আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘ট্রাম্পকে থামান, বিচার বিভাগ বাঁচান’, ‘ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের ভোটে, তাঁকে বেছে নিয়েছেন পুতিন’, ‘ইলন মাস্ককে মঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হোক’। এগুলো প্ল্যাকার্ডের লেখা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্ট ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই বিক্ষোভে এসব প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। নতুন এই শুল্কনীতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশ পণ্য বিক্রি করতে হলে কমপক্ষে ১০ শতাংশ দিতে হবে। এই নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও চটেছে। এদিকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প। এতে চটেছেন দেশের মানুষ। ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করে গত শনিবার রাস্তায় নেমে এসেছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই বিক্ষোভ হয়েছে। এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ড অফ!’। দেশে ১ হাজার ৪০০টি বিক্ষোভ হয়েছে। অঙ্গরাজ্যগুলোর রাজধানী, সরকারি ভবন, কংগ্রেস, সোশ্যাল সিকিউরিটি সদর দপ্তর, পার্ক, সিটি হল—দেশের হেন স্থান নেই, যেখানে শনিবার বিক্ষোভ হয়নি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন, ট্রাম্প প্রশাসন জনগণের কথা শুনুক। এর মধ্য দিয়ে ধনকুবেরদের হাত থেকে ক্ষমতা জনগণের কাছে আসুক।
‘প্রো ডেমোক্রেসি মুভমেন্টের’ ব্যানারে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য অনলাইনে একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছিল। এতে ৬ লাখ মানুষ যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট, বার্লিনে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার শোরুমের সামনে, ফ্রান্সের প্যারিসসহ বড় বড় সব শহরে শনিবার ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের নীতির কড়া সমালোচনা করে বিক্ষোভ হয়েছে। মানবাধিকারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব বিক্ষোভে অংশ নেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থেকে আয়োজকেরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেছেন। এগুলোর মধ্য রয়েছে ধনকুবেরদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো কুক্ষিগত হয়েছে; এই পরিস্থিতির ইতি টানতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে; এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা খাত, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কর্মজীবী মানুষের জন্য ফেডারেল সরকারের যে তহবিল রয়েছে, তা কমানো হয়েছে। এই তহবিল কমানো যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী, ট্রান্সজেন্ডার ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ওপর চলমান হামলা বন্ধ করতে হবে।
আইনপ্রণেতারাও বিক্ষোভে
শনিবারের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও অংশ নিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির একটি বিক্ষোভে যোগ দেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ডেমোক্রেটিক পার্টির জেমি রাসকিন। তিনি বলেন, ‘যিনি অর্থনৈতিকভাবে হারবার্ট হুভার ও রাজনৈতিকভাবে মুসোলিনির মতো করে চিন্তা করেন, সেই প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাতা হতে পারেন না।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে কথা বলেছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অন্যতম বড় সংগঠন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফেডারেল এমপ্লয়িজের প্রেসিডেন্ট
র্যান্ডি এরউইন বলেন, ‘দেশের সরকারি সেবা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটাই সত্য।’ তারা বলছে, তারা সরকারি অফিসগুলো আরও বেশি কর্মদক্ষ করছে। কিন্তু এটা হাস্যকার। এটা সত্যি ভয়ংকর। কারণ, তারা যা বলছে, তার উল্টোটা করছে।
‘ট্রাম্পকে থামান, বিচার বিভাগ বাঁচান’, ‘ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের ভোটে, তাঁকে বেছে নিয়েছেন পুতিন’, ‘ইলন মাস্ককে মঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হোক’। এগুলো প্ল্যাকার্ডের লেখা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্ট ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই বিক্ষোভে এসব প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। নতুন এই শুল্কনীতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশ পণ্য বিক্রি করতে হলে কমপক্ষে ১০ শতাংশ দিতে হবে। এই নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও চটেছে। এদিকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প। এতে চটেছেন দেশের মানুষ। ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করে গত শনিবার রাস্তায় নেমে এসেছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই বিক্ষোভ হয়েছে। এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ড অফ!’। দেশে ১ হাজার ৪০০টি বিক্ষোভ হয়েছে। অঙ্গরাজ্যগুলোর রাজধানী, সরকারি ভবন, কংগ্রেস, সোশ্যাল সিকিউরিটি সদর দপ্তর, পার্ক, সিটি হল—দেশের হেন স্থান নেই, যেখানে শনিবার বিক্ষোভ হয়নি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন, ট্রাম্প প্রশাসন জনগণের কথা শুনুক। এর মধ্য দিয়ে ধনকুবেরদের হাত থেকে ক্ষমতা জনগণের কাছে আসুক।
‘প্রো ডেমোক্রেসি মুভমেন্টের’ ব্যানারে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য অনলাইনে একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছিল। এতে ৬ লাখ মানুষ যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট, বার্লিনে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার শোরুমের সামনে, ফ্রান্সের প্যারিসসহ বড় বড় সব শহরে শনিবার ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের নীতির কড়া সমালোচনা করে বিক্ষোভ হয়েছে। মানবাধিকারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব বিক্ষোভে অংশ নেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থেকে আয়োজকেরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেছেন। এগুলোর মধ্য রয়েছে ধনকুবেরদের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো কুক্ষিগত হয়েছে; এই পরিস্থিতির ইতি টানতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে; এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা খাত, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কর্মজীবী মানুষের জন্য ফেডারেল সরকারের যে তহবিল রয়েছে, তা কমানো হয়েছে। এই তহবিল কমানো যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী, ট্রান্সজেন্ডার ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ওপর চলমান হামলা বন্ধ করতে হবে।
আইনপ্রণেতারাও বিক্ষোভে
শনিবারের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও অংশ নিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির একটি বিক্ষোভে যোগ দেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ডেমোক্রেটিক পার্টির জেমি রাসকিন। তিনি বলেন, ‘যিনি অর্থনৈতিকভাবে হারবার্ট হুভার ও রাজনৈতিকভাবে মুসোলিনির মতো করে চিন্তা করেন, সেই প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাতা হতে পারেন না।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে কথা বলেছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অন্যতম বড় সংগঠন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফেডারেল এমপ্লয়িজের প্রেসিডেন্ট
র্যান্ডি এরউইন বলেন, ‘দেশের সরকারি সেবা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এটাই সত্য।’ তারা বলছে, তারা সরকারি অফিসগুলো আরও বেশি কর্মদক্ষ করছে। কিন্তু এটা হাস্যকার। এটা সত্যি ভয়ংকর। কারণ, তারা যা বলছে, তার উল্টোটা করছে।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয়তা (বিরোধী দলগুলোর দাবি) নিয়ে কংগ্রেসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই পোস্ট আবার পাকিস্তানের সাবেক এক মন্ত্রী রিশেয়ার করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছ
২ ঘণ্টা আগেসীমান্তে ভারতের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে গুলি করে সেটিকে ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করছে তারা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজধানী লন্ডনের প্যাডিংটনে একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০০ জন কর্মী। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই একই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
৫ ঘণ্টা আগেপুতিন কি আসলেই শান্তি চান? নাকি কেবলই লোক দেখানো?—রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে সম্প্রতি বারবারই উঠছে এই প্রশ্ন। কারণ, এখন ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেন ক্রেমলিনের চালাকিতে পরিণত হয়েছে! গতকাল সোমবার পুতিন আবারও তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
৫ ঘণ্টা আগে