সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সরকারি নথির ৮০ হাজার পৃষ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন ন্যাশনাল আর্কাইভস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল আর্কাইভস জানিয়েছে যে পূর্বে ক্লাসিফায়েড থাকার কারণে যেসব নথিপত্র গোপন রাখা হয়েছিল, সেগুলোর সব প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয় সংরক্ষণাগারের ওয়েবসাইটে বা সেখানে সরাসরি গিয়ে নথিগুলো দেখা যাবে। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার নথি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বাকি নথিগুলোর ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। কাজ শেষ হলে সেগুলোও খুব দ্রুতই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের কার্যালয় জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ৮০ হাজার পৃষ্ঠার নথি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার কেনেডি সেন্টারে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আজই (মঙ্গলবার) কেনেডি হত্যাসংক্রান্ত কৌতূহলোদ্দীপক নথি প্রকাশ করা হবে। নথিগুলো প্রকাশের পর থেকে জাতীয় সংরক্ষণাগারের ওয়েবসাইটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ইতিহাসবিদ ও কৌতূহলী নেটিজেনরা। নানাভাবে সেসব নথি বিশ্লেষণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের হত্যার রহস্যজট খুলতে চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে গুপ্তহত্যার শিকার হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। এ ঘটনায় আটক হন হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ড। তিনি সাবেক মার্কিন মেরিন কর্মকর্তা ছিলেন। আটকের দুই দিন পর ডালাস পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়ার পথে অসওয়াল্ডকে গুলি করে হত্যা করেন এক নাইটক্লাবের মালিক।
কেনেডি হত্যার পর পেরিয়ে গেছে ছয় দশকেরও বেশি সময়। তবে, এত দিনেও কেনেডি হত্যার রহস্য সাধারণের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। জানা যায়নি, কে বা কারা ছিল কেনেডি হত্যার পেছনে, কী-ই বা ছিল তাদের স্বার্থ।
দশকের পর দশক ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে, এই হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে মার্কিনদের সন্দেহ আছে। ১৯৬৩ সালেই প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের নির্দেশে এই হত্যার তদন্তের জন্য বিশেষ একটি কমিশন গঠন করা হয়, যার নাম ‘ওয়ারেন কমিশন’। ওয়ারেন কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অসওয়াল্ড একাই দায়ী। তবে, গ্যালপের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ওয়ারেন কমিশনের এই পর্যবেক্ষণ বিশ্বাস করেন না ৬৫ শতাংশ মার্কিন।
অনেকেই মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ অথবা তৎকালীন প্রশাসনেরই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন অসওয়াল্ড। গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী, ২০ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, তৎকালীন প্রশাসনই জড়িত এর সঙ্গে, অন্যদিকে ১৬ শতাংশ মার্কিনির ধারণা সিআইএ-ই কলকাঠি নেড়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৬০ বছর ধরে যে জল ঘোলা করা হয়েছে, তা এবার পরিষ্কার করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কেনেডি হত্যার রহস্যজট খুলতে তৎপর হয়েছেন। অভিষেকের দিনই জন এফ কেনেডি, তাঁর ছোট ভাই রবার্ট এফ কেনেডি ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সব নথিপত্র জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নথি।
১৯৯০–এর দশকে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সব নথি জাতীয় আর্কাইভের একক সংগ্রহে রাখা বাধ্যতামূলক করে তৎকালীন মার্কিন সরকার। কিছু নথি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও অনেক নথিই গোপন রাখা হয়। প্রথম মেয়াদেও কেনেডি হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত সব নথি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, নানামুখী চাপের কারণে প্রকাশ করতে পেরেছিলেন কেবল ২ হাজার ৮০০টি নথি। জাতীয় সংরক্ষণাগারের মতে, ১৯৯২ সালের জন এফ কেনেডি রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুসারে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার নথির মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সরকারি নথির ৮০ হাজার পৃষ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন ন্যাশনাল আর্কাইভস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল আর্কাইভস জানিয়েছে যে পূর্বে ক্লাসিফায়েড থাকার কারণে যেসব নথিপত্র গোপন রাখা হয়েছিল, সেগুলোর সব প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয় সংরক্ষণাগারের ওয়েবসাইটে বা সেখানে সরাসরি গিয়ে নথিগুলো দেখা যাবে। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার নথি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। বাকি নথিগুলোর ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। কাজ শেষ হলে সেগুলোও খুব দ্রুতই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের কার্যালয় জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ৮০ হাজার পৃষ্ঠার নথি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার কেনেডি সেন্টারে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আজই (মঙ্গলবার) কেনেডি হত্যাসংক্রান্ত কৌতূহলোদ্দীপক নথি প্রকাশ করা হবে। নথিগুলো প্রকাশের পর থেকে জাতীয় সংরক্ষণাগারের ওয়েবসাইটে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ইতিহাসবিদ ও কৌতূহলী নেটিজেনরা। নানাভাবে সেসব নথি বিশ্লেষণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের হত্যার রহস্যজট খুলতে চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে গুপ্তহত্যার শিকার হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। এ ঘটনায় আটক হন হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ড। তিনি সাবেক মার্কিন মেরিন কর্মকর্তা ছিলেন। আটকের দুই দিন পর ডালাস পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়ার পথে অসওয়াল্ডকে গুলি করে হত্যা করেন এক নাইটক্লাবের মালিক।
কেনেডি হত্যার পর পেরিয়ে গেছে ছয় দশকেরও বেশি সময়। তবে, এত দিনেও কেনেডি হত্যার রহস্য সাধারণের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। জানা যায়নি, কে বা কারা ছিল কেনেডি হত্যার পেছনে, কী-ই বা ছিল তাদের স্বার্থ।
দশকের পর দশক ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে, এই হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে মার্কিনদের সন্দেহ আছে। ১৯৬৩ সালেই প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের নির্দেশে এই হত্যার তদন্তের জন্য বিশেষ একটি কমিশন গঠন করা হয়, যার নাম ‘ওয়ারেন কমিশন’। ওয়ারেন কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অসওয়াল্ড একাই দায়ী। তবে, গ্যালপের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ওয়ারেন কমিশনের এই পর্যবেক্ষণ বিশ্বাস করেন না ৬৫ শতাংশ মার্কিন।
অনেকেই মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ অথবা তৎকালীন প্রশাসনেরই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন অসওয়াল্ড। গ্যালপের জরিপ অনুযায়ী, ২০ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, তৎকালীন প্রশাসনই জড়িত এর সঙ্গে, অন্যদিকে ১৬ শতাংশ মার্কিনির ধারণা সিআইএ-ই কলকাঠি নেড়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৬০ বছর ধরে যে জল ঘোলা করা হয়েছে, তা এবার পরিষ্কার করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কেনেডি হত্যার রহস্যজট খুলতে তৎপর হয়েছেন। অভিষেকের দিনই জন এফ কেনেডি, তাঁর ছোট ভাই রবার্ট এফ কেনেডি ও বর্ণবাদবিরোধী নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সব নথিপত্র জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত নথি।
১৯৯০–এর দশকে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত সব নথি জাতীয় আর্কাইভের একক সংগ্রহে রাখা বাধ্যতামূলক করে তৎকালীন মার্কিন সরকার। কিছু নথি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও অনেক নথিই গোপন রাখা হয়। প্রথম মেয়াদেও কেনেডি হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত সব নথি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, নানামুখী চাপের কারণে প্রকাশ করতে পেরেছিলেন কেবল ২ হাজার ৮০০টি নথি। জাতীয় সংরক্ষণাগারের মতে, ১৯৯২ সালের জন এফ কেনেডি রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুসারে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার নথির মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
১০ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
২৫ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
৩৩ মিনিট আগেইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনটি স্থাপনাই ‘শেষ’ করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের হুমকি দূর করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে