টানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে অবশেষে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গতকাল বুধবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবে সম্মতি জানায় দুই পক্ষ। এই যুদ্ধবিরতি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে চুক্তি ঘোষণার পরপরই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গাজা সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুক্তিতে সম্মতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশু এবং ২৫ জন নারী।
এর মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে অভিযোগ করা হয়, হামাস শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত দাবি তুলেছে। যে কারণে গাজা অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকরে বিলম্ব হতে পারে।
নেতানিয়াহুর এক মুখপাত্র বলেন, হামাস শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। হামাস চুক্তির সব শর্ত মেনে নিয়েছে—এ বিষয়টি মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলকে নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৈঠক করবে না। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে চুক্তির গ্রহণযোগ্যতার জন্য মন্ত্রিসভা ও সরকারের অনুমোদন পেতে একটি ভোট হওয়ার কথা।
রয়টার্স জানায়, চুক্তি লঙ্ঘন ও শেষ মুহূর্তে সংকট তৈরির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এক হামাস কর্মকর্তা। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজজাত আল-রিশক বলেন, চুক্তির কোনো শর্তে হামাস পিছিয়ে আসার খবর মিথ্যা। মধ্যস্থতাকারীরা যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ঘোষণা করেছেন, হামাস তাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি তিন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে—
প্রথম পর্যায়ে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন। হামাস এই বন্দীদের মুক্তি দেবে, বদলে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীরা মুক্তি পাবে। গাজার ঘনবসতি এলাকা থেকে পূর্বদিকে সরে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে। প্রতিদিন শত শত সাহায্যবাহী গাড়ি গাজায় ঢুকতে পারবে।
প্রথম পর্যায়ের ১৬তম দিনে, দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এ পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি ও পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা শুরু হবে।
তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে গাজায় পুনর্গঠন কাজ এবং যেসব জিম্মি বাকি থাকবে তাদের জীবিত বা মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হবে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামাসের হাতে এখনো ৯৪ জন জিম্মি আটকে আছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত বলে অনুমান করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যায়। এ আক্রমণের পর একই দিনে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ হামলায় ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
টানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে অবশেষে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গতকাল বুধবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবে সম্মতি জানায় দুই পক্ষ। এই যুদ্ধবিরতি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে চুক্তি ঘোষণার পরপরই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গাজা সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুক্তিতে সম্মতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশু এবং ২৫ জন নারী।
এর মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে অভিযোগ করা হয়, হামাস শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত দাবি তুলেছে। যে কারণে গাজা অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকরে বিলম্ব হতে পারে।
নেতানিয়াহুর এক মুখপাত্র বলেন, হামাস শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। হামাস চুক্তির সব শর্ত মেনে নিয়েছে—এ বিষয়টি মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলকে নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৈঠক করবে না। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে চুক্তির গ্রহণযোগ্যতার জন্য মন্ত্রিসভা ও সরকারের অনুমোদন পেতে একটি ভোট হওয়ার কথা।
রয়টার্স জানায়, চুক্তি লঙ্ঘন ও শেষ মুহূর্তে সংকট তৈরির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এক হামাস কর্মকর্তা। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজজাত আল-রিশক বলেন, চুক্তির কোনো শর্তে হামাস পিছিয়ে আসার খবর মিথ্যা। মধ্যস্থতাকারীরা যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ঘোষণা করেছেন, হামাস তাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি তিন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে—
প্রথম পর্যায়ে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন। হামাস এই বন্দীদের মুক্তি দেবে, বদলে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীরা মুক্তি পাবে। গাজার ঘনবসতি এলাকা থেকে পূর্বদিকে সরে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে। প্রতিদিন শত শত সাহায্যবাহী গাড়ি গাজায় ঢুকতে পারবে।
প্রথম পর্যায়ের ১৬তম দিনে, দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এ পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি ও পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা শুরু হবে।
তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে গাজায় পুনর্গঠন কাজ এবং যেসব জিম্মি বাকি থাকবে তাদের জীবিত বা মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হবে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামাসের হাতে এখনো ৯৪ জন জিম্মি আটকে আছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত বলে অনুমান করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যায়। এ আক্রমণের পর একই দিনে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ হামলায় ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ভিয়েতনাম গুরুতর আট ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—দুর্নীতি, সরকার উৎখাতের চেষ্টা এবং রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংসের মতো অপরাধ। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বুধবার দেশটির জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতভাবে ফৌজদারি আইনের সংশোধনী
৮ মিনিট আগেইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানজুড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭০০ জনকে। আজ বুধবার ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ ফার্স নিউ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
৩৩ মিনিট আগে১৯৭৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থার সময়, ভারতে ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক ভ্যাসেক্টমি বা বন্ধ্যাকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। শুধু ১৯৭৬ সালেই এই সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
৪১ মিনিট আগেমধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি,
১ ঘণ্টা আগে