আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করেছেন, তা থেকে বিষয়টি স্পষ্ট।
আত্মগরিমা ও দাম্ভিকতায় যার তুলনা মেলা ভার, সেই ট্রাম্পকে তাঁর পাঁচ দিনের এশিয়া সফরজুড়ে স্তুতি ও শ্রদ্ধার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে রেখেছেন আঞ্চলিক নেতারা। সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
তার আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ট্রাম্পের ‘অদম্য সাহস’ ও ‘দৃঢ়তার’ প্রশংসা করে বলেছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির মতো ‘প্রায় অসম্ভব’ কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন তিনি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টায় ‘মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এমনকি তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ট্রাম্পকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বর্ণমুকুট, যা প্রাচীন সিলা রাজ্যের নিদর্শনের প্রতিরূপ, সঙ্গে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহওয়া’।
এই প্রশংসা ও উপহারের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে এমন এক সময়, যখন মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তাদের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। চীনও পিছিয়ে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যার সম্পর্ক ট্রাম্পের সময় বিশেষ করে টানাপোড়েনে ছিল, সেই বেইজিংও এবার প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ট্রাম্প ও সি দুজনই ‘বিশ্বমানের নেতা’, যারা ‘দীর্ঘ সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’।
এর আগে গত আগস্টে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। এরপর দুই দেশের শীর্ষ নেতাই ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, ‘ট্রাম্প মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মিরাকল ঘটিয়ে দিয়েছেন।’ তারও আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। এমনকি তিনিও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করার কথা দিয়েছেন।
কূটনীতির ক্ষেত্রে হাসি আর করমর্দন নতুন কিছু নয়। কিন্তু সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল গভর্ন্যান্স ইনোভেশনের সিনিয়র ফেলো হেনরি গাওয়ের মতে, এশীয় নেতারা এবার যেন ট্রাম্পের মন জয় করতে বাড়তি উদ্যম দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় রাজা ও সম্রাটদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, তার দীর্ঘ ইতিহাস আছে এবং নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা প্রদর্শনের এই ঐতিহ্য সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত।’
শুধু এশিয়ায় নয়, অন্য জায়গাতেও ট্রাম্পকে খুশি করতে নেতারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। গত জুনে ন্যাটো সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের ভূমিকাকে তুলনা করেছেন ‘স্কুলের মাঠে মারামারি থামাতে এগিয়ে আসা এক অভিভাবকের’ সঙ্গে।
ট্রাম্পের আত্মগরিমা বরাবরই তার সমালোচকদের নিশানায় থেকেছে, বিশেষ করে যারা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। ট্রাম্পের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার ২০২৩ সালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সে সব সময় নিজের স্বার্থ ও নিজের অহংকার পূরণের বিষয়টাকেই অগ্রাধিকার দেবে—এমনকি দেশের স্বার্থেরও আগে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
আল জাজিরা অবলম্বনে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করেছেন, তা থেকে বিষয়টি স্পষ্ট।
আত্মগরিমা ও দাম্ভিকতায় যার তুলনা মেলা ভার, সেই ট্রাম্পকে তাঁর পাঁচ দিনের এশিয়া সফরজুড়ে স্তুতি ও শ্রদ্ধার বৃষ্টিতে ভিজিয়ে রেখেছেন আঞ্চলিক নেতারা। সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
তার আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ট্রাম্পের ‘অদম্য সাহস’ ও ‘দৃঢ়তার’ প্রশংসা করে বলেছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির মতো ‘প্রায় অসম্ভব’ কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছেন তিনি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টায় ‘মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এমনকি তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ট্রাম্পকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বর্ণমুকুট, যা প্রাচীন সিলা রাজ্যের নিদর্শনের প্রতিরূপ, সঙ্গে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহওয়া’।
এই প্রশংসা ও উপহারের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে এমন এক সময়, যখন মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তাদের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। চীনও পিছিয়ে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যার সম্পর্ক ট্রাম্পের সময় বিশেষ করে টানাপোড়েনে ছিল, সেই বেইজিংও এবার প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ট্রাম্প ও সি দুজনই ‘বিশ্বমানের নেতা’, যারা ‘দীর্ঘ সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’।
এর আগে গত আগস্টে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। এরপর দুই দেশের শীর্ষ নেতাই ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, ‘ট্রাম্প মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মিরাকল ঘটিয়ে দিয়েছেন।’ তারও আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। এমনকি তিনিও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত করার কথা দিয়েছেন।
কূটনীতির ক্ষেত্রে হাসি আর করমর্দন নতুন কিছু নয়। কিন্তু সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল গভর্ন্যান্স ইনোভেশনের সিনিয়র ফেলো হেনরি গাওয়ের মতে, এশীয় নেতারা এবার যেন ট্রাম্পের মন জয় করতে বাড়তি উদ্যম দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় রাজা ও সম্রাটদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, তার দীর্ঘ ইতিহাস আছে এবং নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা প্রদর্শনের এই ঐতিহ্য সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত।’
শুধু এশিয়ায় নয়, অন্য জায়গাতেও ট্রাম্পকে খুশি করতে নেতারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। গত জুনে ন্যাটো সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের ভূমিকাকে তুলনা করেছেন ‘স্কুলের মাঠে মারামারি থামাতে এগিয়ে আসা এক অভিভাবকের’ সঙ্গে।
ট্রাম্পের আত্মগরিমা বরাবরই তার সমালোচকদের নিশানায় থেকেছে, বিশেষ করে যারা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। ট্রাম্পের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার ২০২৩ সালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সে সব সময় নিজের স্বার্থ ও নিজের অহংকার পূরণের বিষয়টাকেই অগ্রাধিকার দেবে—এমনকি দেশের স্বার্থেরও আগে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
আল জাজিরা অবলম্বনে

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
৬ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
ভ্যান্স বলেন, ‘বেশির ভাগ রোববারেই উষা আমার সঙ্গে গির্জায় যায়। আমি তাকে আগেও বলেছি, আজও বলছি—আমি সত্যিই চাই, একদিন সে গির্জায় আমার মতোই খ্রিষ্টের বাণীতে অনুপ্রাণিত হোক। কারণ আমি খ্রিষ্টীয় সুসমাচারে বিশ্বাস করি এবং চাই, একদিন আমার স্ত্রীও সেই বিশ্বাস উপলব্ধি করুক।’
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর স্ত্রীর ধর্ম তাঁর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে না। ভ্যান্সের ভাষায়, ‘যদি সে খ্রিষ্টধর্মে না আসে, তাতেও সমস্যা নেই। ঈশ্বর সবাইকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো আপনি পরিবার ও ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে মেলামেশার মধ্য দিয়েই সমাধান করেন।’
২০১৯ সালে জেডি ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে (ক্যাথলিক) ধর্মান্তরিত হন। তিনি জানান, স্ত্রী উষার সঙ্গে পরিচয়ের সময় তিনি ছিলেন নাস্তিক বা সংশয়বাদী। বর্তমানে তাঁদের সন্তানেরা খ্রিষ্টীয় শিক্ষায় বেড়ে উঠছে এবং একটি খ্রিষ্টান স্কুলে পড়ছে।
ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি মনে করি, খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধই আমেরিকার ভিত্তি। কেউ যদি বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, তবে বুঝতে হবে তারা কিছু বিক্রি করতে এসেছে। আমি অন্তত সৎভাবে বলি—খ্রিষ্টীয় ভিত্তি এই দেশের জন্য কল্যাণকর।’
ভ্যান্সের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসীদের (বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসাধারীদের) বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব বেড়েছে। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষে মার্কিন রাজনীতিক তুলসি গ্যাবার্ড ও এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল শুভেচ্ছা জানালে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের উদ্দেশে ‘ইন্ডিয়ায় চলে যাও’ বা ‘যিশুর পথে ফিরে এসো’ ধরনের মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ধর্ম, পরিবার ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সমন্বয়ে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে আসছে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
ভ্যান্স বলেন, ‘বেশির ভাগ রোববারেই উষা আমার সঙ্গে গির্জায় যায়। আমি তাকে আগেও বলেছি, আজও বলছি—আমি সত্যিই চাই, একদিন সে গির্জায় আমার মতোই খ্রিষ্টের বাণীতে অনুপ্রাণিত হোক। কারণ আমি খ্রিষ্টীয় সুসমাচারে বিশ্বাস করি এবং চাই, একদিন আমার স্ত্রীও সেই বিশ্বাস উপলব্ধি করুক।’
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর স্ত্রীর ধর্ম তাঁর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে না। ভ্যান্সের ভাষায়, ‘যদি সে খ্রিষ্টধর্মে না আসে, তাতেও সমস্যা নেই। ঈশ্বর সবাইকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো আপনি পরিবার ও ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে মেলামেশার মধ্য দিয়েই সমাধান করেন।’
২০১৯ সালে জেডি ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে (ক্যাথলিক) ধর্মান্তরিত হন। তিনি জানান, স্ত্রী উষার সঙ্গে পরিচয়ের সময় তিনি ছিলেন নাস্তিক বা সংশয়বাদী। বর্তমানে তাঁদের সন্তানেরা খ্রিষ্টীয় শিক্ষায় বেড়ে উঠছে এবং একটি খ্রিষ্টান স্কুলে পড়ছে।
ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি মনে করি, খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধই আমেরিকার ভিত্তি। কেউ যদি বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, তবে বুঝতে হবে তারা কিছু বিক্রি করতে এসেছে। আমি অন্তত সৎভাবে বলি—খ্রিষ্টীয় ভিত্তি এই দেশের জন্য কল্যাণকর।’
ভ্যান্সের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসীদের (বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসাধারীদের) বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব বেড়েছে। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষে মার্কিন রাজনীতিক তুলসি গ্যাবার্ড ও এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল শুভেচ্ছা জানালে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের উদ্দেশে ‘ইন্ডিয়ায় চলে যাও’ বা ‘যিশুর পথে ফিরে এসো’ ধরনের মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ধর্ম, পরিবার ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সমন্বয়ে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে আসছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করে
৯ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
চাবাহার বন্দর ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত এবং এটি ভারত মহাসাগরে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও এই বন্দরটির কৌশলগত গুরুত্ব অনেক।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছর ভারত ও ইরানের মধ্যে ১০ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) চাবাহার বন্দরে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাবাহার বন্দর সহ ইরানের ওপর অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মূলত দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে চাপে রাখার জন্য। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় অতীতের মতো এবারও ভারতের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে। এর আগে ২০১৮ সালেও ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের জন্য একই ধরনের ছাড় দিয়েছিল, যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলো চাবাহারে উন্নয়নকাজ চালিয়ে যেতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান।’ এদিকে ভারত সরকার সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়েও বিশ্লেষণ করছে। কারণ দেশটি রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ক্রয় করে। এই তেল কেনার জের ধরেই ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, জ্বালানির ক্ষেত্রে ১৪০ কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে হয় তাদের। এই কারণেই বিভিন্ন উৎস থেকে সাশ্রয়ী জ্বালানি সংগ্রহে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনার জবাবে ইতিপূর্বে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘ভারত এক মাসে রাশিয়া থেকে যত তেল কেনে, ইউরোপ তা এক বিকেলেই কিনে ফেলে।’
চাবাহার বন্দরের শহিদ বেহেশতি টার্মিনাল বর্তমানে ভারত পরিচালনা করছে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানের জন্যও এই বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দেশটিকে পাকিস্তান ছাড়াই সরাসরি আরব সাগর এবং বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রায় কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, ‘ভারত কোনো চুক্তি তাড়াহুড়ো বা চাপের মুখে করবে না।’ তবে শিগগিরই উভয় দেশ ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
চাবাহার বন্দর ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত এবং এটি ভারত মহাসাগরে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও এই বন্দরটির কৌশলগত গুরুত্ব অনেক।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছর ভারত ও ইরানের মধ্যে ১০ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) চাবাহার বন্দরে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাবাহার বন্দর সহ ইরানের ওপর অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মূলত দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে চাপে রাখার জন্য। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় অতীতের মতো এবারও ভারতের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে। এর আগে ২০১৮ সালেও ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের জন্য একই ধরনের ছাড় দিয়েছিল, যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলো চাবাহারে উন্নয়নকাজ চালিয়ে যেতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান।’ এদিকে ভারত সরকার সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কোম্পানিগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়েও বিশ্লেষণ করছে। কারণ দেশটি রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ক্রয় করে। এই তেল কেনার জের ধরেই ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, জ্বালানির ক্ষেত্রে ১৪০ কোটি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে হয় তাদের। এই কারণেই বিভিন্ন উৎস থেকে সাশ্রয়ী জ্বালানি সংগ্রহে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে পশ্চিমাদের সমালোচনার জবাবে ইতিপূর্বে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘ভারত এক মাসে রাশিয়া থেকে যত তেল কেনে, ইউরোপ তা এক বিকেলেই কিনে ফেলে।’
চাবাহার বন্দরের শহিদ বেহেশতি টার্মিনাল বর্তমানে ভারত পরিচালনা করছে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানের জন্যও এই বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দেশটিকে পাকিস্তান ছাড়াই সরাসরি আরব সাগর এবং বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রায় কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, ‘ভারত কোনো চুক্তি তাড়াহুড়ো বা চাপের মুখে করবে না।’ তবে শিগগিরই উভয় দেশ ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করে
৯ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
৬ মিনিট আগে
দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
পাঁচ বছর ধরে আমিরাতের আল আইন শহরে বাস করছেন ৩১ বছর বয়সী হায়দার আলী। কাজ করেন বৈদ্যুতিক পণ্যের দোকানে। পরিবার থাকে বাংলাদেশে।
একদিন বিগ টিকিটের বিক্রয় দলের ফোনকলের মাধ্যমে এ লটারির খবর পান তিনি। এরপর নিয়মিতভাবে টিকিট কিনতে শুরু করেন কখনো নিজের নামে, কখনো বা অন্যের নামে নিবন্ধন করে।
গত দুই বছর ধরে চার-পাঁচজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে মিলে প্রতি মাসে যৌথভাবে অর্থ জোগাড় করে লটারিতে অংশ নিচ্ছিলেন হায়দার। আশা ছিল, একদিন ভাগ্যের চাকা ঘুরবেই। অবশেষে ধৈর্যের ফল মিলল।
সরাসরি সম্প্রচারে লটারির ফল ঘোষণার সময় উপস্থাপক রিচার্ড যখন ফোন করে সুখবরটি জানান, তখন মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে যান হায়দার। প্রশ্ন করেন, ‘কত গ্রাম?’ উত্তর শুনে বলেন, ‘২৪ ক্যারেট? আচ্ছা!’
বিস্মিত হয়ে ফোনটি বন্ধুকে দেন নিশ্চিত হতে, এটা সত্যি কিনা, নাকি কোনো ঠাট্টা।
রিচার্ডের মুখে যখন ‘বিগ টিকিট’ নামটি শোনা গেল, তখন আর ধরে রাখা গেল না আনন্দ। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন সবাই, কারণ অবশেষে ভাগ্য খুলেছে তাঁদের।
সোনার বারের দাম শুনেই হায়দার আলীর মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। এটা সত্যিই এক বড় চমক।’
পুরস্কারটির অর্থ কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা এখনো ঠিক করেননি হায়দার। তবে তাঁর ভাষায়, এই জয় তাঁকে নতুন উদ্যম ও আশায় ভরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাকে প্রতি মাসে লটারিতে অংশ নিতে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।’
বিগ টিকিটের প্রশংসা করে হায়দার আলী আর বলেন, ‘এটা খুব ভালো একটি কোম্পানি। এর প্রক্রিয়াটাও বেশ সহজ।’

দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
পাঁচ বছর ধরে আমিরাতের আল আইন শহরে বাস করছেন ৩১ বছর বয়সী হায়দার আলী। কাজ করেন বৈদ্যুতিক পণ্যের দোকানে। পরিবার থাকে বাংলাদেশে।
একদিন বিগ টিকিটের বিক্রয় দলের ফোনকলের মাধ্যমে এ লটারির খবর পান তিনি। এরপর নিয়মিতভাবে টিকিট কিনতে শুরু করেন কখনো নিজের নামে, কখনো বা অন্যের নামে নিবন্ধন করে।
গত দুই বছর ধরে চার-পাঁচজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে মিলে প্রতি মাসে যৌথভাবে অর্থ জোগাড় করে লটারিতে অংশ নিচ্ছিলেন হায়দার। আশা ছিল, একদিন ভাগ্যের চাকা ঘুরবেই। অবশেষে ধৈর্যের ফল মিলল।
সরাসরি সম্প্রচারে লটারির ফল ঘোষণার সময় উপস্থাপক রিচার্ড যখন ফোন করে সুখবরটি জানান, তখন মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে যান হায়দার। প্রশ্ন করেন, ‘কত গ্রাম?’ উত্তর শুনে বলেন, ‘২৪ ক্যারেট? আচ্ছা!’
বিস্মিত হয়ে ফোনটি বন্ধুকে দেন নিশ্চিত হতে, এটা সত্যি কিনা, নাকি কোনো ঠাট্টা।
রিচার্ডের মুখে যখন ‘বিগ টিকিট’ নামটি শোনা গেল, তখন আর ধরে রাখা গেল না আনন্দ। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন সবাই, কারণ অবশেষে ভাগ্য খুলেছে তাঁদের।
সোনার বারের দাম শুনেই হায়দার আলীর মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। এটা সত্যিই এক বড় চমক।’
পুরস্কারটির অর্থ কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা এখনো ঠিক করেননি হায়দার। তবে তাঁর ভাষায়, এই জয় তাঁকে নতুন উদ্যম ও আশায় ভরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা আমাকে প্রতি মাসে লটারিতে অংশ নিতে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।’
বিগ টিকিটের প্রশংসা করে হায়দার আলী আর বলেন, ‘এটা খুব ভালো একটি কোম্পানি। এর প্রক্রিয়াটাও বেশ সহজ।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করে
৯ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
৬ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের এক উপদেষ্টা জানান, বিনিয়োগ ও জাহাজ নির্মাণ সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে এগিয়েছে দুই দেশ। ট্রাম্পও বলেছেন, চুক্তিটি ‘প্রায় চূড়ান্ত’।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের এখনকার ডিজেলচালিত সেকেলে ধীরগতির সাবমেরিনের পরিবর্তে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছি।’
আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করবে ফিলাডেলফিয়া শিপইয়ার্ডে, আমাদের প্রিয় আমেরিকাতে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিশাল প্রত্যাবর্তন হচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিশ্বের অন্যতম উন্নত হলেও, পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রপালশন প্রযুক্তি কোথা থেকে আসবে, সে বিষয়ে ট্রাম্প কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অকাস (Aukus) প্রকল্পে কাজ করছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন পাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই প্রযুক্তি ভাগ করে নিয়েছে, তাও সেই পঞ্চাশের দশকে।
গতকাল বুধবার লি জে মিয়ুং ট্রাম্পকে পারমাণবিক সাবমেরিনের জন্য জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন।
লি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব করছি না। বরং, ডিজেলচালিত সাবমেরিনের পানির নিচে স্থায়িত্ব কম, যা আমাদের উত্তর কোরিয়া বা চীনের সাবমেরিনগুলোকে অনুসরণ করার ক্ষমতাকে সীমিত করে।’
লি-এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য প্রেসিডেন্টরাও পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক দশক ধরে এর বিরোধিতা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সিউলের প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস জানিয়েছে, ট্রাম্পের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজের ডেজার্টের ওপরে ‘PEACE!’ (শান্তি!) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটি দুই নেতার প্রথম সাক্ষাতের প্রতিধ্বনি, যখন তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির রক্ষায় ‘শান্তি স্থাপনকারী’ (পিসমেকার) এবং ‘গতি সঞ্চারকারী’ (পেসমেকার) হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করায় উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে রয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প জানান, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কোনো বৈঠক আয়োজন করতে সক্ষম হননি, ফলে বহু বছরের কূটনৈতিক স্থবিরতার পর সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে চলা তীব্র জল্পনার অবসান হলো।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যারিল কিমবল বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এ ধরনের সাবমেরিন অর্জন করলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক হবে। অকাস চুক্তির মতো দক্ষিণ কোরিয়া সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবমেরিনের জন্য পারমাণবিক প্রপালশন সেবা ও জ্বালানি আশা করছে।
কিমবল আরও বলেন, এই ধরনের সাবমেরিন সাধারণত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। এর জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর পক্ষ থেকে জটিল এক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে যা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তি বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা অর্জন করা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য প্রযুক্তিগত এবং সামরিকভাবে অপ্রয়োজনীয়, যা পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনেও ব্যবহার হতে পারে।’
কিমবল আরও সতর্ক করে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে চায়, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত মিত্রদের কাছ থেকে আসা এই ধরনের প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা, যেমনটি তারা শত্রুপক্ষের এই দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তিগুলিতে প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার জন্য কাজ করে।’

দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুমোদন দেন ট্রাম্প।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের এক উপদেষ্টা জানান, বিনিয়োগ ও জাহাজ নির্মাণ সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে এগিয়েছে দুই দেশ। ট্রাম্পও বলেছেন, চুক্তিটি ‘প্রায় চূড়ান্ত’।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের এখনকার ডিজেলচালিত সেকেলে ধীরগতির সাবমেরিনের পরিবর্তে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছি।’
আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করবে ফিলাডেলফিয়া শিপইয়ার্ডে, আমাদের প্রিয় আমেরিকাতে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিশাল প্রত্যাবর্তন হচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিশ্বের অন্যতম উন্নত হলেও, পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রপালশন প্রযুক্তি কোথা থেকে আসবে, সে বিষয়ে ট্রাম্প কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অকাস (Aukus) প্রকল্পে কাজ করছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন পাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই প্রযুক্তি ভাগ করে নিয়েছে, তাও সেই পঞ্চাশের দশকে।
গতকাল বুধবার লি জে মিয়ুং ট্রাম্পকে পারমাণবিক সাবমেরিনের জন্য জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন।
লি ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব করছি না। বরং, ডিজেলচালিত সাবমেরিনের পানির নিচে স্থায়িত্ব কম, যা আমাদের উত্তর কোরিয়া বা চীনের সাবমেরিনগুলোকে অনুসরণ করার ক্ষমতাকে সীমিত করে।’
লি-এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য প্রেসিডেন্টরাও পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক দশক ধরে এর বিরোধিতা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সিউলের প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস জানিয়েছে, ট্রাম্পের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজের ডেজার্টের ওপরে ‘PEACE!’ (শান্তি!) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটি দুই নেতার প্রথম সাক্ষাতের প্রতিধ্বনি, যখন তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির রক্ষায় ‘শান্তি স্থাপনকারী’ (পিসমেকার) এবং ‘গতি সঞ্চারকারী’ (পেসমেকার) হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করায় উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে রয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প জানান, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সফরের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কোনো বৈঠক আয়োজন করতে সক্ষম হননি, ফলে বহু বছরের কূটনৈতিক স্থবিরতার পর সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে চলা তীব্র জল্পনার অবসান হলো।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যারিল কিমবল বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এ ধরনের সাবমেরিন অর্জন করলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক হবে। অকাস চুক্তির মতো দক্ষিণ কোরিয়া সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবমেরিনের জন্য পারমাণবিক প্রপালশন সেবা ও জ্বালানি আশা করছে।
কিমবল আরও বলেন, এই ধরনের সাবমেরিন সাধারণত উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। এর জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর পক্ষ থেকে জটিল এক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে যা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তি বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা অর্জন করা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য প্রযুক্তিগত এবং সামরিকভাবে অপ্রয়োজনীয়, যা পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনেও ব্যবহার হতে পারে।’
কিমবল আরও সতর্ক করে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে চায়, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত মিত্রদের কাছ থেকে আসা এই ধরনের প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা, যেমনটি তারা শত্রুপক্ষের এই দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তিগুলিতে প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার জন্য কাজ করে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুষ্ট করতে চাইলে প্রশংসা বা তোষামোদই সেরা অস্ত্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় যেভাবে বিভিন্ন দেশের নেতারা আচরণ করছেন, তাতে এমনটি মনে হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতারা যেভাবে আচরণ করে
৯ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
৬ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ইরানের চাবাহার বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভারতের ক্ষেত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এই ছাড় কার্যকর হবে ২৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
দুই বছর ধরে চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় বিগ টিকিট লটারিতে ভাগ্য খুলল প্রবাসী বাংলাদেশি হায়দার আলীর। লটারির সাপ্তাহিক ড্রতে ২৪ ক্যারেটের ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার বার জিতেছেন তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৪ টাকা)।
৫ ঘণ্টা আগে