মিয়া সেরিলোর বয়স ১১। টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষার্থী সে। গত মঙ্গলবার বন্দুকধারীর হামলার সময় স্কুলে উপস্থিত ছিল মিয়া সেরিলো। হামলার মধ্যেও কীভাবে বেঁচে ফিরেছে সে, সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের কাছে।
সিএনএনের ‘নিউ ডে’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেরিলো জানায়, সে নিজের শরীরে তার মৃত বন্ধুর রক্ত মেখে মড়ার ভান করে পড়ে ছিল।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী সালভাদর রামোস অতর্কিত হামলা করে। এতে ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়। এই হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী মিয়া সেরিলো।
সেরিলো জানায়, সে ও তার বন্ধুরা শ্রেণিকক্ষে বসে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ মুভিটি দেখছিল। সেখানে ইভা মিরেলেস ও ইরমা গার্সিয়া নামের দুজন শিক্ষকও ছিলেন। তাঁদের পাঠদান তখন শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ শিক্ষকেরা জানতে পারেন, স্কুল ভবনে একজন বন্দুকধারী ঢুকেছে। তারপর একজন শিক্ষক দ্রুত শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করতে যান। কিন্তু তার আগেই বন্দুকধারী সেখানে চলে আসে।
ঘটনা খুব দ্রুত ঘটছিল। বন্ধুকধারী ওই শিক্ষকের পেছনে পেছনে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে এবং শিক্ষকের চোখের দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘গুড নাইট’। তারপরই সে গুলি করতে শুরু করে বলে জানায় সেরিলো।
বালিকা সেরিলো বলে, ‘ওই বন্দুকধারী গুলি করে একজন শিক্ষককে মেরে ফেলে। অন্য অনেক বন্ধুকেও গুলি করে। আমার চারপাশ দিয়ে বুলেট উড়ে যাচ্ছিল। মাথা ও কাঁধের ওপর ছোট ছোট অনেক টুকরো আছড়ে পড়ছিল।’
পরে সেখান থেকে সেরিলোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মিয়া সেরিলো জানায়, তাদের শ্রেণিকক্ষে হামলার পর বন্দুকধারী পাশের শ্রেণিকক্ষেও হামলা করে। সেখানে যখন গুলি চালাচ্ছিল, তখন শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নার শব্দ সেরিলো শুনতে পেয়েছে। একপর্যায়ে গুলি থামিয়ে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি তীব্র শব্দে দুঃখের গান বাজাতে শুরু করে।
সেই সময় সেরিলো ও তার বন্ধু মৃত শিক্ষকের কাছে একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পায়। সেই ফোন থেকে তারা ৯১১ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চায়।
কিন্তু পুলিশ আসছিল না দেখে সেরিলোর ভয় বাড়তে থাকে। সে মনে করেছিল, বন্দুকধারী আবার তার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসতে পারে এবং অবশিষ্ট যে কয়েকজন বেঁচে আছে, তাদেরও মেরে ফেলতে পারে। সে তখন তার পাশে পড়ে থাকা মৃত সহপাঠীর রক্ত নিজের শরীরে মেখে নেয় এবং মৃতের ভান করে পড়ে থাকে।
সেরিলো জানায়, এভাবে সে প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে ছিল।
ভয়ংকর সেই দিনের বর্ণনা দিতে দিতে কেঁদে ফেলে সেরিলো। তার মা বলেন, ‘মেয়েটি এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে, সে ঘুমাতেও পারছে না।’ সাক্ষাৎকারের সময় হঠাৎ টেলিফোন বেজে ওঠে। টেলিফোনের শব্দে সে কেঁপে ওঠে। তার মা বলছিলেন, ‘এমনটাই ঘটছে। অল্প শব্দেও সে ভয়ে কেঁপে উঠছে। এমনকি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দেও সে ভয় পাচ্ছে।’
সেরিলো যখন সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিল, তখন তার শরীরে কম্বল জড়ানো ছিল। যদিও আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। তার মা বলেন, ‘আতঙ্কের কারণে মেয়েটা বারবার কেঁপে উঠছে।’
বিশ্বের নানা প্রান্তের খবর পড়ুন:
মিয়া সেরিলোর বয়স ১১। টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষার্থী সে। গত মঙ্গলবার বন্দুকধারীর হামলার সময় স্কুলে উপস্থিত ছিল মিয়া সেরিলো। হামলার মধ্যেও কীভাবে বেঁচে ফিরেছে সে, সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের কাছে।
সিএনএনের ‘নিউ ডে’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেরিলো জানায়, সে নিজের শরীরে তার মৃত বন্ধুর রক্ত মেখে মড়ার ভান করে পড়ে ছিল।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ টেক্সাসের উভালদে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী সালভাদর রামোস অতর্কিত হামলা করে। এতে ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়। এই হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী মিয়া সেরিলো।
সেরিলো জানায়, সে ও তার বন্ধুরা শ্রেণিকক্ষে বসে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ মুভিটি দেখছিল। সেখানে ইভা মিরেলেস ও ইরমা গার্সিয়া নামের দুজন শিক্ষকও ছিলেন। তাঁদের পাঠদান তখন শেষ হয়ে গেছে। হঠাৎ শিক্ষকেরা জানতে পারেন, স্কুল ভবনে একজন বন্দুকধারী ঢুকেছে। তারপর একজন শিক্ষক দ্রুত শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করতে যান। কিন্তু তার আগেই বন্দুকধারী সেখানে চলে আসে।
ঘটনা খুব দ্রুত ঘটছিল। বন্ধুকধারী ওই শিক্ষকের পেছনে পেছনে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে এবং শিক্ষকের চোখের দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘গুড নাইট’। তারপরই সে গুলি করতে শুরু করে বলে জানায় সেরিলো।
বালিকা সেরিলো বলে, ‘ওই বন্দুকধারী গুলি করে একজন শিক্ষককে মেরে ফেলে। অন্য অনেক বন্ধুকেও গুলি করে। আমার চারপাশ দিয়ে বুলেট উড়ে যাচ্ছিল। মাথা ও কাঁধের ওপর ছোট ছোট অনেক টুকরো আছড়ে পড়ছিল।’
পরে সেখান থেকে সেরিলোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মিয়া সেরিলো জানায়, তাদের শ্রেণিকক্ষে হামলার পর বন্দুকধারী পাশের শ্রেণিকক্ষেও হামলা করে। সেখানে যখন গুলি চালাচ্ছিল, তখন শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নার শব্দ সেরিলো শুনতে পেয়েছে। একপর্যায়ে গুলি থামিয়ে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি তীব্র শব্দে দুঃখের গান বাজাতে শুরু করে।
সেই সময় সেরিলো ও তার বন্ধু মৃত শিক্ষকের কাছে একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পায়। সেই ফোন থেকে তারা ৯১১ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চায়।
কিন্তু পুলিশ আসছিল না দেখে সেরিলোর ভয় বাড়তে থাকে। সে মনে করেছিল, বন্দুকধারী আবার তার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসতে পারে এবং অবশিষ্ট যে কয়েকজন বেঁচে আছে, তাদেরও মেরে ফেলতে পারে। সে তখন তার পাশে পড়ে থাকা মৃত সহপাঠীর রক্ত নিজের শরীরে মেখে নেয় এবং মৃতের ভান করে পড়ে থাকে।
সেরিলো জানায়, এভাবে সে প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে ছিল।
ভয়ংকর সেই দিনের বর্ণনা দিতে দিতে কেঁদে ফেলে সেরিলো। তার মা বলেন, ‘মেয়েটি এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে, সে ঘুমাতেও পারছে না।’ সাক্ষাৎকারের সময় হঠাৎ টেলিফোন বেজে ওঠে। টেলিফোনের শব্দে সে কেঁপে ওঠে। তার মা বলছিলেন, ‘এমনটাই ঘটছে। অল্প শব্দেও সে ভয়ে কেঁপে উঠছে। এমনকি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দেও সে ভয় পাচ্ছে।’
সেরিলো যখন সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিল, তখন তার শরীরে কম্বল জড়ানো ছিল। যদিও আবহাওয়া যথেষ্ট উষ্ণ ছিল। তার মা বলেন, ‘আতঙ্কের কারণে মেয়েটা বারবার কেঁপে উঠছে।’
বিশ্বের নানা প্রান্তের খবর পড়ুন:
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে