আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবর্জনা ফেলার বড় কনটেইনার উপচে পড়ছে ব্যাগ। ভনভন করছে মাছি। গ্রীষ্মের রোদে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় শহরগুলোর চিত্র বলতে গেলে এখন এমনই।
কারণ দেশটির বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রিপাবলিক সার্ভিসেসের ২ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বর্জ্য সংগ্রহে অনীহা জানিয়ে ধর্মঘটে রয়েছেন। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পৌরসভার সঙ্গে চুক্তি করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে থাকে।
রিপাবলিক সার্ভিসেসের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী টিমস্টারস ইউনিয়ন জানিয়েছে, অন্যান্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চেয়ে তাদের অনেক কম বেতন দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাও কম।
কোম্পানিটি বলছে, টিমস্টারস ইউনিয়ন আপস করতে রাজি নয়। ফলে আবর্জনারও কোনো গতি হচ্ছে না।
বিবিসি জানিয়েছে, ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
ম্যাসাচুসেটসের মালডেন শহরের ট্রাকচালক মাইক অর্তিজ বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় এখন অনেক বেশি। তারা (কোম্পানি) যা প্রস্তাব করছে, তা দিয়ে আমি এক মাসও চলতে পারব না।’
ধর্মঘট সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিপাবলিক সার্ভিসেস ও টিমস্টারস ইউনিয়ন স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিরোধ নিষ্পত্তি করলেও এখনো অনেক কর্মী ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটের প্রভাব
বোস্টনের উত্তরে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে সমুদ্রতীরবর্তী শহর গ্লুচেস্টারে লোনা বাতাসের তীব্র গন্ধ পচা আবর্জনার দুর্গন্ধের কাছে ম্লান হয়ে গেছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপের ওপর চক্কর দিচ্ছে গাঙচিলের দল।
শহরের মেয়র গ্রেগ ভারগাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, ধর্মঘট যদি নভেম্বর বা ডিসেম্বরে হতো, তাহলে গন্ধটা এত প্রকট হতো না।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চলমান ধর্মঘট মেয়রের জন্য উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রিপাবলিক সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার জন্য আরও পাঁচটি শহরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
গ্রেগ ভারগাস বলেন, ‘ধর্মঘটের আগে তারা আমাদের বলেছিল, “চিন্তা করবেন না, আমরা জাতীয় কোম্পানি। আমাদের লোকবল আছে; আমরা সবকিছুর খেয়াল রাখব।” ধর্মঘটের প্রথম দিন থেকে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।’
এদিকে টিমস্টারস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করেছে রিপাবলিক সার্ভিসেস।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিমস্টারস ইউনিয়নের অপরাধমূলক আচরণের ধরন—যার মধ্যে আছে ট্রাক চুরি, টায়ার কাটা, চালকদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য—আপসের চেয়ে বিশৃঙ্খলার প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।’
ইউনিয়ন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আবর্জনা ফেলার বড় কনটেইনার উপচে পড়ছে ব্যাগ। ভনভন করছে মাছি। গ্রীষ্মের রোদে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় শহরগুলোর চিত্র বলতে গেলে এখন এমনই।
কারণ দেশটির বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রিপাবলিক সার্ভিসেসের ২ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বর্জ্য সংগ্রহে অনীহা জানিয়ে ধর্মঘটে রয়েছেন। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পৌরসভার সঙ্গে চুক্তি করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে থাকে।
রিপাবলিক সার্ভিসেসের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী টিমস্টারস ইউনিয়ন জানিয়েছে, অন্যান্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চেয়ে তাদের অনেক কম বেতন দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাও কম।
কোম্পানিটি বলছে, টিমস্টারস ইউনিয়ন আপস করতে রাজি নয়। ফলে আবর্জনারও কোনো গতি হচ্ছে না।
বিবিসি জানিয়েছে, ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
ম্যাসাচুসেটসের মালডেন শহরের ট্রাকচালক মাইক অর্তিজ বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় এখন অনেক বেশি। তারা (কোম্পানি) যা প্রস্তাব করছে, তা দিয়ে আমি এক মাসও চলতে পারব না।’
ধর্মঘট সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিপাবলিক সার্ভিসেস ও টিমস্টারস ইউনিয়ন স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিরোধ নিষ্পত্তি করলেও এখনো অনেক কর্মী ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটের প্রভাব
বোস্টনের উত্তরে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে সমুদ্রতীরবর্তী শহর গ্লুচেস্টারে লোনা বাতাসের তীব্র গন্ধ পচা আবর্জনার দুর্গন্ধের কাছে ম্লান হয়ে গেছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপের ওপর চক্কর দিচ্ছে গাঙচিলের দল।
শহরের মেয়র গ্রেগ ভারগাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, ধর্মঘট যদি নভেম্বর বা ডিসেম্বরে হতো, তাহলে গন্ধটা এত প্রকট হতো না।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চলমান ধর্মঘট মেয়রের জন্য উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রিপাবলিক সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার জন্য আরও পাঁচটি শহরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
গ্রেগ ভারগাস বলেন, ‘ধর্মঘটের আগে তারা আমাদের বলেছিল, “চিন্তা করবেন না, আমরা জাতীয় কোম্পানি। আমাদের লোকবল আছে; আমরা সবকিছুর খেয়াল রাখব।” ধর্মঘটের প্রথম দিন থেকে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।’
এদিকে টিমস্টারস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করেছে রিপাবলিক সার্ভিসেস।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিমস্টারস ইউনিয়নের অপরাধমূলক আচরণের ধরন—যার মধ্যে আছে ট্রাক চুরি, টায়ার কাটা, চালকদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য—আপসের চেয়ে বিশৃঙ্খলার প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।’
ইউনিয়ন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবর্জনা ফেলার বড় কনটেইনার উপচে পড়ছে ব্যাগ। ভনভন করছে মাছি। গ্রীষ্মের রোদে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় শহরগুলোর চিত্র বলতে গেলে এখন এমনই।
কারণ দেশটির বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রিপাবলিক সার্ভিসেসের ২ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বর্জ্য সংগ্রহে অনীহা জানিয়ে ধর্মঘটে রয়েছেন। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পৌরসভার সঙ্গে চুক্তি করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে থাকে।
রিপাবলিক সার্ভিসেসের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী টিমস্টারস ইউনিয়ন জানিয়েছে, অন্যান্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চেয়ে তাদের অনেক কম বেতন দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাও কম।
কোম্পানিটি বলছে, টিমস্টারস ইউনিয়ন আপস করতে রাজি নয়। ফলে আবর্জনারও কোনো গতি হচ্ছে না।
বিবিসি জানিয়েছে, ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
ম্যাসাচুসেটসের মালডেন শহরের ট্রাকচালক মাইক অর্তিজ বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় এখন অনেক বেশি। তারা (কোম্পানি) যা প্রস্তাব করছে, তা দিয়ে আমি এক মাসও চলতে পারব না।’
ধর্মঘট সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিপাবলিক সার্ভিসেস ও টিমস্টারস ইউনিয়ন স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিরোধ নিষ্পত্তি করলেও এখনো অনেক কর্মী ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটের প্রভাব
বোস্টনের উত্তরে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে সমুদ্রতীরবর্তী শহর গ্লুচেস্টারে লোনা বাতাসের তীব্র গন্ধ পচা আবর্জনার দুর্গন্ধের কাছে ম্লান হয়ে গেছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপের ওপর চক্কর দিচ্ছে গাঙচিলের দল।
শহরের মেয়র গ্রেগ ভারগাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, ধর্মঘট যদি নভেম্বর বা ডিসেম্বরে হতো, তাহলে গন্ধটা এত প্রকট হতো না।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চলমান ধর্মঘট মেয়রের জন্য উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রিপাবলিক সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার জন্য আরও পাঁচটি শহরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
গ্রেগ ভারগাস বলেন, ‘ধর্মঘটের আগে তারা আমাদের বলেছিল, “চিন্তা করবেন না, আমরা জাতীয় কোম্পানি। আমাদের লোকবল আছে; আমরা সবকিছুর খেয়াল রাখব।” ধর্মঘটের প্রথম দিন থেকে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।’
এদিকে টিমস্টারস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করেছে রিপাবলিক সার্ভিসেস।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিমস্টারস ইউনিয়নের অপরাধমূলক আচরণের ধরন—যার মধ্যে আছে ট্রাক চুরি, টায়ার কাটা, চালকদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য—আপসের চেয়ে বিশৃঙ্খলার প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।’
ইউনিয়ন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আবর্জনা ফেলার বড় কনটেইনার উপচে পড়ছে ব্যাগ। ভনভন করছে মাছি। গ্রীষ্মের রোদে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় শহরগুলোর চিত্র বলতে গেলে এখন এমনই।
কারণ দেশটির বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রিপাবলিক সার্ভিসেসের ২ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বর্জ্য সংগ্রহে অনীহা জানিয়ে ধর্মঘটে রয়েছেন। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পৌরসভার সঙ্গে চুক্তি করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে থাকে।
রিপাবলিক সার্ভিসেসের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী টিমস্টারস ইউনিয়ন জানিয়েছে, অন্যান্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চেয়ে তাদের অনেক কম বেতন দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাও কম।
কোম্পানিটি বলছে, টিমস্টারস ইউনিয়ন আপস করতে রাজি নয়। ফলে আবর্জনারও কোনো গতি হচ্ছে না।
বিবিসি জানিয়েছে, ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
ম্যাসাচুসেটসের মালডেন শহরের ট্রাকচালক মাইক অর্তিজ বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় এখন অনেক বেশি। তারা (কোম্পানি) যা প্রস্তাব করছে, তা দিয়ে আমি এক মাসও চলতে পারব না।’
ধর্মঘট সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় লাখ লাখ আমেরিকান ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিপাবলিক সার্ভিসেস ও টিমস্টারস ইউনিয়ন স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিরোধ নিষ্পত্তি করলেও এখনো অনেক কর্মী ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটের প্রভাব
বোস্টনের উত্তরে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে সমুদ্রতীরবর্তী শহর গ্লুচেস্টারে লোনা বাতাসের তীব্র গন্ধ পচা আবর্জনার দুর্গন্ধের কাছে ম্লান হয়ে গেছে। সেখানে আবর্জনার স্তূপের ওপর চক্কর দিচ্ছে গাঙচিলের দল।
শহরের মেয়র গ্রেগ ভারগাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, ধর্মঘট যদি নভেম্বর বা ডিসেম্বরে হতো, তাহলে গন্ধটা এত প্রকট হতো না।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের চলমান ধর্মঘট মেয়রের জন্য উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রিপাবলিক সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার জন্য আরও পাঁচটি শহরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
গ্রেগ ভারগাস বলেন, ‘ধর্মঘটের আগে তারা আমাদের বলেছিল, “চিন্তা করবেন না, আমরা জাতীয় কোম্পানি। আমাদের লোকবল আছে; আমরা সবকিছুর খেয়াল রাখব।” ধর্মঘটের প্রথম দিন থেকে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।’
এদিকে টিমস্টারস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করেছে রিপাবলিক সার্ভিসেস।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিমস্টারস ইউনিয়নের অপরাধমূলক আচরণের ধরন—যার মধ্যে আছে ট্রাক চুরি, টায়ার কাটা, চালকদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য—আপসের চেয়ে বিশৃঙ্খলার প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করে।’
ইউনিয়ন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
১ ঘণ্টা আগে
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
সহযোগী গ্রেপ্তার এবং বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পর হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা সরকারি অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অবশেষে মার্কিন আইনসভা হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ ফেডারেল ব্যয় বিল পাস করেছে। যার ফলে এই সংকটের শেষ বাধাটিও আপাতত সরে গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসে অনুষ্ঠিত ভোটে বিলটির পক্ষে ভোট দেন ২২২ জন সদস্য, যার মধ্যে ছয় ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও ছিলেন। আর বিপক্ষে ভোট দেন ২০৯ জন, তাঁদের মধ্যে দুজন রিপাবলিকানও ছিলেন। দীর্ঘদিন বিলম্বের পর পাস হওয়া বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার রাতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ৬০-৪০ ভোটে এই ব্যয় পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হয়, যাতে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম চালানোর অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়। এর ফলে ছয় সপ্তাহ ধরে বেতন বন্ধ থাকা কয়েক লাখ ফেডারেল কর্মচারী আবারও বেতন পাবেন।
সরকারি অচলাবস্থার সময় জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সব সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে সাত ডেমোক্র্যাট ও এক স্বতন্ত্র সিনেটর নতুন এই ব্যয় প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি দিলে সমঝোতার পথ তৈরি হয়। মঙ্গলবার অচলাবস্থার ৪২ তম দিনে পৌঁছানো সংকট তখনই প্রশমনের পথে যায়।
তবে এই চুক্তি এখনো অচলাবস্থার অন্যতম কেন্দ্রীয় ইস্যু ২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিনির স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি সমাধান করতে পারেনি। ট্রাম্প প্রশাসন ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’-এর আওতাধীন এসব স্বাস্থ্য সহায়তা বন্ধের পরিকল্পনা করেছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেমোক্র্যাটরা বারবার এই বিলের পাস ঠেকিয়ে দিচ্ছিল। কারণ, তাদের দাবি ছিল নিম্ন আয়ের আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা ব্যয়ের সমাধান না করলে এই প্রস্তাব পাস করা যাবে না।
বুধবারের ভোটের আগে রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন ডেমোক্র্যাটদের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা ‘রাজনৈতিক খেলার’ অংশ হিসেবে আমেরিকান নাগরিকদের ‘জিম্মি’ করে রেখেছেন এবং গত সেপ্টেম্বরে বিলের অনুমোদন আটকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে সিনেট ডেমোক্র্যাটরা ১৪ বার সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। রিপাবলিকানরা জনগণের জন্য সরকার চালু করতে ১৫ বার ভোট দিয়েছে, আর ডেমোক্র্যাটরা ১৫ বার তা বন্ধ করার পক্ষে।’
এই অচলাবস্থা ভাঙার চুক্তির অংশ হিসেবে সিনেট রিপাবলিকানরা ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে ভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এতে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, জানুয়ারিতে আবারও সরকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সমঝোতা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বিলের বিরোধিতা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে বি প্রিৎজকার অন্যতম। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত এই নেতা এই চুক্তিকে ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এই সমঝোতার পক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাট সিনেটররা হলেন ইলিনয়ের সিনেট ডেমোক্রেটিক হুইপ ডিক ডারবিন, পেনসিলভানিয়ার জন ফেটারম্যান, নেভাডার ক্যাথরিন করটেজ মাস্টো ও জ্যাকি রোজেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যাগি হাসান ও জিন শাহিন এবং ভার্জিনিয়ার টিম কেইন। এ ছাড়া মেইন অঙ্গরাজ্যের স্বাধীন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিংও সমঝোতার পক্ষে ভোট দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা সরকারি অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অবশেষে মার্কিন আইনসভা হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ ফেডারেল ব্যয় বিল পাস করেছে। যার ফলে এই সংকটের শেষ বাধাটিও আপাতত সরে গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসে অনুষ্ঠিত ভোটে বিলটির পক্ষে ভোট দেন ২২২ জন সদস্য, যার মধ্যে ছয় ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও ছিলেন। আর বিপক্ষে ভোট দেন ২০৯ জন, তাঁদের মধ্যে দুজন রিপাবলিকানও ছিলেন। দীর্ঘদিন বিলম্বের পর পাস হওয়া বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার রাতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ৬০-৪০ ভোটে এই ব্যয় পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হয়, যাতে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম চালানোর অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়। এর ফলে ছয় সপ্তাহ ধরে বেতন বন্ধ থাকা কয়েক লাখ ফেডারেল কর্মচারী আবারও বেতন পাবেন।
সরকারি অচলাবস্থার সময় জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সব সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে সাত ডেমোক্র্যাট ও এক স্বতন্ত্র সিনেটর নতুন এই ব্যয় প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি দিলে সমঝোতার পথ তৈরি হয়। মঙ্গলবার অচলাবস্থার ৪২ তম দিনে পৌঁছানো সংকট তখনই প্রশমনের পথে যায়।
তবে এই চুক্তি এখনো অচলাবস্থার অন্যতম কেন্দ্রীয় ইস্যু ২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিনির স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি সমাধান করতে পারেনি। ট্রাম্প প্রশাসন ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’-এর আওতাধীন এসব স্বাস্থ্য সহায়তা বন্ধের পরিকল্পনা করেছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেমোক্র্যাটরা বারবার এই বিলের পাস ঠেকিয়ে দিচ্ছিল। কারণ, তাদের দাবি ছিল নিম্ন আয়ের আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা ব্যয়ের সমাধান না করলে এই প্রস্তাব পাস করা যাবে না।
বুধবারের ভোটের আগে রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন ডেমোক্র্যাটদের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা ‘রাজনৈতিক খেলার’ অংশ হিসেবে আমেরিকান নাগরিকদের ‘জিম্মি’ করে রেখেছেন এবং গত সেপ্টেম্বরে বিলের অনুমোদন আটকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে সিনেট ডেমোক্র্যাটরা ১৪ বার সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। রিপাবলিকানরা জনগণের জন্য সরকার চালু করতে ১৫ বার ভোট দিয়েছে, আর ডেমোক্র্যাটরা ১৫ বার তা বন্ধ করার পক্ষে।’
এই অচলাবস্থা ভাঙার চুক্তির অংশ হিসেবে সিনেট রিপাবলিকানরা ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে ভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এতে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, জানুয়ারিতে আবারও সরকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই সমঝোতা ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বিলের বিরোধিতা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে বি প্রিৎজকার অন্যতম। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত এই নেতা এই চুক্তিকে ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এই সমঝোতার পক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাট সিনেটররা হলেন ইলিনয়ের সিনেট ডেমোক্রেটিক হুইপ ডিক ডারবিন, পেনসিলভানিয়ার জন ফেটারম্যান, নেভাডার ক্যাথরিন করটেজ মাস্টো ও জ্যাকি রোজেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যাগি হাসান ও জিন শাহিন এবং ভার্জিনিয়ার টিম কেইন। এ ছাড়া মেইন অঙ্গরাজ্যের স্বাধীন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিংও সমঝোতার পক্ষে ভোট দেন।

১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
২৬ জুলাই ২০২৫
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
সহযোগী গ্রেপ্তার এবং বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পর হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। তাঁদের দাবি, এই ই-মেইলগুলো এপস্টেইন কর্তৃক প্রকাশিত বিশাল নথিপত্র থেকে পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ডেমোক্র্যাটরা জেফরি এপস্টেইনের কিছু নতুন ই-মেইল প্রকাশ করেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টেইনের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে জানতেন এবং ভুক্তভোগী ‘মেয়েদের সম্পর্কেও জানতেন’।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি (হাউস ওভারসাইট কমিটি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এসব ই-মেইল প্রকাশ করেছে। এতে এপস্টেইন, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল ও লেখক মাইকেল উলফের মধ্যে আদান–প্রদান করা বার্তা রয়েছে। কয়েকটি ই-মেইলে এপস্টেইনকে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করতে দেখা গেছে।
২০১১ সালের এপ্রিল মাসে লেখা একটি ই-মেইলে এপস্টেইন লিখেছিলেন, ‘আমি চাই তুমি বোঝো, যে কুকুরটা এখনো ঘেউ ঘেউ করেনি, সে হচ্ছে ট্রাম্প।’ এরপর তিনি (নাম অপ্রকাশিত) লেখেন, ‘একটি মেয়ে তার (ট্রাম্পের) সঙ্গে আমার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছে। কিন্তু সে (ট্রাম্প) তার নাম একবারও প্রকাশ করেনি।’ এর জবাবে ম্যাক্সওয়েল লিখেছিলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়েই ভাবছিলাম...’।
প্রতিনিধি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলেছেন, এসব ই-মেইল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এপস্টেইনের ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ’।
তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এপস্টেইন বা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কিছুদিন আগে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, এই মামলার বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করার নেই। কিন্তু এর ঠিক চার মাস পর এই নতুন তথ্য সামনে এল।
ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, এপস্টেইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর শুরুর দিকে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল, তবে ২০০৪ সালের দিকে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
গত জুলাই মাসে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তৎকালীন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ট্রাম্পকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর নাম এপস্টেইনসংক্রান্ত নথিপত্রে রয়েছে। তবে সর্বশেষ নথি প্রকাশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। তাঁদের দাবি, এই ই-মেইলগুলো এপস্টেইন কর্তৃক প্রকাশিত বিশাল নথিপত্র থেকে পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ডেমোক্র্যাটরা জেফরি এপস্টেইনের কিছু নতুন ই-মেইল প্রকাশ করেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টেইনের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে জানতেন এবং ভুক্তভোগী ‘মেয়েদের সম্পর্কেও জানতেন’।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি (হাউস ওভারসাইট কমিটি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এসব ই-মেইল প্রকাশ করেছে। এতে এপস্টেইন, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল ও লেখক মাইকেল উলফের মধ্যে আদান–প্রদান করা বার্তা রয়েছে। কয়েকটি ই-মেইলে এপস্টেইনকে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করতে দেখা গেছে।
২০১১ সালের এপ্রিল মাসে লেখা একটি ই-মেইলে এপস্টেইন লিখেছিলেন, ‘আমি চাই তুমি বোঝো, যে কুকুরটা এখনো ঘেউ ঘেউ করেনি, সে হচ্ছে ট্রাম্প।’ এরপর তিনি (নাম অপ্রকাশিত) লেখেন, ‘একটি মেয়ে তার (ট্রাম্পের) সঙ্গে আমার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছে। কিন্তু সে (ট্রাম্প) তার নাম একবারও প্রকাশ করেনি।’ এর জবাবে ম্যাক্সওয়েল লিখেছিলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়েই ভাবছিলাম...’।
প্রতিনিধি পরিষদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলেছেন, এসব ই-মেইল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এপস্টেইনের ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ’।
তবে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এপস্টেইন বা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কিছুদিন আগে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, এই মামলার বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করার নেই। কিন্তু এর ঠিক চার মাস পর এই নতুন তথ্য সামনে এল।
ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, এপস্টেইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর শুরুর দিকে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল, তবে ২০০৪ সালের দিকে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
গত জুলাই মাসে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তৎকালীন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ট্রাম্পকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর নাম এপস্টেইনসংক্রান্ত নথিপত্রে রয়েছে। তবে সর্বশেষ নথি প্রকাশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
১ ঘণ্টা আগে
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
সহযোগী গ্রেপ্তার এবং বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পর হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলমান দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পূর্ণ ক্ষমা’ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চিঠি তিনি সরাসরি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লিখেছেন।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করার আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধকালীন তিনি একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি ইসরায়েলকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুরুতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলায় যথাক্রমে জালিয়াতি, ঘুষ এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। তবে নেতানিয়াহু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বারবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘যদিও আমি ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং এর প্রয়োজনীয়তাকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বিবির বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক ও অযৌক্তিক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে ইসরায়েলের কঠিন প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
প্রেসিডেন্টের ভূমিকাটি মূলত আনুষ্ঠানিক হলেও ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এর জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি, তাঁদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করতে হয়। নেতানিয়াহু বা তাঁর কোনো ঘনিষ্ঠ কেউ এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন জমা দেননি।
হেরজগের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা করে। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর অবিচল সমর্থন, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনে তাঁর বিশাল অবদান, মধ্যপ্রাচ্য ও গাজার পরিবর্তন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করে। তবে হেরজগের দপ্তর স্পষ্ট করে বলেছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষমা চান, তাঁকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি অনুযায়ী আবেদন জমা দিতে হবে।’
এদিকে ট্রাম্পের এই চিঠি ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হেরজগ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা শুনুন!’ তিনি দাবি করেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগের’ শামিল হয়েছে।
বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেন, ‘মনে রাখবেন, ইসরায়েলি আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার প্রথম শর্ত হলো দোষ স্বীকার করা এবং অনুশোচনা প্রকাশ করা।’
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন। ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ২০২০ সালের মে মাসে তাঁর বিচার শুরু হয়েছিল। নেতানিয়াহুর নিজের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, তবে তাঁর অনুরোধে বারবার বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্ব ও বাতিল করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিচার, রায় এবং সম্ভাব্য আপিলের বিভিন্ন পর্যায় বিবেচনায় এই প্রক্রিয়া আরও কয়েক বছর ধরে চলবে।
অন্য দেশের চলমান বিচারিক কার্যক্রমে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত জুলাইয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প তাঁর আরেক আন্তর্জাতিক সহযোগী, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর (যিনি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এরপর এপ্রিলে ট্রাম্প ফরাসি কট্টর ডানপন্থী নেতা মেরিন লো পেনের জন্য পোস্ট দিয়েছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল তছরুপের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লো পেনকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে লিখেছিলেন, মেরিন লো পেনের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ (ডাইনি খোঁজা অভিযান) হলো ইউরোপের বামপন্থীদের আরেকটি উদাহরণ; যেখানে তারা ‘আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে বাক্স্বাধীনতা দমন করছে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চুপ করাচ্ছে। এবার তারা এত দূর গেছে যে প্রতিপক্ষকেই জেলে পাঠাচ্ছে। এটা সেই একই কৌশল, যা আমার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছিল।

চলমান দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পূর্ণ ক্ষমা’ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চিঠি তিনি সরাসরি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লিখেছেন।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করার আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধকালীন তিনি একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি ইসরায়েলকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুরুতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলায় যথাক্রমে জালিয়াতি, ঘুষ এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। তবে নেতানিয়াহু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বারবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘যদিও আমি ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং এর প্রয়োজনীয়তাকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বিবির বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক ও অযৌক্তিক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে ইসরায়েলের কঠিন প্রতিপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
প্রেসিডেন্টের ভূমিকাটি মূলত আনুষ্ঠানিক হলেও ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এর জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি, তাঁদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করতে হয়। নেতানিয়াহু বা তাঁর কোনো ঘনিষ্ঠ কেউ এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন জমা দেননি।
হেরজগের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা করে। ইসরায়েলের প্রতি তাঁর অবিচল সমর্থন, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনে তাঁর বিশাল অবদান, মধ্যপ্রাচ্য ও গাজার পরিবর্তন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করে। তবে হেরজগের দপ্তর স্পষ্ট করে বলেছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষমা চান, তাঁকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি অনুযায়ী আবেদন জমা দিতে হবে।’
এদিকে ট্রাম্পের এই চিঠি ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হেরজগ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা শুনুন!’ তিনি দাবি করেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগের’ শামিল হয়েছে।
বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেন, ‘মনে রাখবেন, ইসরায়েলি আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার প্রথম শর্ত হলো দোষ স্বীকার করা এবং অনুশোচনা প্রকাশ করা।’
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হচ্ছেন। ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ২০২০ সালের মে মাসে তাঁর বিচার শুরু হয়েছিল। নেতানিয়াহুর নিজের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, তবে তাঁর অনুরোধে বারবার বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্ব ও বাতিল করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিচার, রায় এবং সম্ভাব্য আপিলের বিভিন্ন পর্যায় বিবেচনায় এই প্রক্রিয়া আরও কয়েক বছর ধরে চলবে।
অন্য দেশের চলমান বিচারিক কার্যক্রমে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত জুলাইয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প তাঁর আরেক আন্তর্জাতিক সহযোগী, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর (যিনি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এরপর এপ্রিলে ট্রাম্প ফরাসি কট্টর ডানপন্থী নেতা মেরিন লো পেনের জন্য পোস্ট দিয়েছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল তছরুপের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লো পেনকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে লিখেছিলেন, মেরিন লো পেনের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ (ডাইনি খোঁজা অভিযান) হলো ইউরোপের বামপন্থীদের আরেকটি উদাহরণ; যেখানে তারা ‘আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে বাক্স্বাধীনতা দমন করছে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চুপ করাচ্ছে। এবার তারা এত দূর গেছে যে প্রতিপক্ষকেই জেলে পাঠাচ্ছে। এটা সেই একই কৌশল, যা আমার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছিল।

১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
১ ঘণ্টা আগে
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
১১ ঘণ্টা আগে
সহযোগী গ্রেপ্তার এবং বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পর হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উমর মুহাম্মদের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিস্ফোরণের আগে উমর মুহাম্মদ তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাছাকাছি একটি পার্কিং লটে গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তদন্তকারীদের নতুন তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, উমর মুহাম্মদ গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রথমে লাল কেল্লার পার্কিং এলাকাকে বেছে নিয়েছিলেন, যেখানে শীতকালে ব্যাপক ভিড় থাকে। তবে তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার ও বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি নেতাজি সুভাষ মার্গের দিকে গাড়ি নিয়ে যান, যা একদিকে লাল কেল্লা এবং অন্যদিকে চাঁদনি চকের পাশ দিয়ে গেছে। এরপর লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি ট্রাফিক সিগন্যালেই গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।
ফরিদাবাদ থেকে লাল কেল্লা, উমরের পথ অনুসরণ
প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য ১ হাজারের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে উমর মুহাম্মদের সাদা রঙের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটির গতিবিধি শনাক্ত করেছেন।
গাড়িটি সোমবার সকালে ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি থেকে রওনা হয়। সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে এটি হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে বাদরপুরের টোল প্লাজা অতিক্রম করে। এরপর ময়ূর বিহার এবং কনট প্লেস হয়ে লাল কেল্লার কাছাকাছি পার্কিংয়ে পৌঁছায়।
এই দীর্ঘ যাত্রার মধ্যে তিনি পুরোনো দিল্লির কাছে আসফ আলী রোডে প্রায় আধা ঘণ্টা বিরতি নেন। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে গাড়িতে একা বসে থাকতে দেখা যায়। সংক্ষিপ্ত বিরতির পর তিনি আবার ড্রাইভ শুরু করে পার্কিং লটে যান।
কনট প্লেস কি লক্ষ্য ছিল
দিল্লিতে প্রবেশের পর উমর যে পথটি নিয়েছিলেন, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বাদরপুর টোল বুথ থেকে তিনি প্রথমে ময়ূর বিহারের দিকে যান, যেখানে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থান অক্ষরধাম মন্দির অবস্থিত। সেখান থেকে সরাসরি পুরোনো দিল্লিতে না এসে তিনি পথ পরিবর্তন করে দিল্লির প্রাণকেন্দ্র কনট প্লেসে যান।
তদন্তকারীরা কনট প্লেস থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন এই সন্দেহে যে কনট প্লেস কি হামলার লক্ষ্য ছিল?
উমর সকাল ৮টার পরপরই দিল্লিতে প্রবেশ করলেও বিস্ফোরণ ঘটে প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে। দীর্ঘ এই সময়ে পথ পরিবর্তন এবং তিন ঘণ্টা পার্কিং লটে কাটানো—এসবের পেছনে কোনো নির্দেশের জন্য অপেক্ষা, নাকি লক্ষ্য ঠিক করার দ্বিধা কাজ করছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উমরের ফোন নিয়ে বড় প্রশ্ন
পুলিশ জানতে পেরেছে, উমরের ফোনটি বিস্ফোরণের ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে বন্ধ ছিল এবং এটির শেষ অবস্থান ছিল আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। উমরের যাত্রাপথের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাঁকে একবারও ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
এ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ফোন ব্যবহার বা বহন না করা কি পরিকল্পনার অংশ ছিল? কোনো ধরনের সন্দেহ এড়াতে তাঁকে ফোন না রাখতে বলা হয়েছিল কি না? অন্য প্রশ্নটি হলো, ফোনের সংযোগ ছাড়া তিনি অন্যদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন? তবে কি উমর অন্য কোনো ফোন ব্যবহার করছিলেন? তদন্তকারীরা এ বিষয়েও খতিয়ে দেখছেন।
পার্কিং লটের ৩ ঘণ্টার রহস্য
পার্কিং লটে উমরের তিন ঘণ্টার অপেক্ষা অনেক প্রশ্ন তুলেছে। কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই সময়ে তিনি ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের খবর পড়ছিলেন। তবে এটি তাঁর ওপর কী প্রভাব ফেলেছিল, তা জল্পনার বিষয়।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে, বিস্ফোরণটি আতঙ্ক থেকে ঘটানো হয়েছে। তাদের যুক্তি, বিস্ফোরকগুলো সঠিকভাবে একত্র করা হয়নি, ফলে এর প্রভাব সীমিত হয়েছে। এই আতঙ্ক ফরিদাবাদে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার এবং উমরের সহযোগী গ্রেপ্তারের ফল হতে পারে।
তবে এ মুহূর্তে এগুলো সবই অনুমান, তদন্তই কেবল ঘটনার সম্পূর্ণ শৃঙ্খল উন্মোচন করতে পারবে।

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উমর মুহাম্মদের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিস্ফোরণের আগে উমর মুহাম্মদ তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাছাকাছি একটি পার্কিং লটে গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তদন্তকারীদের নতুন তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, উমর মুহাম্মদ গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রথমে লাল কেল্লার পার্কিং এলাকাকে বেছে নিয়েছিলেন, যেখানে শীতকালে ব্যাপক ভিড় থাকে। তবে তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার ও বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে হতাশায় থাকা উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যান—সোমবার লাল কেল্লা বন্ধ থাকে। তিনি যখন পার্কিং লটে পৌঁছান, তখন সেখানে কোনো ভিড় ছিল না। বিষয়টি উমরকে হতাশ করে এবং তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন।
তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি নেতাজি সুভাষ মার্গের দিকে গাড়ি নিয়ে যান, যা একদিকে লাল কেল্লা এবং অন্যদিকে চাঁদনি চকের পাশ দিয়ে গেছে। এরপর লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি ট্রাফিক সিগন্যালেই গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।
ফরিদাবাদ থেকে লাল কেল্লা, উমরের পথ অনুসরণ
প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য ১ হাজারের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে উমর মুহাম্মদের সাদা রঙের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটির গতিবিধি শনাক্ত করেছেন।
গাড়িটি সোমবার সকালে ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি থেকে রওনা হয়। সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে এটি হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে বাদরপুরের টোল প্লাজা অতিক্রম করে। এরপর ময়ূর বিহার এবং কনট প্লেস হয়ে লাল কেল্লার কাছাকাছি পার্কিংয়ে পৌঁছায়।
এই দীর্ঘ যাত্রার মধ্যে তিনি পুরোনো দিল্লির কাছে আসফ আলী রোডে প্রায় আধা ঘণ্টা বিরতি নেন। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে গাড়িতে একা বসে থাকতে দেখা যায়। সংক্ষিপ্ত বিরতির পর তিনি আবার ড্রাইভ শুরু করে পার্কিং লটে যান।
কনট প্লেস কি লক্ষ্য ছিল
দিল্লিতে প্রবেশের পর উমর যে পথটি নিয়েছিলেন, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বাদরপুর টোল বুথ থেকে তিনি প্রথমে ময়ূর বিহারের দিকে যান, যেখানে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থান অক্ষরধাম মন্দির অবস্থিত। সেখান থেকে সরাসরি পুরোনো দিল্লিতে না এসে তিনি পথ পরিবর্তন করে দিল্লির প্রাণকেন্দ্র কনট প্লেসে যান।
তদন্তকারীরা কনট প্লেস থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন এই সন্দেহে যে কনট প্লেস কি হামলার লক্ষ্য ছিল?
উমর সকাল ৮টার পরপরই দিল্লিতে প্রবেশ করলেও বিস্ফোরণ ঘটে প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে। দীর্ঘ এই সময়ে পথ পরিবর্তন এবং তিন ঘণ্টা পার্কিং লটে কাটানো—এসবের পেছনে কোনো নির্দেশের জন্য অপেক্ষা, নাকি লক্ষ্য ঠিক করার দ্বিধা কাজ করছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উমরের ফোন নিয়ে বড় প্রশ্ন
পুলিশ জানতে পেরেছে, উমরের ফোনটি বিস্ফোরণের ১০ দিন আগে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে বন্ধ ছিল এবং এটির শেষ অবস্থান ছিল আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। উমরের যাত্রাপথের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাঁকে একবারও ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।
এ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ফোন ব্যবহার বা বহন না করা কি পরিকল্পনার অংশ ছিল? কোনো ধরনের সন্দেহ এড়াতে তাঁকে ফোন না রাখতে বলা হয়েছিল কি না? অন্য প্রশ্নটি হলো, ফোনের সংযোগ ছাড়া তিনি অন্যদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন? তবে কি উমর অন্য কোনো ফোন ব্যবহার করছিলেন? তদন্তকারীরা এ বিষয়েও খতিয়ে দেখছেন।
পার্কিং লটের ৩ ঘণ্টার রহস্য
পার্কিং লটে উমরের তিন ঘণ্টার অপেক্ষা অনেক প্রশ্ন তুলেছে। কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই সময়ে তিনি ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের খবর পড়ছিলেন। তবে এটি তাঁর ওপর কী প্রভাব ফেলেছিল, তা জল্পনার বিষয়।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে, বিস্ফোরণটি আতঙ্ক থেকে ঘটানো হয়েছে। তাদের যুক্তি, বিস্ফোরকগুলো সঠিকভাবে একত্র করা হয়নি, ফলে এর প্রভাব সীমিত হয়েছে। এই আতঙ্ক ফরিদাবাদে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার এবং উমরের সহযোগী গ্রেপ্তারের ফল হতে পারে।
তবে এ মুহূর্তে এগুলো সবই অনুমান, তদন্তই কেবল ঘটনার সম্পূর্ণ শৃঙ্খল উন্মোচন করতে পারবে।

১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার বোস্টনের ১৪টি এলাকায় সেবা দেওয়া টিমস্টারস ইউনিয়নের স্থানীয় শাখা লোকাল ২৫-এর মাধ্যমে এই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যান্টেকা; ইলিনয়ের অটোয়া; জর্জিয়ার কামিং, ওয়াশিংটনের লেসি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কর্মী ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
২৬ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা অবসানে অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটের পর এবার সরকারি ব্যয় অনুমোদন করে একটি অস্থায়ী সমাধান এনেছেন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আইনপ্রণেতারা।
১ ঘণ্টা আগে
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এপস্টেইন ফাইলের সঙ্গে জড়িত নতুন কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বাভাবিক হলেও ট্রাম্পের জন্য এটি নতুন নয়। তিনি আগেও এভাবে বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর প্রিয় মানুষদের রক্ষা করতে এমন কাজ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে