Ajker Patrika

আদালত রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, ট্রাম্পকে বিচারকের তিরস্কার

আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ৫৩
আদালত রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, ট্রাম্পকে বিচারকের তিরস্কার

সম্পত্তির তথ্য জালিয়াতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে ডাকা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের জিজ্ঞাসার বিপরীতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাম্পকে আদালত বলেন, আদালতকক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। বিচারকের প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্পকে দিতেই হবে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার নিউইয়র্ক আদালতে ট্রাম্পের ব্যবসায় তথ্য জালিয়াতিসংক্রান্ত মামলা ওঠে। সেখানেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিচারকের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যখন কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন, সে সময় নিজের ব্যবসা ও সম্পত্তির মূল্য বা ভ্যালু কম দেখিয়েছেন। আবার সেই সম্পত্তি বিক্রির সময় ভ্যালু অনেকটাই বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। এই মামলায় ট্রাম্পের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অভিযুক্ত। এরই মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দোষী বলে ঘোষণা করেছেন বিচারক। 

সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানির দিন-তারিখ। ট্রাম্প টেস্টিমোনিয়াল বা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কাঠগড়ায় উঠলে বিচারক সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু বিচারক যে প্রশ্নই করেছেন, ট্রাম্প তার জবাব ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অধিকাংশ সময় একই কথা বারবার বলে গেছেন। এ নিয়ে বিচারক আর্থার অ্যাঙ্গরনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কি হয় ট্রাম্পের। 

আদালতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, বিচারক আর্থার কখনোই তাঁর পক্ষে রায় দেন না। ট্রাম্পকে অপমান করার জন্যই তিনি আছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এই বিচার চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

উত্তরে বিচারক বলেছেন, আদালতের বাইরে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে যত খুশি অভিযোগ আনতে পারেন। কিন্তু আদালতকক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্পকে দিতেই হবে। ট্রাম্প আদালতের সময় নষ্ট করছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন বিচারক। 

উল্লেখ্য, এর আগেও বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং আদালত অবমাননার দায়ে দুবার জরিমানা করা হয় ট্রাম্পকে। সে সময় ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলা হয়, ট্রাম্প যদি আবারও আদালতের আদেশ অমান্য করেন বা আদালতের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি তাঁকে জেলে পাঠানোও হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত