Ajker Patrika

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ৮ম দিন

আতঙ্কে দেশ ছাড়ছে অনেক ইসরায়েলি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রেহোভট শহরে। ছবি: এএফপি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রেহোভট শহরে। ছবি: এএফপি

আয়রন ডোমের মতো সুরক্ষিত প্রতিরক্ষা ভেদ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলিদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের মতো রাজনৈতিক নেতারা হম্বিতম্বি করে মাঠ গরম করলেও চুপিসারে দেশ ছাড়ছে অনেক ইসরায়েলি। কিন্তু যুদ্ধের মধ্যে দেশছাড়া সহজ না হওয়ায় তাদের বেছে নিতে হচ্ছে কৌশলী এবং ব্যয়বহুল পথ। পলায়নপর ইসরায়েলিদের অন্যতম গন্তব্য পূর্ব দিকে থাকা গ্রিস-নিয়ন্ত্রিত সাইপ্রাস।

সার্বিক নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েল সরকার বিমানবন্দরগুলো বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ রেখেছে। ভ্রমণের ওপর আরোপিত হয়েছে বিধিনিষেধ। বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে সম্প্রতি পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ হঠাৎ করে বহির্মুখী ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেন। এ কারণে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ার জন্য নৌপথের দ্বারস্থ হয়েছে ইসরায়েলিরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান টিআরটি গ্লোবাল এ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে।

ইসরায়েলের বহুল প্রচারিত হারেৎজ পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে টিআরটি জানিয়েছে, ক্রমেই বেশি করে ইসরায়েলি নৌপথে দেশ ছাড়ছে। হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে বিলাসবহুল ইয়টে (প্রমোদতরি) করে নানা গন্তব্যে ছুটছে তারা। দেশের উপকূলের অনেক পয়েন্ট থেকে নৌকায় উঠছে পলায়নপর ইসরায়েলিরা। এসবের মধ্যে রয়েছে হারজিলিয়া, হাইফা, আশকেলন ইত্যাদি জায়গা। সেখান থেকে ইয়টগুলো যাচ্ছে সাইপ্রাসের গ্রিক-নিয়ন্ত্রিত অংশে। সাইপ্রাস থেকে তারা যাচ্ছে ইউরোপের অন্যত্র। গ্রিক সাইপ্রাস যাওয়ার একমুখী যাত্রার টিকিটের দাম ৫ শ ডলারের কিছু বেশি থেকে বিলাসবহুল নৌযানের ক্ষেত্রে ২৩ হাজার ডলার পর্যন্ত।

টিআরটি গ্লোবালের পক্ষ থেকে এ ধরনের সেবা দেওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগই সাড়া দেয়নি। একটি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মী ফোন ধরার পর সতর্কভাবে বলেন, ‘আমি এর জবাব দিতে পারছি না। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে আপনার মেসেজ পৌঁছে দেব। তারা পরে যোগাযোগ করবে।’

ইসরায়েলজুড়ে নাগরিকদের মধ্যে এ মুহূর্তে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নৌপথে অনেকের এই দেশ ছাড়া বিপদে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতি আস্থাহীনতারও এক লক্ষণে পরিণত হয়েছে। সংঘাত ক্রমেই জোরালো হয়ে ওঠায় ইসরায়েল সরকারকে কেবল বাইরে থেকে আসা আঘাত নয়, ভাবতে হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে নাগরিকদের মনে ঢুকে যাওয়া ভয় নিয়েও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত