অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ভয়াবহ দুর্দশা নেমে এসেছে ফিলিস্তিনিদের ওপর। তাঁদের এই দুর্দশায় সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।
সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেছেন, ফিলিস্তিনের শোচনীয় ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানের সরকার নববর্ষ উপলক্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাকার বলেন, ‘গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।’
পাকিস্তানের এই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান প্রত্যেকটি বৈশ্বিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার কথা বলছে এবং ভবিষ্যতেও ইসরায়েলি রক্তপাত বন্ধ করতে তা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে দুই দফায় ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে। আরও এক দফায় সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ফিলিস্তিনকে সময়মতো সহায়তা এবং গাজার আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জর্ডান এবং মিসরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে নববর্ষ উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শহরটির কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় সংহতি জানাতে নববর্ষের সন্ধ্যায় কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শারজাহ পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শারজাহ পুলিশ বলেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোস্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘গাজা উপত্যকায় আমাদের ভাইবোনদের প্রতি সংহতি এবং মানবিক সহযোগিতার আন্তরিক প্রকাশ।’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে ভয়াবহ দুর্দশা নেমে এসেছে ফিলিস্তিনিদের ওপর। তাঁদের এই দুর্দশায় সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।
সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেছেন, ফিলিস্তিনের শোচনীয় ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানের সরকার নববর্ষ উপলক্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাকার বলেন, ‘গাজা ও পশ্চিম তীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।’
পাকিস্তানের এই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান প্রত্যেকটি বৈশ্বিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার কথা বলছে এবং ভবিষ্যতেও ইসরায়েলি রক্তপাত বন্ধ করতে তা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে দুই দফায় ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে। আরও এক দফায় সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ফিলিস্তিনকে সময়মতো সহায়তা এবং গাজার আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জর্ডান এবং মিসরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে নববর্ষ উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শহরটির কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় সংহতি জানাতে নববর্ষের সন্ধ্যায় কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা উদ্যাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শারজাহ পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে শারজাহ পুলিশ বলেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোস্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ‘গাজা উপত্যকায় আমাদের ভাইবোনদের প্রতি সংহতি এবং মানবিক সহযোগিতার আন্তরিক প্রকাশ।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৪ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৬ ঘণ্টা আগে