অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্প প্রশাসন নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলের সম্ভাবের কথা তুলেছে। নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দণ্ডিত বিদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ইঙ্গিত দেন যে, মামদানির নাগরিকত্বের বিষয়ে তদন্ত হতে পারে। এর আগে, টেনেসির ডানপন্থী রিপাবলিকান প্রতিনিধি অ্যান্ডি ওগলস দাবি করেন, মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত। কারণ, তিনি নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি’ নিজের সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ করেননি।
ডেমোক্র্যাট পার্টি প্রার্থী ৩৩ বছর বয়সী মামদানি উগান্ডায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিক হন। ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে স্পষ্টভাবে কথা বলায় তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
গত মঙ্গলবার মামদানির অভিবাসন-সংক্রান্ত অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মামদানি বলেন, তিনি মুখোশ পরা আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টদের হাতে প্রতিবেশীদের বহিষ্কার ঠেকাবেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তাহলে তো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
জবাবে মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাকে গ্রেপ্তার, নাগরিকত্ব বাতিল, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো এবং দেশ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। শুধু এ কারণে যে, আমি আইস এজেন্টদের আমাদের শহরে ভয় সৃষ্টি করতে দেব না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই বক্তব্য শুধু আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং নিউইয়র্কের প্রত্যেক মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা। বার্তা পরিষ্কার—আপনি যদি মুখ খোলেন, তারা আপনার পেছনে আসবে। আমরা এই ভয় দেখানো মেনে নেব না।’
মামদানির অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভের পর থেকে তাঁর মুসলিম পরিচিতি ঘিরে একের পর এক ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণ চলছে। ওই নির্বাচনে সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর এবং ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
এই বিতর্ক সামনে এসেছে এমন সময়, যখন ট্রাম্প প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে—নির্দিষ্ট অপরাধে দণ্ডিত বিদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। বিচার মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়েছে, যারা ‘অবৈধভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছে’ বা ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে’, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মার্কিন আইনপ্রণেতা অ্যান্ডি ওগলস মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে চিঠি দিয়ে মামদানির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মামদানি ‘সন্ত্রাসে সমর্থন’ গোপন করে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। প্রমাণ হিসেবে ওগলস উল্লেখ করেন মামদানির লেখা একটি র্যাপ গানের কথা। গানটির নাম ‘My Love to the Holy Land Five. ’
গানটিতে মামদানি হামাসকে সমর্থনের দায়ে দণ্ডিত একটি ফাউন্ডেশনের সদস্যদের ‘আমার ভাই’ বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া মামদানির ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইন্তিফাদা’ স্লোগান প্রত্যাখ্যান না করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন ওগলস। এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে ওগলস মামদানিকে ‘জোহরান লিটল মুহাম্মাদ’ নামে অভিহিত করে তাঁকে ‘মামদানি একজন ইহুদিবিদ্বেষী, সমাজতন্ত্রী, কমিউনিস্ট, যে নিউইয়র্ক শহরকে ধ্বংস করবে। তাঁকে বহিষ্কার করতে হবে’—এমন ভাষায় আক্রমণ করেন।
এ বিষয়ে লেভিট বলেন, ‘আমি এসব অভিযোগ দেখিনি। তবে যদি সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত।’ বিচার মন্ত্রণালয় ওগলসের চিঠি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, তবে বিস্তারিত মন্তব্য করেনি।
কানেকটিকাটের ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি ‘জাতিবিদ্বেষী বাজে কথা।’ তিনি লিখেছেন, ‘বিলিয়নিয়ার আর লোভী করপোরেশন বাঁচাতে ট্রাম্প কিছুতেই থামবে না—এমনকি এই জাতিবিদ্বেষী বাজে কথাতেও।’ তিনি বলেন, ‘জোহরান জিতেছেন, কারণ তিনি শ্রমজীবী মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করেছেন। এটাই মার-আ-লাগোর ধনিক শ্রেণির জন্য হুমকি।’
ট্রাম্প প্রশাসন নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্রেটিক মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলের সম্ভাবের কথা তুলেছে। নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দণ্ডিত বিদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকদের বিরুদ্ধে দমন অভিযানের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ইঙ্গিত দেন যে, মামদানির নাগরিকত্বের বিষয়ে তদন্ত হতে পারে। এর আগে, টেনেসির ডানপন্থী রিপাবলিকান প্রতিনিধি অ্যান্ডি ওগলস দাবি করেন, মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত। কারণ, তিনি নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি’ নিজের সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ করেননি।
ডেমোক্র্যাট পার্টি প্রার্থী ৩৩ বছর বয়সী মামদানি উগান্ডায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিক হন। ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে স্পষ্টভাবে কথা বলায় তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
গত মঙ্গলবার মামদানির অভিবাসন-সংক্রান্ত অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মামদানি বলেন, তিনি মুখোশ পরা আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টদের হাতে প্রতিবেশীদের বহিষ্কার ঠেকাবেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তাহলে তো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
জবাবে মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাকে গ্রেপ্তার, নাগরিকত্ব বাতিল, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো এবং দেশ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন। শুধু এ কারণে যে, আমি আইস এজেন্টদের আমাদের শহরে ভয় সৃষ্টি করতে দেব না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই বক্তব্য শুধু আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং নিউইয়র্কের প্রত্যেক মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা। বার্তা পরিষ্কার—আপনি যদি মুখ খোলেন, তারা আপনার পেছনে আসবে। আমরা এই ভয় দেখানো মেনে নেব না।’
মামদানির অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভের পর থেকে তাঁর মুসলিম পরিচিতি ঘিরে একের পর এক ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণ চলছে। ওই নির্বাচনে সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর এবং ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
এই বিতর্ক সামনে এসেছে এমন সময়, যখন ট্রাম্প প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে—নির্দিষ্ট অপরাধে দণ্ডিত বিদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। বিচার মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়েছে, যারা ‘অবৈধভাবে নাগরিকত্ব পেয়েছে’ বা ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে’, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মার্কিন আইনপ্রণেতা অ্যান্ডি ওগলস মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে চিঠি দিয়ে মামদানির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মামদানি ‘সন্ত্রাসে সমর্থন’ গোপন করে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। প্রমাণ হিসেবে ওগলস উল্লেখ করেন মামদানির লেখা একটি র্যাপ গানের কথা। গানটির নাম ‘My Love to the Holy Land Five. ’
গানটিতে মামদানি হামাসকে সমর্থনের দায়ে দণ্ডিত একটি ফাউন্ডেশনের সদস্যদের ‘আমার ভাই’ বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া মামদানির ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইন্তিফাদা’ স্লোগান প্রত্যাখ্যান না করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন ওগলস। এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে ওগলস মামদানিকে ‘জোহরান লিটল মুহাম্মাদ’ নামে অভিহিত করে তাঁকে ‘মামদানি একজন ইহুদিবিদ্বেষী, সমাজতন্ত্রী, কমিউনিস্ট, যে নিউইয়র্ক শহরকে ধ্বংস করবে। তাঁকে বহিষ্কার করতে হবে’—এমন ভাষায় আক্রমণ করেন।
এ বিষয়ে লেভিট বলেন, ‘আমি এসব অভিযোগ দেখিনি। তবে যদি সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত।’ বিচার মন্ত্রণালয় ওগলসের চিঠি পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, তবে বিস্তারিত মন্তব্য করেনি।
কানেকটিকাটের ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি ‘জাতিবিদ্বেষী বাজে কথা।’ তিনি লিখেছেন, ‘বিলিয়নিয়ার আর লোভী করপোরেশন বাঁচাতে ট্রাম্প কিছুতেই থামবে না—এমনকি এই জাতিবিদ্বেষী বাজে কথাতেও।’ তিনি বলেন, ‘জোহরান জিতেছেন, কারণ তিনি শ্রমজীবী মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করেছেন। এটাই মার-আ-লাগোর ধনিক শ্রেণির জন্য হুমকি।’
আইডিএফ জানিয়েছে, ১২ দিনে ইরানের ছোড়া ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। তাদের দাবি, ইসরায়েলি ও মার্কিন প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ৮৬ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে বাস করেন ৪৩ বছর বয়সী অটোমেকানিক ট্র্যাভিস ট্যানার। প্রথমবারের মতো তিনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন কর্মক্ষেত্রে সহায়তার জন্য। মূলত স্প্যানিশভাষী সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ভেনেজুয়েলা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় দেশটির আইনপ্রণেতারা তাঁকে নিয়ে এই ঘোষণা দেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।
৯ ঘণ্টা আগেতবে এই শান্তিপন্থী অবস্থান, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছে, তা কখনো কখনো হয়ে ওঠে তিব্বতের কিছু অংশের মানুষের হতাশার কারণ। তাঁরা মনে করেন, চীনের বিরুদ্ধে খুবই নরম ছিলেন দালাই লামা।
৯ ঘণ্টা আগে