করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট আগের যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে মারাত্মক। এটি জলবসন্তের মতো খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি টিকা নেওয়া ব্যক্তিও টিকা না নেওয়া ব্যক্তির মতো ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, টিকা নেওয়া থাকলে সংক্রমণ গুরুতর হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয় না বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও দরকার পড়ে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রথম এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অবশ্য পরে নথির তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিডিসির পরিচালক ড. রোশেল ওয়ালেনস্কি।
সিডিসি পরিচালক বলেন, ‘আমার মনে হয়, জনসাধারণকে এটা বুঝতে হবে যে, আমরা রাখাল বালকের মিথ্যা বাঘের গল্পের মতো বলছি না। ব্যাপারটা সত্যিই গুরুতর। এটি আমাদের জানা সবচেয়ে সংক্রামক ভাইরাসগুলোর একটি। এটি হাম, জলবসন্তের মতো। যেটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ জুলাই) সিডিসির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে। সিডিসি পরিচালক ওয়ালেনস্কির ঘোষিত নতুন যে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে এই নথি সেটিকেই সমর্থন করবে। গত মঙ্গলবার সিডিসির সুপারিশে বলা হয়, টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এমন ঘরের ভেতরে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মী এবং দর্শনার্থীদের অবশ্যই সব সময় মাস্ক পরতে হবে।
ওয়ালেনস্কি বলেন, এটি (ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট) নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে ব্যবস্থা দরকার– সেটি একটা চরম পদক্ষেপ। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সিডিসির তথ্য–উপাত্ত অনুযায়ী, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট জলবসন্তের মতোই সংক্রামক। সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে আট বা নয়জনকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। যেখানে করোনাভাইরাসের মূল ভ্যারিয়েন্টটি সাধারণ সর্দি–জ্বরের মতো একজন ব্যক্তি থেকে দুজনের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার সক্ষমতা ছিল।
এই সংক্রমণ সক্ষমতাকে বলে আর–জিরো। ড. ওয়ালেনস্কি বলেন, যখন আপনি এমন রোগের কথা ভাবেন যেটির আর–জিরো আট বা নয়– এমন সংক্রমণ সক্ষমতার জীবাণু কিন্তু খুব বেশি নেই। পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া কেউ যদি সংক্রমিত হন, তাঁর শরীরে সেই পরিমাণ ভাইরাসই থাকতে পারে যে পরিমাণ থাকে টিকা না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে। এর অর্থ, তাঁরা টিকা না নেওয়া সংক্রমিত ব্যক্তিদের মতোই অন্যকে সংক্রামিত করতে পারেন।
সিডিসির নথি বিশ্লেষণ করেছেন এমোরি ভ্যাকসিন সেন্টারের প্রধান ডা. ওয়াল্টার ওরেস্টেইন। তিনি বলেন, মূল কথাটি হলো, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থ না হলেও, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, টিকা না নেওয়া সংক্রমিত ব্যক্তির মতো সমপরিমাণে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন।
তবে টিকা নেওয়া মানুষ নিরাপদ– সিডিসির নথিতে এমন পর্যবেক্ষণই উঠে এসেছে। সিডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকা ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। কিন্তু টিকা সংক্রমণ বা সংক্রমণ প্রতিরোধে খুব একটা কার্যকর নাও হতে পারে। সুতরাং, টিকা নেওয়া সত্ত্বেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও টিকা গুরুতর সংক্রমণ বা মৃত্যু ঝুঁকি ১০ গুণ কমায় এবং সংক্রমিত বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ কমায়।
এ পরিস্থিতিতে ‘যুদ্ধ কৌশল’ পরিবর্তনের কথা বলেছে সিডিসি। ব্যাপকভাবে টিকা প্রয়োগ এবং সর্বজনীন মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সেসব এলাকাতেই সংক্রমণ বেড়েছে যেখানে কম লোকে টিকা নিয়েছেন।
সুতরাং, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের কার্যকরী উপায় হিসেবে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরার কোনো বিকল্প আপাতত বিজ্ঞানীদের হাতে নেই।
করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট আগের যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে মারাত্মক। এটি জলবসন্তের মতো খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি টিকা নেওয়া ব্যক্তিও টিকা না নেওয়া ব্যক্তির মতো ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, টিকা নেওয়া থাকলে সংক্রমণ গুরুতর হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয় না বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও দরকার পড়ে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রথম এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অবশ্য পরে নথির তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিডিসির পরিচালক ড. রোশেল ওয়ালেনস্কি।
সিডিসি পরিচালক বলেন, ‘আমার মনে হয়, জনসাধারণকে এটা বুঝতে হবে যে, আমরা রাখাল বালকের মিথ্যা বাঘের গল্পের মতো বলছি না। ব্যাপারটা সত্যিই গুরুতর। এটি আমাদের জানা সবচেয়ে সংক্রামক ভাইরাসগুলোর একটি। এটি হাম, জলবসন্তের মতো। যেটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ জুলাই) সিডিসির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে। সিডিসি পরিচালক ওয়ালেনস্কির ঘোষিত নতুন যে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে এই নথি সেটিকেই সমর্থন করবে। গত মঙ্গলবার সিডিসির সুপারিশে বলা হয়, টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এমন ঘরের ভেতরে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক–শিক্ষার্থী, কর্মী এবং দর্শনার্থীদের অবশ্যই সব সময় মাস্ক পরতে হবে।
ওয়ালেনস্কি বলেন, এটি (ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট) নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে ব্যবস্থা দরকার– সেটি একটা চরম পদক্ষেপ। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সিডিসির তথ্য–উপাত্ত অনুযায়ী, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট জলবসন্তের মতোই সংক্রামক। সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে আট বা নয়জনকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। যেখানে করোনাভাইরাসের মূল ভ্যারিয়েন্টটি সাধারণ সর্দি–জ্বরের মতো একজন ব্যক্তি থেকে দুজনের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার সক্ষমতা ছিল।
এই সংক্রমণ সক্ষমতাকে বলে আর–জিরো। ড. ওয়ালেনস্কি বলেন, যখন আপনি এমন রোগের কথা ভাবেন যেটির আর–জিরো আট বা নয়– এমন সংক্রমণ সক্ষমতার জীবাণু কিন্তু খুব বেশি নেই। পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া কেউ যদি সংক্রমিত হন, তাঁর শরীরে সেই পরিমাণ ভাইরাসই থাকতে পারে যে পরিমাণ থাকে টিকা না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে। এর অর্থ, তাঁরা টিকা না নেওয়া সংক্রমিত ব্যক্তিদের মতোই অন্যকে সংক্রামিত করতে পারেন।
সিডিসির নথি বিশ্লেষণ করেছেন এমোরি ভ্যাকসিন সেন্টারের প্রধান ডা. ওয়াল্টার ওরেস্টেইন। তিনি বলেন, মূল কথাটি হলো, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থ না হলেও, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, টিকা না নেওয়া সংক্রমিত ব্যক্তির মতো সমপরিমাণে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন।
তবে টিকা নেওয়া মানুষ নিরাপদ– সিডিসির নথিতে এমন পর্যবেক্ষণই উঠে এসেছে। সিডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকা ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। কিন্তু টিকা সংক্রমণ বা সংক্রমণ প্রতিরোধে খুব একটা কার্যকর নাও হতে পারে। সুতরাং, টিকা নেওয়া সত্ত্বেও ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও টিকা গুরুতর সংক্রমণ বা মৃত্যু ঝুঁকি ১০ গুণ কমায় এবং সংক্রমিত বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ কমায়।
এ পরিস্থিতিতে ‘যুদ্ধ কৌশল’ পরিবর্তনের কথা বলেছে সিডিসি। ব্যাপকভাবে টিকা প্রয়োগ এবং সর্বজনীন মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সেসব এলাকাতেই সংক্রমণ বেড়েছে যেখানে কম লোকে টিকা নিয়েছেন।
সুতরাং, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের কার্যকরী উপায় হিসেবে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরার কোনো বিকল্প আপাতত বিজ্ঞানীদের হাতে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
২ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৩ ঘণ্টা আগে