Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ২১: ৩৭
হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে প্রায় ২৫ মিটার গভীর গর্ত হয়েছে। ছবি: এপির সৌজন্যে
হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে প্রায় ২৫ মিটার গভীর গর্ত হয়েছে। ছবি: এপির সৌজন্যে

ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আঘাত হানার পর দেশটির নিরাপত্তা দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আজ রোববার সকালে (স্থানীয় সময়) এই ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করার ‘সর্বাত্মক চেষ্টা’ চালালেও সফল হয়নি।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানায়, তারা দূরপাল্লার অ্যারো-৩ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত থাড (THAAD) অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমও রয়েছে। কিন্তু এত সব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যার’ জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারই প্রথম হুতিরা ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে সফলভাবে হামলা চালাল। তবে এর আগে বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করে, তাদের দিকে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষমতা তাদের আছে। কিন্তু এবার শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।

হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকান ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি জানান, লক্ষ্যবস্তুতে ‘হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়।

ইসরায়েলের অন্যতম সুরক্ষিত স্থানে এমন সফল হামলা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতির ইঙ্গিত দেয় এবং প্রশ্ন তোলে— এত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরও ইসরায়েল এ হামলা ঠেকাতে পারল না কেন। ছবি: এপির সৌজন্যে
ইসরায়েলের অন্যতম সুরক্ষিত স্থানে এমন সফল হামলা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতির ইঙ্গিত দেয় এবং প্রশ্ন তোলে— এত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরও ইসরায়েল এ হামলা ঠেকাতে পারল না কেন। ছবি: এপির সৌজন্যে

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুতিদের বিরুদ্ধে আরও ভয়াবহ অভিযানের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতেও নেব। সবকিছু বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের (হুতিদের) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা এবারই শেষ না, আবার পাল্টা হামলা হবে।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, হুতিদের হামলার জবাবে ‘সাত গুণ’ পাল্টা হামলা চালানো হবে।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই হামলা নিয়ে আলোচনা করতে রোববার বিকেলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে।

ইসরায়েলের অন্যতম সুরক্ষিত স্থানে এমন সফল হামলা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতির ইঙ্গিত দেয় এবং প্রশ্ন তোলে, এত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পরও ইসরায়েল এ হামলা ঠেকাতে পারল না কেন।

বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া ট্রেন চলাচলও সাময়িক বন্ধ রাখা হয় এবং সাধারণ জনগণকে ওই এলাকায় না যেতে অনুরোধ জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ প্রধান টার্মিনালের দিকে যাওয়া সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আঘাতের পর কালো ধোঁয়া ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।

জার্মানির বৃহত্তম বিমান সংস্থা লুফথানসার একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, লুফথানসা, সুইস, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস, ব্রাসেলস এয়ারলাইনস ও ইউরো উইংস সোমবার ৬ মে পর্যন্ত তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওর সামরিক বিশ্লেষক আমির বার শালোম সিএনএনকে বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এ রকম নির্ভুলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া অত্যন্ত চমকপ্রদ। আমাদের এই হুমকিকে গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। এটা আমাদের ভুল না অন্য কোনো নতুন হুমকি, তা যাচাই করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ইরান এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যেগুলো বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। তবে হুতিদের কাছে এই প্রযুক্তি সরবরাহ করা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

লুফথানসা, সুইস, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস, ব্রাসেলস এয়ারলাইনস ও ইউরো উইংস সোমবার ৬ মে পর্যন্ত তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ছবি: এপির সৌজন্যে
লুফথানসা, সুইস, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস, ব্রাসেলস এয়ারলাইনস ও ইউরো উইংস সোমবার ৬ মে পর্যন্ত তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ছবি: এপির সৌজন্যে

বার শালোম বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা থেকে শুরু করে প্রতিরোধ প্রক্রিয়া—সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে কাজ করে, যেগুলোর ভিত্তিতে ফল নির্ধারিত হয়। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে।’

এদিকে হামাস এই হামলার প্রশংসা করে হুতিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা ইয়েমেনকে ফিলিস্তিনের ‘যমজ ভাই’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, ‘সবচেয়ে নৃশংস দমননীতি সত্ত্বেও তারা পরাভূত হয়নি, মাথা নত করেনি।’

হুতিরা দাবি করেছে, তাদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে স্টেলথ প্রযুক্তি রয়েছে, যার পাল্লা ২ হাজার ১৫০ কিলোমিটার (১ হাজার ৩৩৫ মাইল)। এটি উচ্চগতিসম্পন্ন এবং ম্যাক ১৬ গতিতে ছুটতে পারে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতিরা ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, এই হামলাগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ। তবে ইসরায়েলের দাবি, বেশির ভাগ হামলাই তারা প্রতিহত করে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করেছে।

গত ডিসেম্বরেও একটি হুতি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে আঘাত হানে। সেই হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়। হুতিরা জানিয়েছিল, তারা ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র জাফা এলাকার ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার দিকে ছোড়ে।

এ ছাড়া জুলাই মাসে তারা তেল আবিবে একটি ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে, যা ছিল শহরটিতে হুতিদের প্রথম প্রাণঘাতী ড্রোন হামলা।

এদিকে ইসরায়েল হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সমুদ্রবন্দর রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আরও ব্যাপকভাবে ইয়েমেনে হুতি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত, লোহিত সাগরে হুতিদের হামলায় বৈশ্বিক বাণিজ্য চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। পাশাপাশি হুতিদের ইসরায়েল, বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা ঠেকানোও এর উদ্দেশ্য।

সিএনএন জানিয়েছে, এই অভিযান চালাতে মাত্র তিন সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের খরচ এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর মধ্যে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান মোতায়েন এবং উচ্চ মূল্যের গোলাবারুদ ব্যবহারের খরচও অন্তর্ভুক্ত। তবু এত কিছুর পরেও হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের চলমান এই অভিযান। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের নিজস্ব উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো-৩ (তাদের দাবি বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করছে) সত্ত্বেও আটকানো যায়নি হুতি ক্ষেপণাস্ত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’

এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।

রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’

শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’

প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’

স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।

গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।

সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।

সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।

আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত