মনুষ্য সমাজে বসবাস করে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা রেবেকা ভ্যান্স। তাই গত বছরের জুলাইয়ে কিশোর বয়সী ছেলে ও বোনকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন কলোরাডোর দুর্গম রকি মাউন্টেন অঞ্চলে। ভেবেছিলেন, মানব সমাজ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রকৃতির মাঝে সারা জীবন কাটিয়ে দেবেন তাঁরা।
গত বছরের গ্রীষ্মে চিন্তাটি মাথায় আসা মাত্রই নিজের পরিকল্পনার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন রেবেকা। সৎ বোন ট্রাভেলা জারাকে তিনি বলেছিলেন, ‘দূরের কোনো নীরব এলাকায় আমি নিজেই নিজের খাবার উৎপাদন এবং সংগ্রহ করবো।’
আধুনিক আমেরিকার রাজনীতি, খবরা-খবর, হানাহানি আর মহামারির মতো বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন রেবেকা। তবে তাঁর পরিকল্পনার কথা শুনে জারা তাঁকে নিষেধ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তোমাকে নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।’
শেষ পর্যন্ত আর কারও কথাই শুনেননি রেবেকা। সন্তান আর ছোট বোনসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে রওনা হয়ে যান রকি মাউন্টেন অঞ্চলের দিকে। তবে রেবেকার এই সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত এক করুণ পরিণতি বয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রকি মাউন্টেনের গোল্ড ক্রিক ক্যাম্প গ্রাউন্ড এলাকা থেকে ৪২ বছর বয়সী রেবেকা, তাঁর ১৪ বছর বয়সী ছেলে এবং ৪১ বছর বয়সী ছোট বোন ক্রিস্টিন ভ্যান্সের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের বেশ কিছুদিন আগেই তাঁরা মারা গিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় গানিসন কাউন্টির শব পরীক্ষক মিচেল বার্নেস জানান, মারা যাওয়া তিনজনই মৃত্যুর আগে একটি তাঁবুতে বসবাস করছিলেন এবং টিনজাত খাবারের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। তবে বিগত শীতকালের তীব্রতা তাঁরা সহ্য করতে পারেননি। এ ছাড়া তাঁরা অপুষ্টিতেও ভুগছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সৎ বোন জারা বলেন, ‘ভালো চিন্তা থেকেই সে রেবেকা দুর্গম এলাকায় চলে গিয়েছিল। ভেবেছিল, এভাবেই পৃথিবীর সব অবিচার অনাচার থেকে নিজের সন্তান ও বোনকে সে রক্ষা করবে।’
জারা জানান, গত করোনা মহামারির সময় রেবেকার চিন্তা ভাবনায় বড় পরিবর্তন আসে। তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে একাত্ম না হলেও ছোট বোন ক্রিস্টিনও যোগ দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, তিনজন একসঙ্গে থাকলে হয়তো বিচ্ছিন্ন পরিবেশেও টিকে থাকা সহজ হবে।
রেবেকার কিশোর ছেলে সম্পর্কে জারা জানান, সে ছিল মায়ের খুব কাছের। কোনো প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে বাড়িতেই পড়াশোনা করত। রেবেকার সঙ্গে যাওয়ার সময় স্বজনদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ভেবে তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তবে মায়ের সঙ্গে যাত্রা নিয়ে সে খুব উৎফুল্ল ছিল।
শব পরীক্ষক মিচেল বার্নেস জানান, গত শীতে বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের লড়াইয়ের কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে। বরফে তাঁদের চারপাশ ঢেকে গিয়েছিল। একটু উষ্ণতার জন্য তাঁরা তাঁবুর ভেতরেই আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
গত ৯ জুলাই এক অভিযাত্রী তাঁর যাত্রাপথে মরদেহগুলোর সন্ধান পান। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব না হলেও কিছুদিনের মধ্যেই সেসব তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মনুষ্য সমাজে বসবাস করে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা রেবেকা ভ্যান্স। তাই গত বছরের জুলাইয়ে কিশোর বয়সী ছেলে ও বোনকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন কলোরাডোর দুর্গম রকি মাউন্টেন অঞ্চলে। ভেবেছিলেন, মানব সমাজ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রকৃতির মাঝে সারা জীবন কাটিয়ে দেবেন তাঁরা।
গত বছরের গ্রীষ্মে চিন্তাটি মাথায় আসা মাত্রই নিজের পরিকল্পনার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন রেবেকা। সৎ বোন ট্রাভেলা জারাকে তিনি বলেছিলেন, ‘দূরের কোনো নীরব এলাকায় আমি নিজেই নিজের খাবার উৎপাদন এবং সংগ্রহ করবো।’
আধুনিক আমেরিকার রাজনীতি, খবরা-খবর, হানাহানি আর মহামারির মতো বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন রেবেকা। তবে তাঁর পরিকল্পনার কথা শুনে জারা তাঁকে নিষেধ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘তোমাকে নিয়ে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।’
শেষ পর্যন্ত আর কারও কথাই শুনেননি রেবেকা। সন্তান আর ছোট বোনসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে রওনা হয়ে যান রকি মাউন্টেন অঞ্চলের দিকে। তবে রেবেকার এই সিদ্ধান্তটি শেষ পর্যন্ত এক করুণ পরিণতি বয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রকি মাউন্টেনের গোল্ড ক্রিক ক্যাম্প গ্রাউন্ড এলাকা থেকে ৪২ বছর বয়সী রেবেকা, তাঁর ১৪ বছর বয়সী ছেলে এবং ৪১ বছর বয়সী ছোট বোন ক্রিস্টিন ভ্যান্সের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের বেশ কিছুদিন আগেই তাঁরা মারা গিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় গানিসন কাউন্টির শব পরীক্ষক মিচেল বার্নেস জানান, মারা যাওয়া তিনজনই মৃত্যুর আগে একটি তাঁবুতে বসবাস করছিলেন এবং টিনজাত খাবারের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। তবে বিগত শীতকালের তীব্রতা তাঁরা সহ্য করতে পারেননি। এ ছাড়া তাঁরা অপুষ্টিতেও ভুগছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সৎ বোন জারা বলেন, ‘ভালো চিন্তা থেকেই সে রেবেকা দুর্গম এলাকায় চলে গিয়েছিল। ভেবেছিল, এভাবেই পৃথিবীর সব অবিচার অনাচার থেকে নিজের সন্তান ও বোনকে সে রক্ষা করবে।’
জারা জানান, গত করোনা মহামারির সময় রেবেকার চিন্তা ভাবনায় বড় পরিবর্তন আসে। তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে একাত্ম না হলেও ছোট বোন ক্রিস্টিনও যোগ দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, তিনজন একসঙ্গে থাকলে হয়তো বিচ্ছিন্ন পরিবেশেও টিকে থাকা সহজ হবে।
রেবেকার কিশোর ছেলে সম্পর্কে জারা জানান, সে ছিল মায়ের খুব কাছের। কোনো প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে বাড়িতেই পড়াশোনা করত। রেবেকার সঙ্গে যাওয়ার সময় স্বজনদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ভেবে তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তবে মায়ের সঙ্গে যাত্রা নিয়ে সে খুব উৎফুল্ল ছিল।
শব পরীক্ষক মিচেল বার্নেস জানান, গত শীতে বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের লড়াইয়ের কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে। বরফে তাঁদের চারপাশ ঢেকে গিয়েছিল। একটু উষ্ণতার জন্য তাঁরা তাঁবুর ভেতরেই আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
গত ৯ জুলাই এক অভিযাত্রী তাঁর যাত্রাপথে মরদেহগুলোর সন্ধান পান। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব না হলেও কিছুদিনের মধ্যেই সেসব তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
২ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে