় এবং তিনি ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের প্রচার ক্যাম্পের সহসভাপতি হিসেবে কাজ করেন। এই প্রচারণার সফলতায় ট্রাম্প ফ্লোরিডায় হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
এ ছাড়া তিনি ২০১৬ ও ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হওয়ার পর গভর্নর রন ডিসান্টিস সুজানকে সফলতার কৃতিত্ব ও ‘ব্যবসার সেরা’ উপাধি দেন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও দেখালেন নিজের কারিশমা। ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের মতে, সুজি ওয়াইলস ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘উইনিং ক্যাম্পেন ম্যানেজার’। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কৌশল যে কার্যকর হয়েছে, তার কৃতিত্ব সরাসরি সুজির।
রিপাবলিকান পার্টি সম্পর্কে সুজি ওয়াইলস বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে (এক দশক আগে) পার্টিতে শিষ্টাচার ও ভদ্রতার একটি নির্দিষ্ট মান বজায় থাকত। তবে বর্তমানে পার্টি অনেকটাই বদলেছে। এখন পরিবর্তনগুলোকে মানিয়ে নিতে হবে যাতে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফকে প্রেসিডেন্টের প্রধান সহকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রতিটি প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি হোয়াইট হাউস পরিচালনার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের স্টাফ গঠন ও পরিচালনা করেন। চিফ অব স্টাফ দৈনিক কর্মকাণ্ড তদারকি করেন এবং নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন। এ ছাড়া নীতি বিকাশে দিকনির্দেশনা প্রদান ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বও তাঁর।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেই নজির গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদে বসালেন সুজি ওয়াইলসকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারীকে এই পদে বসানো হলো।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজর কেড়েছেন ৬৭ বছর বয়সী এই নারী। রাজনীতির প্যাঁচপয়জার ভালোই বোঝেন তিনি। সব থেকে ভালো বোঝেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জটিল রাজনৈতিক চরিত্র। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পে প্রচার কৌশল অনেকটাই নির্ভর করেছে তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুজি একজন দক্ষ রাজনৈতিক কৌশলী। সুজির হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ পদে বসার কথা এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে কে এই নারী?
সুজি ওয়াইলস ১৯৫৭ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সঞ্চালক প্যাট সামারওলের কন্যা। ওয়াইলস দীর্ঘদিন ধরেই ‘রাজনৈতিক কৌশলবিদ’ বা পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করে আসছেন।
তাঁর রাজনৈতিক সফর শুরু হয় ১৯৭০-এর দশকে ওয়াশিংটন থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি রিপাবলিকান মার্কিন প্রতিনিধি জ্যাক কেম্প ও টিলি ফাউলারের হয়ে কাজ করেন। ১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগ্যানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছেন। পরবর্তীতে রোনাল্ড রিগ্যানের প্রচার কর্মসূচি ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন সুজি। এরপরে ক্রমে তিনি ফ্লোরিডার রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা ব্যবসায়ী সামরিক সটকে মাত্র সাত মাসের প্রচার চালিয়ে ফ্লোরিডার গভর্নর করেন সুজি। বর্তমানে স্কট যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর। ২০১২ সালে উটাহর সাবেক গভর্নর জন হান্টসম্যান জুনিয়রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০১৫ সালে রিপাবলিকান প্রাইমারির সময় সুজির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় হয় এবং তিনি ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের প্রচার ক্যাম্পের সহসভাপতি হিসেবে কাজ করেন। এই প্রচারণার সফলতায় ট্রাম্প ফ্লোরিডায় হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
এ ছাড়া তিনি ২০১৬ ও ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিস্যান্টিসের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হওয়ার পর গভর্নর রন ডিসান্টিস সুজানকে সফলতার কৃতিত্ব ও ‘ব্যবসার সেরা’ উপাধি দেন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও দেখালেন নিজের কারিশমা। ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের মতে, সুজি ওয়াইলস ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘উইনিং ক্যাম্পেন ম্যানেজার’। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কৌশল যে কার্যকর হয়েছে, তার কৃতিত্ব সরাসরি সুজির।
রিপাবলিকান পার্টি সম্পর্কে সুজি ওয়াইলস বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে (এক দশক আগে) পার্টিতে শিষ্টাচার ও ভদ্রতার একটি নির্দিষ্ট মান বজায় থাকত। তবে বর্তমানে পার্টি অনেকটাই বদলেছে। এখন পরিবর্তনগুলোকে মানিয়ে নিতে হবে যাতে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফকে প্রেসিডেন্টের প্রধান সহকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রতিটি প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি হোয়াইট হাউস পরিচালনার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের স্টাফ গঠন ও পরিচালনা করেন। চিফ অব স্টাফ দৈনিক কর্মকাণ্ড তদারকি করেন এবং নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন। এ ছাড়া নীতি বিকাশে দিকনির্দেশনা প্রদান ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বও তাঁর।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২৬ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩৯ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে