মানবিক কারণে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস। কিন্তু জিম্মিদের গ্রহণ করতে ইসরায়েল অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন। হামাসের এই বন্দী মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছাকে ‘জঘন্য প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আজ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানান, গত শুক্রবার জিম্মি দুই আমেরিকান নাগরিক জুডিথ টাই রানান এবং তার মেয়ে নাটালিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছার কথা সেদিনই কাতারকে জানিয়েছিল তারা। পরে এক বিবৃতিতে আবু উবাইদা আরও বলেন, জুডিথ ও নাটালিকে যে প্রক্রিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই রোববার আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত ছিল হামাস।
গত শনিবার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে এক বার্তায় আবু উবাইদা বলেন, ‘আমরা গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের কাতারি ভাইদের জানিয়েছি যে, মানবিক কারণে এবং বিনিময়ের আশা না করে জিম্মি নুরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেড লিফশিৎজকে মুক্তি দেব। তবে ইসরায়েলি দখলদার সরকার তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
এ ব্যাপারে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘আমরা হামাসের জঘন্য প্রচারণার কোনো জবাব দেব না। অপহরণের শিকার ও নিখোঁজ সবাইকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ আমরা অব্যাহত রাখব।’
দুই জিম্মিকে গ্রহণ করতে ইসরায়েলের অস্বীকৃতির কড়া সমালোচনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে তিনি বলেন, এ থেকে প্রমাণিত হয়, বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী নয় ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু মানবিক কারণেই গুরুতর মানবিক অবস্থায় থাকা বন্দীদের হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের আমরা পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ইসরায়েল সরকার এতে গুরুত্ব দেয়নি। দুর্ভাগ্যবশত, ইসরায়েল সরকার তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাসহ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে বন্দী করেন। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করে আনতে এসব ব্যক্তিকে বন্দী করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ১৬তম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
মানবিক কারণে আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস। কিন্তু জিম্মিদের গ্রহণ করতে ইসরায়েল অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন। হামাসের এই বন্দী মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছাকে ‘জঘন্য প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। আজ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানান, গত শুক্রবার জিম্মি দুই আমেরিকান নাগরিক জুডিথ টাই রানান এবং তার মেয়ে নাটালিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছার কথা সেদিনই কাতারকে জানিয়েছিল তারা। পরে এক বিবৃতিতে আবু উবাইদা আরও বলেন, জুডিথ ও নাটালিকে যে প্রক্রিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই রোববার আরও দুই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত ছিল হামাস।
গত শনিবার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে এক বার্তায় আবু উবাইদা বলেন, ‘আমরা গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের কাতারি ভাইদের জানিয়েছি যে, মানবিক কারণে এবং বিনিময়ের আশা না করে জিম্মি নুরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেড লিফশিৎজকে মুক্তি দেব। তবে ইসরায়েলি দখলদার সরকার তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
এ ব্যাপারে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘আমরা হামাসের জঘন্য প্রচারণার কোনো জবাব দেব না। অপহরণের শিকার ও নিখোঁজ সবাইকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ আমরা অব্যাহত রাখব।’
দুই জিম্মিকে গ্রহণ করতে ইসরায়েলের অস্বীকৃতির কড়া সমালোচনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে তিনি বলেন, এ থেকে প্রমাণিত হয়, বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী নয় ইসরায়েল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু মানবিক কারণেই গুরুতর মানবিক অবস্থায় থাকা বন্দীদের হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের আমরা পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ইসরায়েল সরকার এতে গুরুত্ব দেয়নি। দুর্ভাগ্যবশত, ইসরায়েল সরকার তাদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এ সময় হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাসহ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে বন্দী করেন। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করে আনতে এসব ব্যক্তিকে বন্দী করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ১৬তম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
১৫ মিনিট আগেইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত কুখ্যাত এভিন কারাগারে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না বা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা গুরুতর, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা একটি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ সাইবারইসনাদফ্রন্ট।
২ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পুতিন তাঁকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন ‘ভিত্তিহীন’।
২ ঘণ্টা আগে