ঢাকা: নির্বাচনের পর ছয় মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো পরাজয় মানতে নারাজ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনো তিনি বলছেন, তাঁর কাছ থেকে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সময়ও তিনি এমন বহু মিথ্যা দাবি করেছেন প্রতিনিয়ত, যার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বর হতে পারছে না মার্কিন রাজনীতি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের মিথ্যা ভাষণ বা দাবিকে বর্ণনা করতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো ‘বিগ লাই’ নামে নতুন এক শব্দবন্ধ তৈরি করেছে, খাঁটি বাংলায় যাকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলা যায়। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে করা এ ধরনের মিথ্যাগুলো যেকোনো দেশের জনজীবনের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। বিশেষত রাজনৈতিক পরিসরে এর প্রভাব থাকে ভয়াবহ। গত নির্বাচন ডেমোক্র্যাটরা চুরি করেছে বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তা যেমন মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও রক্ষণশীল করার চাপ সৃষ্টি করছে। ভোট গণনার ফল গণনা, পুনর্গণনা ও তা নিরীক্ষার যে চাপ গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মার্কিন রাজনীতি সহজে বের হতে পারবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
ক্ষমতায় থাকার সময় এবং নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বলা বিভিন্ন মিথ্যা সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলেছে রিপাবলিকান দলকেই। ক্ষমতা ছাড়ার পর তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে এই প্রভাবের মাত্রা এতটাই বেশি যে, তা দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনকেই সংশয়ে ফেলে দিয়েছে। পরবর্তী যেকোনো দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ে দলটির ভোটারেরা কাকে ভোট দিয়ে নেতৃত্বে আনবেন, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তাঁর কট্টর এই অবস্থানের কারণে দলের ভেতরের রক্ষণশীল অংশ গত চার–পাঁচ বছর ধরেই শক্তি পাচ্ছে। ফলে দলটি এরই মধ্যে তাদের ঐতিহাসিক অবস্থান থেকে অনেকখানিই সরে গেছে।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন ইস্যুতে ভুলভাল অবস্থান ও তা জোর গলায় প্রচারের কারণে বিপাকে রয়েছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মার্কিন প্রশাসনও। মার্কিন প্রশাসন ও প্রেসিডেন্টের দেওয়া বক্তব্যকে হালকা চালে নেওয়ার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে দেশটির জনগণের মধ্যে, তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার না করা ও এ নিয়ে এখনো দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতাদের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যয়ন করার ক্ষেত্রে এখন অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে তাঁদের। একই সঙ্গে আগাম ভোট গ্রহণের নানা পন্থা নতুন করে সাজানোর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এ নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বিশেষত ডাকযোগে ভোট, নির্বাচনের দিন ভোটার নিবন্ধনের সুযোগসহ অনেক বিষয়ই সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এমনটি হলে মার্কিন নাগরিকদের ভোটের অধিকারের ওপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব।
ট্রাম্পের কারণে রিপাবলিকান নেতাদের আরও একটি বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত নীতিতে অটল রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পের আচরণের কারণে সংকটে পড়েছেন। এই সংকটে অবশ্য তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন। তবে এখন যে সমস্যায় রয়েছেন তাঁরা, তা হলো এখন আর সাধারণ মানুষ সহজে তাঁদের বিশ্বাস করছে না। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প যতটা না ক্ষতি করেছেন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন এখন তাঁর ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণায় আছেন জর্জিয়া ও নেভাদার রিপাবলিকান নেতারা। সর্বশেষ গত সপ্তাহেও এ দুই অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতাদের দেওয়া নানা বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। আর এ ক্ষেত্রে
মোটাদাগে মার্কিন রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি হয়েছে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাওয়ার মাধ্যমে। গেল নির্বাচন নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতটাই জলঘোলা করেছেন যে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন জনগণের দৃঢ় আস্থা অনেকখানিই টলে গেছে। আর নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনাটা তো এখন ডালভাত হয়ে গেছে। সিএনএন জানায়, সম্প্রতি জর্জিয়ায় এ সম্পর্কিত এক আইন পাস হয়েছে, যেখানে নির্বাচন বোর্ডের দায়িত্ব অস্থায়ী ভিত্তিতে কারও ওপর হস্তান্তরের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে। ফ্লোরিডায় নির্বাচনী আইন ভাঙলে কাউন্টি নির্বাচন কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে আইন করা হয়েছে। এমন আইন অনেক অঙ্গরাজ্যেই হচ্ছে, যা দেশটির নির্বাচনী কাঠামোকেই বদলে দিচ্ছে।
ঢাকা: নির্বাচনের পর ছয় মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো পরাজয় মানতে নারাজ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনো তিনি বলছেন, তাঁর কাছ থেকে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সময়ও তিনি এমন বহু মিথ্যা দাবি করেছেন প্রতিনিয়ত, যার নেতিবাচক প্রভাব থেকে বর হতে পারছে না মার্কিন রাজনীতি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের মিথ্যা ভাষণ বা দাবিকে বর্ণনা করতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো ‘বিগ লাই’ নামে নতুন এক শব্দবন্ধ তৈরি করেছে, খাঁটি বাংলায় যাকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলা যায়। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে করা এ ধরনের মিথ্যাগুলো যেকোনো দেশের জনজীবনের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। বিশেষত রাজনৈতিক পরিসরে এর প্রভাব থাকে ভয়াবহ। গত নির্বাচন ডেমোক্র্যাটরা চুরি করেছে বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তা যেমন মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও রক্ষণশীল করার চাপ সৃষ্টি করছে। ভোট গণনার ফল গণনা, পুনর্গণনা ও তা নিরীক্ষার যে চাপ গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মার্কিন রাজনীতি সহজে বের হতে পারবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
ক্ষমতায় থাকার সময় এবং নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বলা বিভিন্ন মিথ্যা সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলেছে রিপাবলিকান দলকেই। ক্ষমতা ছাড়ার পর তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে এই প্রভাবের মাত্রা এতটাই বেশি যে, তা দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনকেই সংশয়ে ফেলে দিয়েছে। পরবর্তী যেকোনো দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ে দলটির ভোটারেরা কাকে ভোট দিয়ে নেতৃত্বে আনবেন, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তাঁর কট্টর এই অবস্থানের কারণে দলের ভেতরের রক্ষণশীল অংশ গত চার–পাঁচ বছর ধরেই শক্তি পাচ্ছে। ফলে দলটি এরই মধ্যে তাদের ঐতিহাসিক অবস্থান থেকে অনেকখানিই সরে গেছে।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন ইস্যুতে ভুলভাল অবস্থান ও তা জোর গলায় প্রচারের কারণে বিপাকে রয়েছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মার্কিন প্রশাসনও। মার্কিন প্রশাসন ও প্রেসিডেন্টের দেওয়া বক্তব্যকে হালকা চালে নেওয়ার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে দেশটির জনগণের মধ্যে, তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার না করা ও এ নিয়ে এখনো দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতাদের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যয়ন করার ক্ষেত্রে এখন অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে তাঁদের। একই সঙ্গে আগাম ভোট গ্রহণের নানা পন্থা নতুন করে সাজানোর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এ নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। বিশেষত ডাকযোগে ভোট, নির্বাচনের দিন ভোটার নিবন্ধনের সুযোগসহ অনেক বিষয়ই সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এমনটি হলে মার্কিন নাগরিকদের ভোটের অধিকারের ওপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব।
ট্রাম্পের কারণে রিপাবলিকান নেতাদের আরও একটি বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত নীতিতে অটল রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পের আচরণের কারণে সংকটে পড়েছেন। এই সংকটে অবশ্য তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন। তবে এখন যে সমস্যায় রয়েছেন তাঁরা, তা হলো এখন আর সাধারণ মানুষ সহজে তাঁদের বিশ্বাস করছে না। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প যতটা না ক্ষতি করেছেন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন এখন তাঁর ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণায় আছেন জর্জিয়া ও নেভাদার রিপাবলিকান নেতারা। সর্বশেষ গত সপ্তাহেও এ দুই অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতাদের দেওয়া নানা বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। আর এ ক্ষেত্রে
মোটাদাগে মার্কিন রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি হয়েছে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাওয়ার মাধ্যমে। গেল নির্বাচন নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতটাই জলঘোলা করেছেন যে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন জনগণের দৃঢ় আস্থা অনেকখানিই টলে গেছে। আর নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনাটা তো এখন ডালভাত হয়ে গেছে। সিএনএন জানায়, সম্প্রতি জর্জিয়ায় এ সম্পর্কিত এক আইন পাস হয়েছে, যেখানে নির্বাচন বোর্ডের দায়িত্ব অস্থায়ী ভিত্তিতে কারও ওপর হস্তান্তরের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে। ফ্লোরিডায় নির্বাচনী আইন ভাঙলে কাউন্টি নির্বাচন কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে আইন করা হয়েছে। এমন আইন অনেক অঙ্গরাজ্যেই হচ্ছে, যা দেশটির নির্বাচনী কাঠামোকেই বদলে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।
২ মিনিট আগেরুটে তাঁকে তুলনা করেছেন স্কুলের শিশুর বাবার সঙ্গে। ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘এটি যেন দুই শিশুর মারামারি—যেখানে শেষ পর্যন্ত ‘‘বাবাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়’’।’
৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কতটা পিছিয়েছে বলে মনে করেনি তিনি। জবাবে বলেন, তিনি মনে করেন, ‘মূলত কয়েক দশক। আমি মনে করি তারা যদি এটি পেত তাহলে তারা নরকে যেত। সবশেষ তারা সমৃদ্ধকরণ করতে চেয়েছিল। ওই আঘাত যুদ্ধের সমাপ্তি
১১ মিনিট আগেইরানে মার্কিন হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমার ফেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলার মধ্য দিয়ে যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছিল, সেভাবেই ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানের
১৭ মিনিট আগে