অনলাইন ডেস্ক
গাজার মাটিতে ইসরায়েলের ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা থেকেই অস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পেয়ে যাচ্ছে হামাস। ইসরায়েলের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক হারেৎজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনটির তথ্যমতে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে যে বোমা ফেলেছে, সেগুলোর মধ্য থেকেই কিছু এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে যাচ্ছে ইসরায়েলের অবস্থানে।
হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিক্ষেপ করা প্রায় ৩ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা এখন স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের কাছে। এসব বোমার বিস্ফোরক ব্যবহার করেই তারা হাজার হাজার ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও অন্যান্য সমরযান ধ্বংসে এসব বিস্ফোরকই ব্যবহার করছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে দেখা গেছে, তাদের যেসব যানবাহন গাজায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের মুখে পড়েছে—তার বেশির ভাগই ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমা দিয়েই ঘটানো হয়েছে। গত বুধবারই খান ইউনিসে এ ধরনের একটি বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক। এ হামলায় বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে হামাস।
হারেৎজের অর্থনৈতিক ক্রোড়পত্র দ্য মার্কার বলছে, গাজায় ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত গোলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কখনো কখনো ইসরায়েলের ছোড়া ২০ শতাংশ পর্যন্ত বোমা বিস্ফোরিত না হওয়ার নজির পাওয়া গেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বহুবার গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব গোলার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজায় ৪০ হাজারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) জানিয়েছে, এসব বোমার মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বিস্ফোরিত হয়নি।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইডিএফের ছোড়া অবিস্ফোরিত বোমা থেকে হামাস নতুন অস্ত্র তৈরি করছে বলে তথ্য পেয়েছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে তার বড় একটি অংশই ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলা গোলাবারুদ থেকে সংগ্রহ করা।
এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, সীমান্তে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে হামাস। তবে, গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা যায়, চোরাচালান নয়, ইসরায়েলের ছোড়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ ও বোমা পুনর্ব্যবহার করে নিজেরাই ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে হামাস। ইসরায়েলি পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগের সাবেক উপপ্রধান মাইকেল কারদাশ গত বছর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘হামাসের ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মূল উৎসই হচ্ছে এই অবিস্ফোরিত গোলা। তারা ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া কামানের গোলা কেটে সেগুলো দিয়ে বিস্ফোরক ও রকেট বানাচ্ছে।’
অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১০ শতাংশ গোলা বিস্ফোরিত হয় না। কিন্তু ইসরায়েলি গোলাগুলোর অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পুরোনো মজুত, যার মধ্যে কিছু ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার—ফলে তা বিস্ফোরিত না হওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকেই গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল, তা কিন্তু নয়। এর আগেও অনিয়মিতভাবে উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে, গাজায় হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা জমে উঠেছে। অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি ৭৫০ পাউন্ডের অবিস্ফোরিত বোমা থেকে শত শত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বানানো সম্ভব। শুধু অবিস্ফোরিত বোমা নয়, ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোয় দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেখানে থাকা বহু অস্ত্র হামাসের হাতে চলে গেছে।
গাজার মাটিতে ইসরায়েলের ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা থেকেই অস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পেয়ে যাচ্ছে হামাস। ইসরায়েলের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক হারেৎজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনটির তথ্যমতে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে যে বোমা ফেলেছে, সেগুলোর মধ্য থেকেই কিছু এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে যাচ্ছে ইসরায়েলের অবস্থানে।
হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিক্ষেপ করা প্রায় ৩ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা এখন স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের কাছে। এসব বোমার বিস্ফোরক ব্যবহার করেই তারা হাজার হাজার ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও অন্যান্য সমরযান ধ্বংসে এসব বিস্ফোরকই ব্যবহার করছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে দেখা গেছে, তাদের যেসব যানবাহন গাজায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের মুখে পড়েছে—তার বেশির ভাগই ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমা দিয়েই ঘটানো হয়েছে। গত বুধবারই খান ইউনিসে এ ধরনের একটি বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক। এ হামলায় বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে হামাস।
হারেৎজের অর্থনৈতিক ক্রোড়পত্র দ্য মার্কার বলছে, গাজায় ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত গোলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কখনো কখনো ইসরায়েলের ছোড়া ২০ শতাংশ পর্যন্ত বোমা বিস্ফোরিত না হওয়ার নজির পাওয়া গেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বহুবার গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব গোলার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজায় ৪০ হাজারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) জানিয়েছে, এসব বোমার মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বিস্ফোরিত হয়নি।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইডিএফের ছোড়া অবিস্ফোরিত বোমা থেকে হামাস নতুন অস্ত্র তৈরি করছে বলে তথ্য পেয়েছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে তার বড় একটি অংশই ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলা গোলাবারুদ থেকে সংগ্রহ করা।
এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, সীমান্তে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে হামাস। তবে, গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা যায়, চোরাচালান নয়, ইসরায়েলের ছোড়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ ও বোমা পুনর্ব্যবহার করে নিজেরাই ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে হামাস। ইসরায়েলি পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগের সাবেক উপপ্রধান মাইকেল কারদাশ গত বছর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘হামাসের ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মূল উৎসই হচ্ছে এই অবিস্ফোরিত গোলা। তারা ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া কামানের গোলা কেটে সেগুলো দিয়ে বিস্ফোরক ও রকেট বানাচ্ছে।’
অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১০ শতাংশ গোলা বিস্ফোরিত হয় না। কিন্তু ইসরায়েলি গোলাগুলোর অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পুরোনো মজুত, যার মধ্যে কিছু ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার—ফলে তা বিস্ফোরিত না হওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকেই গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল, তা কিন্তু নয়। এর আগেও অনিয়মিতভাবে উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে, গাজায় হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা জমে উঠেছে। অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি ৭৫০ পাউন্ডের অবিস্ফোরিত বোমা থেকে শত শত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বানানো সম্ভব। শুধু অবিস্ফোরিত বোমা নয়, ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোয় দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেখানে থাকা বহু অস্ত্র হামাসের হাতে চলে গেছে।
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের শূন্যস্থান পূরণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় শ্রমিক দেশটিতে গেছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারত সরকার জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের মধ্যেই এ খবর প্রকাশ্যে এল। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের প্রতি চাপ বাড়ার সময় ভারতের গুরুত্বপ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় একটি ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকালে পিটসবার্গের কাছে ইউএস স্টিলের ক্লেয়ারটন কারখানায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য শান্তি স্থাপন ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ যৌথভাবে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই ঘোষণা দেন। খবর সিঙ্গাপুরভিত্তিক
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা সরকারকে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে দেবে না স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ সংলগ্ন এই রাজ্যটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের কোনো স্বীকৃতি তারা
২ ঘণ্টা আগে