জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। সিনেটে দুই দলই লড়ছে সমানে সমান। আজ শনিবার অ্যারিজোনায় জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী মার্ক কেলি ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলই সিনেটে সমান ৪৯টি করে আসন পেয়েছে। এখন শুধু দুটি আসনের ফল বাকি। আসন দুটি নেভাদা ও জর্জিয়া।
সিনেটে আধিপত্য পেতে রিপাবলিকানদের দুটি আসনেই জিততে হবে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা আর একটি আসন পেলেই সিনেটের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। কেননা ডেমোক্রেটিক পার্টির এক আসন কম হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘কাস্টিং ভোট’ এর কারণে একটি অতিরিক্ত আসন পাবে দলটি।
এদিকে জর্জিয়ার ফলাফল এখনই হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিএনএন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার ফল গণনায় দুই দলের কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট আর রিপাবলিকান হার্শেল ওয়ালকার পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ফলে জর্জিয়ায় ভোট গড়িয়েছে রান-অফ বা দ্বিতীয় দফায়। আর দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর।
আরেক রাজ্য নেভাদায়ও খুব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। শেষ খবর পর্যন্ত নেভাদায় এগিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী অ্যাডাম ল্যাক্সাল্ট। তিনি পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কর্টেজ মাস্তো পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে রিপাবলিকান পার্টি। নিম্নকক্ষের ৪৩৫ আসনের মধ্যে ২১১ টিতে জয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকানরা। আর ডেমোক্রেটিকরা ২০৩টি আসনে জয় পেয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে মোট ২১৮টি আসনে জয় প্রয়োজন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পান, তাহলে বিভিন্ন ইস্যুতে বেকায়দায় পড়বেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে কংগ্রেসে অনেক আইন পাসে বাধার সম্মুখীন হতে পারে বাইডেন প্রশাসন।
ডেমোক্র্যাটরা যদি কংগ্রেসে দখল ধরে রাখতে পারেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে, সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি প্রসারিত করতে, গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণকে কঠোর করতে সক্ষম হবেন।
আর যদি রিপাবলিকানরা উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেন, তাঁরা বাইডেন প্রশাসনের এজেন্ডাগুলো থামিয়ে দিতে পারবেন। এ ছাড়া তদন্ত কমিটিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার তদন্ত মাঝপথেই আটকে দিতে পারবেন।
এ ছাড়া আগের কিছু ইস্যুতে নতুন তদন্ত শুরু করতে পারেন রিপাবলিকানরা। যেমন—চীনের সঙ্গে জো বাইডেনের ছেলের কথিত ব্যবসায়িক লেনদেন বা আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। এমনকি রিপাবলিকান আধিপত্য ইউক্রেনের জন্য সহায়তা দেওয়ার মতো বাইডেনের বৈদেশিক নীতিকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন:
জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। সিনেটে দুই দলই লড়ছে সমানে সমান। আজ শনিবার অ্যারিজোনায় জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী মার্ক কেলি ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলই সিনেটে সমান ৪৯টি করে আসন পেয়েছে। এখন শুধু দুটি আসনের ফল বাকি। আসন দুটি নেভাদা ও জর্জিয়া।
সিনেটে আধিপত্য পেতে রিপাবলিকানদের দুটি আসনেই জিততে হবে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা আর একটি আসন পেলেই সিনেটের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। কেননা ডেমোক্রেটিক পার্টির এক আসন কম হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘কাস্টিং ভোট’ এর কারণে একটি অতিরিক্ত আসন পাবে দলটি।
এদিকে জর্জিয়ার ফলাফল এখনই হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিএনএন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার ফল গণনায় দুই দলের কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট আর রিপাবলিকান হার্শেল ওয়ালকার পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ফলে জর্জিয়ায় ভোট গড়িয়েছে রান-অফ বা দ্বিতীয় দফায়। আর দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ডিসেম্বর।
আরেক রাজ্য নেভাদায়ও খুব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। শেষ খবর পর্যন্ত নেভাদায় এগিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী অ্যাডাম ল্যাক্সাল্ট। তিনি পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কর্টেজ মাস্তো পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ৯৪ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে রিপাবলিকান পার্টি। নিম্নকক্ষের ৪৩৫ আসনের মধ্যে ২১১ টিতে জয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকানরা। আর ডেমোক্রেটিকরা ২০৩টি আসনে জয় পেয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে মোট ২১৮টি আসনে জয় প্রয়োজন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা যদি শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পান, তাহলে বিভিন্ন ইস্যুতে বেকায়দায় পড়বেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে কংগ্রেসে অনেক আইন পাসে বাধার সম্মুখীন হতে পারে বাইডেন প্রশাসন।
ডেমোক্র্যাটরা যদি কংগ্রেসে দখল ধরে রাখতে পারেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে, সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি প্রসারিত করতে, গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণকে কঠোর করতে সক্ষম হবেন।
আর যদি রিপাবলিকানরা উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেন, তাঁরা বাইডেন প্রশাসনের এজেন্ডাগুলো থামিয়ে দিতে পারবেন। এ ছাড়া তদন্ত কমিটিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার তদন্ত মাঝপথেই আটকে দিতে পারবেন।
এ ছাড়া আগের কিছু ইস্যুতে নতুন তদন্ত শুরু করতে পারেন রিপাবলিকানরা। যেমন—চীনের সঙ্গে জো বাইডেনের ছেলের কথিত ব্যবসায়িক লেনদেন বা আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। এমনকি রিপাবলিকান আধিপত্য ইউক্রেনের জন্য সহায়তা দেওয়ার মতো বাইডেনের বৈদেশিক নীতিকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন:
এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় বাংকার বাস্টার বোমা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে অভিযান চালানো হয়, যা ছিল গত কয়েক বছরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
২ মিনিট আগেতাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
১ ঘণ্টা আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
১ ঘণ্টা আগে