আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এই ফোনালাপের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, অক্টোবরের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পরবর্তী বছরের শুরুতে চীনে সফর করবেন।
পোস্টে ট্রাম্প আরও জানান, ‘উপযুক্ত’ সময় হলে সি চিন পিংও যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন। তাঁরা ‘টিকটক চুক্তি’ অনুমোদন নিয়ে আলোচনায় অগ্রসর হয়েছেন বলেও জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি যাতে যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত কিছুই জানাননি তিনি।
এদিকে চীনা সরকারের বিবৃতিতে এসব সফরের কোনো উল্লেখ করা হয়নি। টিকটকের চীনা মূল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ার বিক্রিতে সি চিন পিংয়ের সম্মতির বিষয়েও কোনো তথ্য তুলে ধরা হয়নি। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সি ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘বাণিজ্য সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করতে বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ এড়াতে।’
যদিও বহুল প্রতীক্ষিত এই ফোনালাপ বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে বিবৃতিগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যায়, পরস্পরবিরোধী বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক কতটা জটিল। তবে, তাঁদের মধ্যে ইতিবাচক অবস্থানের একটি প্রমাণ হলো সামনাসামনি সাক্ষাতের ইচ্ছা।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ফোনালাপটি খুবই ভালো ছিল। আমরা আবারও ফোনে কথা বলব। টিকটক অনুমোদনের জন্য কৃতজ্ঞ। এপিইসিতে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি দুজন।’
এপিএসি হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি অর্থনীতির এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন গ্রুপ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প আরও বলেন, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা টিকটকে বিনিয়োগে আগ্রহী। সিকে এই আলোচনা প্রসঙ্গে ‘এ জেন্টেলম্যান’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তবে টিকটকের অ্যালগরিদমের মালিকানা প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, সির সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে কাজ চলছে। আমাদের খুব ভালো নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’
টিকটকের চীনা মালিকানাধীন মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স এক বিবৃতিতে দুই নেতাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির পরিষেবা অব্যাহত রাখার জন্য চলমান আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে মালিকানার বিষয়টি কীভাবে সমাধান হবে, সে সম্পর্কে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ট্রাম্পও জানান, চুক্তিটি ‘অনেক দূর’ এগিয়েছে।
মাদ্রিদে বাণিজ্য আলোচনার সময় চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অ্যাপটির মালিকানার বিষয়ে একটি কাঠামো চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত বছর ডেটা গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে বাইটড্যান্স থেকে টিকটককে আলাদা করার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ট্রাম্প এই সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বাইটড্যান্সের উৎস এবং মালিকানা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁরা চীনের এমন কিছু আইনের দিকে ইঙ্গিত করেছে, যা অনুযায়ী চীনা কোম্পানিগুলো সরকারের অনুরোধে তাদের কাছে থাকা তথ্য দিতে বাধ্য।
গত সোমবার চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘মেধাস্বত্ব অধিকার ব্যবহারের’ অনুমোদন, যার মধ্যে অ্যালগরিদমও অন্তর্ভুক্ত, সে বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। এ ছাড়া, দুই পক্ষ মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা এবং কনটেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন অংশীদারের ওপর দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
চীনের বিবৃতি অনুযায়ী, ফোনালাপে সি ট্রাম্পকে বলেছেন, বেইজিং বাজারের নিয়ম মেনে ফলপ্রসূ বাণিজ্যিক আলোচনা দেখে খুশি হবে। যা চীনের আইন ও প্রবিধান মেনে একটি সমাধান বের করতে এবং উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করতে সাহায্য করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উন্মুক্ত, ন্যায্য এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ তৈরি করা।’
ওয়াশিংটনের থিঙ্কট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের জ্যেষ্ঠ চীনা গবেষক ক্রেইগ সিঙ্গেলটন বলেন, টিকটক নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়েছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, ‘বেইজিং চীনের আইন অনুযায়ী বাজারভিত্তিক আলোচনার কথা বলে, যার ফলে তাদের হাতে কার্যত ভেটোর ক্ষমতা থেকে যায়। অন্যদিকে, ট্রাম্প নিজেকে চূড়ান্ত অনুমোদনকারী হিসেবে তুলে ধরছেন।’
শুক্রবারে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, তাঁরা আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, ফেন্টানিল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা।
এর আগের দিন ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে পারে যদি ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের ওপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ করে। ট্রাম্প ভারতের ওপর যেমন মস্কোর তেল কেনার জন্য শুল্ক আরোপ করেছিলেন, বেইজিংয়ের ওপরও তিনি একই রকম শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন কি না, তা অবশ্য জানাননি।
গত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কর্মকর্তারা চার দফায় বাণিজ্য আলোচনা করেছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পক্ষই উচ্চ শুল্ক স্থগিত করেছে এবং কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে।
তবে, প্রযুক্তি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ক্রয় বা ফেন্টানিল নিয়ে তারা এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর কারণ হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে, বেইজিং এমন রাসায়নিকের প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আফিম জাতীয় (অপিওয়েড) ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
এর জবাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে চীনের সঙ্গে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মার্কিন কৃষকেরা তাঁদের অন্যতম প্রধান বাজার হারিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত চীনে মার্কিন কৃষিপণ্যের রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ কমে গেছে। কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি, যেমন—চীনে যুক্তরাষ্ট্রের জোয়ার বিক্রি ৯৭ শতাংশ কমেছে।
ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি শন স্টেইন বলেন, যদি ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়, তাহলে বেইজিং তার প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের কেনাকাটা আবার শুরু করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে বাজারে অনেক ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে এবং ফেন্টানিলের মানবিক সংকটও হ্রাস পাবে।’

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এই ফোনালাপের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, অক্টোবরের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পরবর্তী বছরের শুরুতে চীনে সফর করবেন।
পোস্টে ট্রাম্প আরও জানান, ‘উপযুক্ত’ সময় হলে সি চিন পিংও যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন। তাঁরা ‘টিকটক চুক্তি’ অনুমোদন নিয়ে আলোচনায় অগ্রসর হয়েছেন বলেও জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি যাতে যুক্তরাষ্ট্রে চালু থাকতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত কিছুই জানাননি তিনি।
এদিকে চীনা সরকারের বিবৃতিতে এসব সফরের কোনো উল্লেখ করা হয়নি। টিকটকের চীনা মূল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ার বিক্রিতে সি চিন পিংয়ের সম্মতির বিষয়েও কোনো তথ্য তুলে ধরা হয়নি। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সি ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘বাণিজ্য সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করতে বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ এড়াতে।’
যদিও বহুল প্রতীক্ষিত এই ফোনালাপ বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশের নেতাদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে বিবৃতিগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যায়, পরস্পরবিরোধী বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির দুটি দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক কতটা জটিল। তবে, তাঁদের মধ্যে ইতিবাচক অবস্থানের একটি প্রমাণ হলো সামনাসামনি সাক্ষাতের ইচ্ছা।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ফোনালাপটি খুবই ভালো ছিল। আমরা আবারও ফোনে কথা বলব। টিকটক অনুমোদনের জন্য কৃতজ্ঞ। এপিইসিতে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি দুজন।’
এপিএসি হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি অর্থনীতির এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন গ্রুপ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প আরও বলেন, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা টিকটকে বিনিয়োগে আগ্রহী। সিকে এই আলোচনা প্রসঙ্গে ‘এ জেন্টেলম্যান’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তবে টিকটকের অ্যালগরিদমের মালিকানা প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, সির সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে কাজ চলছে। আমাদের খুব ভালো নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’
টিকটকের চীনা মালিকানাধীন মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স এক বিবৃতিতে দুই নেতাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির পরিষেবা অব্যাহত রাখার জন্য চলমান আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে মালিকানার বিষয়টি কীভাবে সমাধান হবে, সে সম্পর্কে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ট্রাম্পও জানান, চুক্তিটি ‘অনেক দূর’ এগিয়েছে।
মাদ্রিদে বাণিজ্য আলোচনার সময় চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অ্যাপটির মালিকানার বিষয়ে একটি কাঠামো চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত বছর ডেটা গোপনীয়তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে বাইটড্যান্স থেকে টিকটককে আলাদা করার জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ট্রাম্প এই সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বাইটড্যান্সের উৎস এবং মালিকানা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁরা চীনের এমন কিছু আইনের দিকে ইঙ্গিত করেছে, যা অনুযায়ী চীনা কোম্পানিগুলো সরকারের অনুরোধে তাদের কাছে থাকা তথ্য দিতে বাধ্য।
গত সোমবার চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘মেধাস্বত্ব অধিকার ব্যবহারের’ অনুমোদন, যার মধ্যে অ্যালগরিদমও অন্তর্ভুক্ত, সে বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। এ ছাড়া, দুই পক্ষ মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা এবং কনটেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন অংশীদারের ওপর দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
চীনের বিবৃতি অনুযায়ী, ফোনালাপে সি ট্রাম্পকে বলেছেন, বেইজিং বাজারের নিয়ম মেনে ফলপ্রসূ বাণিজ্যিক আলোচনা দেখে খুশি হবে। যা চীনের আইন ও প্রবিধান মেনে একটি সমাধান বের করতে এবং উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করতে সাহায্য করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উন্মুক্ত, ন্যায্য এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ তৈরি করা।’
ওয়াশিংটনের থিঙ্কট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের জ্যেষ্ঠ চীনা গবেষক ক্রেইগ সিঙ্গেলটন বলেন, টিকটক নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়েছে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, ‘বেইজিং চীনের আইন অনুযায়ী বাজারভিত্তিক আলোচনার কথা বলে, যার ফলে তাদের হাতে কার্যত ভেটোর ক্ষমতা থেকে যায়। অন্যদিকে, ট্রাম্প নিজেকে চূড়ান্ত অনুমোদনকারী হিসেবে তুলে ধরছেন।’
শুক্রবারে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, তাঁরা আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, ফেন্টানিল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা।
এর আগের দিন ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হতে পারে যদি ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের ওপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ করে। ট্রাম্প ভারতের ওপর যেমন মস্কোর তেল কেনার জন্য শুল্ক আরোপ করেছিলেন, বেইজিংয়ের ওপরও তিনি একই রকম শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন কি না, তা অবশ্য জানাননি।
গত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কর্মকর্তারা চার দফায় বাণিজ্য আলোচনা করেছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পক্ষই উচ্চ শুল্ক স্থগিত করেছে এবং কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে।
তবে, প্রযুক্তি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ক্রয় বা ফেন্টানিল নিয়ে তারা এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর কারণ হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে, বেইজিং এমন রাসায়নিকের প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আফিম জাতীয় (অপিওয়েড) ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
এর জবাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে চীনের সঙ্গে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মার্কিন কৃষকেরা তাঁদের অন্যতম প্রধান বাজার হারিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত চীনে মার্কিন কৃষিপণ্যের রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ কমে গেছে। কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি, যেমন—চীনে যুক্তরাষ্ট্রের জোয়ার বিক্রি ৯৭ শতাংশ কমেছে।
ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি শন স্টেইন বলেন, যদি ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়, তাহলে বেইজিং তার প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের কেনাকাটা আবার শুরু করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে বাজারে অনেক ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে এবং ফেন্টানিলের মানবিক সংকটও হ্রাস পাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করে
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে উঠতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয় করতে পারেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে এসব বিষয় যাচাই করতে হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে নোটিশ আকারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মার্কিন ভিসাপ্রক্রিয়ায় সংক্রামক রোগ, টিকাদানের ইতিহাস, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হতো। তবে নতুন এই নীতিমালায় আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাকে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। কিছু রোগের (যেমন হৃদ্রোগ, শ্বাসযন্ত্র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক, স্নায়বিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা) চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারী চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে।
অলাভজনক আইনি সহায়তা সংস্থা ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার বলেছেন, যদিও এ নির্দেশনা সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে এটি মূলত স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) আবেদনকারীদের ওপরই প্রয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুইলার আরও বলেন, চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়গুলো মূল্যায়নের ক্ষমতা ভিসা কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত করাটা উদ্বেগজনক। তাঁরা চিকিৎসক নন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই আর তাঁদের নিজস্ব ধারণা বা পক্ষপাতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর কি আজীবন চিকিৎসার খরচ বহনের মতো পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য আছে, যাতে তিনি সরকারি সহায়তা বা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেবার প্রয়োজন ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারেন? বিষয়টি অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকও বিবেচনা করতে হবে। যেমন সন্তান বা প্রবীণ অভিভাবকের কোনো শারীরিক অক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে কি না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরশীল সদস্যের (ডিপেনডেন্ট) এমন কোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থা আছে কি না, যার কারণে আবেদনকারীর কাজে কোনো প্রভাব পড়তে পারে?
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, এ নির্দেশিকায় আবেদনকারীদের চিকিৎসা ইতিহাসের ভিত্তিতে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সক্ষমতা যাচাই করতে ভিসা কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে; যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার আবেদনকারী এ ধরনের কোনো জটিলতায় না পড়েন।
সার্বিকভাবে, স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে যেন ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে না ওঠেন, তা এড়াতে এই নতুন নিয়ম।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে উঠতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয় করতে পারেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে এসব বিষয় যাচাই করতে হবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কেএফএফ হেলথ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে নোটিশ আকারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মার্কিন ভিসাপ্রক্রিয়ায় সংক্রামক রোগ, টিকাদানের ইতিহাস, মানসিক অবস্থা ও শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হতো। তবে নতুন এই নীতিমালায় আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাকে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। কিছু রোগের (যেমন হৃদ্রোগ, শ্বাসযন্ত্র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক, স্নায়বিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা) চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারী চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সক্ষম কি না, তা মূল্যায়ন করতে হবে।
অলাভজনক আইনি সহায়তা সংস্থা ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার বলেছেন, যদিও এ নির্দেশনা সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে এটি মূলত স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) আবেদনকারীদের ওপরই প্রয়োগ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুইলার আরও বলেন, চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়গুলো মূল্যায়নের ক্ষমতা ভিসা কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত করাটা উদ্বেগজনক। তাঁরা চিকিৎসক নন, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই আর তাঁদের নিজস্ব ধারণা বা পক্ষপাতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর কি আজীবন চিকিৎসার খরচ বহনের মতো পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য আছে, যাতে তিনি সরকারি সহায়তা বা দীর্ঘমেয়াদি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সেবার প্রয়োজন ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারেন? বিষয়টি অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের দিকও বিবেচনা করতে হবে। যেমন সন্তান বা প্রবীণ অভিভাবকের কোনো শারীরিক অক্ষমতা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে কি না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো নির্ভরশীল সদস্যের (ডিপেনডেন্ট) এমন কোনো শারীরিক বা মানসিক অবস্থা আছে কি না, যার কারণে আবেদনকারীর কাজে কোনো প্রভাব পড়তে পারে?
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন আইনজীবী সোফিয়া জেনোভেস বলেন, এ নির্দেশিকায় আবেদনকারীদের চিকিৎসা ইতিহাসের ভিত্তিতে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয়ের সম্ভাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সক্ষমতা যাচাই করতে ভিসা কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে; যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার আবেদনকারী এ ধরনের কোনো জটিলতায় না পড়েন।
সার্বিকভাবে, স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে যেন ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয়ে না ওঠেন, তা এড়াতে এই নতুন নিয়ম।

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করে
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবড়ির কাছে বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায় এই তিন নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ ভারতের পূর্ব সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করার বড় পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, ট্যাকটিক্যাল ঘাটতি পূরণ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
উত্তরবঙ্গের ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত সিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। এই অঞ্চল চারদিক থেকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের ঘেরা।
চিকেনস নেককে অনেকে ভারতের দুর্বল অংশ মনে করলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একে দেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এক সেনা সূত্রের ভাষায়, ‘সিলিগুড়ি করিডর বহুস্তরীয় নিরাপত্তাবলয়ে সুরক্ষিত। নতুন ঘাঁটিগুলো আমাদের দ্রুত চলাচল, লজিস্টিকস এবং রিয়েল টাইম গোয়েন্দা তথ্য সংহত করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে।’
এর আগে ভারতীয় সেনাপ্রধানও মন্তব্য করেছিলেন, ‘চিকেনস নেককে আমি দুর্বল অংশ হিসেবে দেখি না। এটি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত আমাদের সব বাহিনী এখানে একত্রে মোতায়েন করা যায়।’
জানা গেছে, সিলিগুড়ির কাছে সুখনায় অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পস (৩৩-কর্পস) এই করিডরের প্রতিরক্ষা তদারক করে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকাশপথে করিডরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাফাল যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া মিগ সিরিজের বিমান এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টও রয়েছে।
এ ছাড়া ভারত এই অঞ্চলে একটি উন্নত তিনস্তরের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করেছে, যেখানে রয়েছে রাশিয়া থেকে আনা এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েল ও ডিআরডিওর যৌথভাবে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। এই তিনটি মিলেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা কাভারেজ দেয়।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অঞ্চলে এস-৪০০ সিস্টেম মূলত চীন বা অন্য শত্রুপক্ষের বিমান অনুপ্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবড়ির কাছে বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায় এই তিন নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ ভারতের পূর্ব সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করার বড় পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, ট্যাকটিক্যাল ঘাটতি পূরণ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
উত্তরবঙ্গের ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত সিলিগুড়ি করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে। এই অঞ্চল চারদিক থেকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীনের ঘেরা।
চিকেনস নেককে অনেকে ভারতের দুর্বল অংশ মনে করলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একে দেশের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এক সেনা সূত্রের ভাষায়, ‘সিলিগুড়ি করিডর বহুস্তরীয় নিরাপত্তাবলয়ে সুরক্ষিত। নতুন ঘাঁটিগুলো আমাদের দ্রুত চলাচল, লজিস্টিকস এবং রিয়েল টাইম গোয়েন্দা তথ্য সংহত করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে।’
এর আগে ভারতীয় সেনাপ্রধানও মন্তব্য করেছিলেন, ‘চিকেনস নেককে আমি দুর্বল অংশ হিসেবে দেখি না। এটি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত আমাদের সব বাহিনী এখানে একত্রে মোতায়েন করা যায়।’
জানা গেছে, সিলিগুড়ির কাছে সুখনায় অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পস (৩৩-কর্পস) এই করিডরের প্রতিরক্ষা তদারক করে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকাশপথে করিডরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন রাফাল যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া মিগ সিরিজের বিমান এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্টও রয়েছে।
এ ছাড়া ভারত এই অঞ্চলে একটি উন্নত তিনস্তরের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করেছে, যেখানে রয়েছে রাশিয়া থেকে আনা এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েল ও ডিআরডিওর যৌথভাবে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। এই তিনটি মিলেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা কাভারেজ দেয়।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অঞ্চলে এস-৪০০ সিস্টেম মূলত চীন বা অন্য শত্রুপক্ষের বিমান অনুপ্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করে
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করেছে।
১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘বন্দে মাতরম’ কবিতাটি। এটি পরে তাঁর ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২) উপন্যাসে প্রকাশিত হয়। ছয় স্তবকের এই কবিতা একসময় ভারতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠে। কবিতাটিতে মাতৃভূমিকে এক দেবীরূপে কল্পনা করা হয়েছে—যিনি একই সঙ্গে স্নেহময়ী ও দুর্জয়। বঙ্কিমচন্দ্র শেষের স্তবকগুলোয় ভারতমাতাকে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী রূপে উল্লেখ করেছিলেন।
এদিকে ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস দলের একটি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—জাতীয় অনুষ্ঠানে শুধু প্রথম দুটি স্তবক গাওয়া হবে। কারণ, অন্য স্তবকগুলোতে হিন্দু দেবীদের সরাসরি উল্লেখ কিছু মুসলিম প্রতিনিধির কাছে ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল। সেই সময় দলের নেতা জওহরলাল নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি লিখে জানান—পুরো কবিতাটি সুপাঠ্য হলেও এর কিছু অংশ মুসলিম সমাজে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। তাই আপাতত কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।
আজ দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকেই আজ বিজেপি ‘বিভাজনের বীজ বপন’ বলে সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, কংগ্রেস রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পাল্টা মন্তব্যে বলেছেন, যারা আজ জাতীয়তাবাদের রক্ষক সেজেছে—আরএসএস ও বিজেপি—বন্দে মাতরম তারা কখনোই গায়নি।
বিতর্ক আরও তীব্র হয়, যখন নেহরু ও নেতাজির মধ্যে ১৯৩৭ সালে আদান-প্রদান হওয়া চিঠি প্রকাশ করে বিজেপি। সেই পত্রে নেহরু স্বীকার করেন, কিছু মুসলিমের আপত্তির ক্ষেত্রে যুক্তি থাকতে পারে।
প্রায় ৯০ বছর পর কংগ্রেসের সেই সিদ্ধান্ত ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, পশ্চিমবঙ্গের আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশপ্রেম ও মুসলিম তোষণ ইস্যুতে ‘বন্দে মাতরম’ আবারও রাজনৈতিক তরবারি হয়ে উঠেছে।

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করেছে।
১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘বন্দে মাতরম’ কবিতাটি। এটি পরে তাঁর ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২) উপন্যাসে প্রকাশিত হয়। ছয় স্তবকের এই কবিতা একসময় ভারতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠে। কবিতাটিতে মাতৃভূমিকে এক দেবীরূপে কল্পনা করা হয়েছে—যিনি একই সঙ্গে স্নেহময়ী ও দুর্জয়। বঙ্কিমচন্দ্র শেষের স্তবকগুলোয় ভারতমাতাকে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতী রূপে উল্লেখ করেছিলেন।
এদিকে ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস দলের একটি অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—জাতীয় অনুষ্ঠানে শুধু প্রথম দুটি স্তবক গাওয়া হবে। কারণ, অন্য স্তবকগুলোতে হিন্দু দেবীদের সরাসরি উল্লেখ কিছু মুসলিম প্রতিনিধির কাছে ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল। সেই সময় দলের নেতা জওহরলাল নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠি লিখে জানান—পুরো কবিতাটি সুপাঠ্য হলেও এর কিছু অংশ মুসলিম সমাজে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। তাই আপাতত কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।
আজ দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকেই আজ বিজেপি ‘বিভাজনের বীজ বপন’ বলে সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, কংগ্রেস রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পাল্টা মন্তব্যে বলেছেন, যারা আজ জাতীয়তাবাদের রক্ষক সেজেছে—আরএসএস ও বিজেপি—বন্দে মাতরম তারা কখনোই গায়নি।
বিতর্ক আরও তীব্র হয়, যখন নেহরু ও নেতাজির মধ্যে ১৯৩৭ সালে আদান-প্রদান হওয়া চিঠি প্রকাশ করে বিজেপি। সেই পত্রে নেহরু স্বীকার করেন, কিছু মুসলিমের আপত্তির ক্ষেত্রে যুক্তি থাকতে পারে।
প্রায় ৯০ বছর পর কংগ্রেসের সেই সিদ্ধান্ত ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, পশ্চিমবঙ্গের আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশপ্রেম ও মুসলিম তোষণ ইস্যুতে ‘বন্দে মাতরম’ আবারও রাজনৈতিক তরবারি হয়ে উঠেছে।

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া করা এই প্রস্তাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে, তবে চীন ভোটদানে বিরত ছিল।
ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মে মাসে যখন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, শারা দারুণ কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, তিনিও কঠিন প্রকৃতির মানুষ, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সিরিয়া নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে লড়াইয়ের সুযোগ পায়।’
১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেয় সেই হামলায়।
এইচটিএস একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএস-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই সংগঠন।
এইচটিএসের একাধিক সদস্যের ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাত্তাবের বিরুদ্ধে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আল-কায়েদা ও এইচটিএসের মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জুলাইয়ে রয়টার্সের হাতে আসা জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্যের উল্লেখ ছিল।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’
চীন দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সংগঠনে চীন ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা উইঘুর যোদ্ধারা যুক্ত রয়েছে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মস্কো এই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে; কারণ, এটি ‘সিরীয় জনগণের নিজস্ব স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।’
গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পক্ষে ভেটো দেয়। এ সময় চীনও রাশিয়ার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত, যুদ্ধকালীন সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক, মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক আলোচনার জন্য পরিষদ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসত।
এদিকে, দীর্ঘ বিভাজনের পর নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ার নারী-পুরুষদের জন্য মাতৃভূমি পুনর্গঠন এবং জীবন পুনঃস্থাপনে আশার সঞ্চার করবে।’
ইব্রাহিম ওলাবি আরও বলেন, ‘নতুন সিরিয়া হবে এক সাফল্যের গল্প। এটি প্রমাণ করবে যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সর্বোত্তম পথ হলো ইতিবাচক সম্পৃক্ততা ও গঠনমূলক সহযোগিতা। যদি কারও কোনো উদ্বেগ থাকে, সিরিয়া তা সমাধানে সদিচ্ছাসহ পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত।’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া করা এই প্রস্তাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে, তবে চীন ভোটদানে বিরত ছিল।
ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মে মাসে যখন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, শারা দারুণ কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, তিনিও কঠিন প্রকৃতির মানুষ, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সিরিয়া নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে লড়াইয়ের সুযোগ পায়।’
১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেয় সেই হামলায়।
এইচটিএস একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএস-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই সংগঠন।
এইচটিএসের একাধিক সদস্যের ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাত্তাবের বিরুদ্ধে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আল-কায়েদা ও এইচটিএসের মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জুলাইয়ে রয়টার্সের হাতে আসা জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্যের উল্লেখ ছিল।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’
চীন দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সংগঠনে চীন ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা উইঘুর যোদ্ধারা যুক্ত রয়েছে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মস্কো এই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে; কারণ, এটি ‘সিরীয় জনগণের নিজস্ব স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।’
গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পক্ষে ভেটো দেয়। এ সময় চীনও রাশিয়ার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত, যুদ্ধকালীন সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক, মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক আলোচনার জন্য পরিষদ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসত।
এদিকে, দীর্ঘ বিভাজনের পর নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ার নারী-পুরুষদের জন্য মাতৃভূমি পুনর্গঠন এবং জীবন পুনঃস্থাপনে আশার সঞ্চার করবে।’
ইব্রাহিম ওলাবি আরও বলেন, ‘নতুন সিরিয়া হবে এক সাফল্যের গল্প। এটি প্রমাণ করবে যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সর্বোত্তম পথ হলো ইতিবাচক সম্পৃক্ততা ও গঠনমূলক সহযোগিতা। যদি কারও কোনো উদ্বেগ থাকে, সিরিয়া তা সমাধানে সদিচ্ছাসহ পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত।’

আসন্ন অক্টোবরের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সামনের বছর যাবেন চীনে। শুক্রবার সির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসাপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাঁদের আবেদন বাতিল হতে পারে—এমন একটি নির্দেশনা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) নতুন এ নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে বল
১ ঘণ্টা আগে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নতুন তিনটি সক্রিয় সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা বাড়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘বন্দে মাতরম’ শিরোনামে এই সংগীত রচনার ১৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো কবিতাটি পাঠ করেন এবং অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল কংগ্রেস কবিতাটিকে অতীতে ‘ছিন্নভিন্ন’ করে
৩ ঘণ্টা আগে