Ajker Patrika

ভারতীয় ব্রাহ্মণেরা সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নিজেরা মুনাফায় মত্ত: ট্রাম্পের উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পিটার নাভারো। ছবি: এএফপি
পিটার নাভারো। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে আবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে এবার জাতপাত তুলে মন্তব্য করেছেন। নাভারো অভিযোগ করেছেন, ভারতের ‘ব্রাহ্মণেরা দেশটির সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নিজেরা মুনাফায় মত্ত।’

আজ সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাভারো ভারতকে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ‘ক্রেমলিনের মানি লন্ডারিং সেন্টার’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, নয়া দিল্লি এমন বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ও ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করলেও তাঁকে ‘মহান নেতা’ হিসেবে আখ্যা দেন নাভারো। তবে তিনি দাবি করেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের ভাবমূর্তিকে দুর্বল করছে।

নাভারো বলেন, ‘আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ২৫ কিংবা ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণ হচ্ছে ভারত হলো শুল্কের মহারাজা। তাদেরই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শুল্ক হার রয়েছে। তারা আমাদের তাদের দেশে বিক্রি করতে দেয় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমেরিকার শ্রমিকেরা, করদাতারা আর ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ড্রোনে মানুষ মারা যাচ্ছে।’

নাভারো আরও বলেন, ‘দেখুন, মোদি একজন মহান নেতা...কিন্তু আমি বুঝি না কেন তিনি পুতিন ও সি চিনপিংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, যখন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি শুধু ভারতীয় জনগণকে বলতে চাই, অনুগ্রহ করে বুঝুন কী ঘটছে। আপনাদের দেশে ব্রাহ্মণেরা সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নিজেদের মুনাফা করে নিচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’

তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নাভারো এমন মন্তব্য করেছেন। গত শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাশিয়ার সস্তা তেল কিনে ভারত বিপুল মুনাফা করছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা একাধিক পোস্টে লেখেন, ‘ভারতের বড় তেল লবি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রকে ক্রেমলিনের বিশাল পরিশোধনাগার ও তেল মানি লন্ডারিং সেন্টারে পরিণত করেছে। ভারতীয় রিফাইনাররা (পরিশোধনকারীরা) রাশিয়ার সস্তা তেল কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করছে এবং ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় জ্বালানি রপ্তানি করছে—নিরপেক্ষতার অজুহাতে তারা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত