অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সূচনা হলো চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে তাঁরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে। গাজার বেশির ভাগ অঞ্চলই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেকে খোলা জায়গায় শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ‘স্কাই নিউজ’ জানিয়েছে, গাজার পুরুষ ও শিশুরা মিলে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের মাঝে ঈদের প্রার্থনায় অংশ নেয়। তবে ঈদের দিনটিতেও সেখানে খাবার ও নিরাপত্তার তীব্র সংকট চলছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে নামাজ শেষে কামেল এমরান বলেছেন, ‘এটা ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঈদ। এই অন্যায় যুদ্ধ আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে—খাবার নেই, ময়দা নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, মসজিদ নেই, ঘর নেই, এমনকি বিছানাও নেই। অবস্থা ভয়াবহ কঠিন।’
এদিকে ইসরায়েল নতুন করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা শিগগিরই উত্তর গাজায় আরও তীব্র সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে তারা অভিযোগ করেছিল, ওই অঞ্চল থেকেই ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে।
গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সহায়তা ঢুকতে পারলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে, লুটপাট ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা এসব সঠিকভাবে বিতরণ করতে পারছে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে এক ভয়াবহ হামলার পর থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং আনুমানিক ২৫০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া গাজার ৯০ শতাংশ মানুষই এখন বাস্তুচ্যুত।
উল্লেখ্য, ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের দশম দিনে হজের সময়কালেই ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মতো গাজার মুসলমানেরা সৌদি আরবে গিয়ে হজ পালন করতে পারেননি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সূচনা হলো চরম অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে তাঁরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে। গাজার বেশির ভাগ অঞ্চলই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেকে খোলা জায়গায় শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ‘স্কাই নিউজ’ জানিয়েছে, গাজার পুরুষ ও শিশুরা মিলে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরের মাঝে ঈদের প্রার্থনায় অংশ নেয়। তবে ঈদের দিনটিতেও সেখানে খাবার ও নিরাপত্তার তীব্র সংকট চলছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে নামাজ শেষে কামেল এমরান বলেছেন, ‘এটা ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঈদ। এই অন্যায় যুদ্ধ আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে—খাবার নেই, ময়দা নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, মসজিদ নেই, ঘর নেই, এমনকি বিছানাও নেই। অবস্থা ভয়াবহ কঠিন।’
এদিকে ইসরায়েল নতুন করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা শিগগিরই উত্তর গাজায় আরও তীব্র সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। এর আগে তারা অভিযোগ করেছিল, ওই অঞ্চল থেকেই ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়েছে।
গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সহায়তা ঢুকতে পারলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে, লুটপাট ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা এসব সঠিকভাবে বিতরণ করতে পারছে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে এক ভয়াবহ হামলার পর থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং আনুমানিক ২৫০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া গাজার ৯০ শতাংশ মানুষই এখন বাস্তুচ্যুত।
উল্লেখ্য, ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, জিলহজ মাসের দশম দিনে হজের সময়কালেই ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মতো গাজার মুসলমানেরা সৌদি আরবে গিয়ে হজ পালন করতে পারেননি।
ইরানি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাকে বর্ণবাদী পদক্ষেপ বলে কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। তেহরানের ভাষ্য, এই নিষেধাজ্ঞা ‘ইরানি ও মুসলিমদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গভীর শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ’। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে।
১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিরোধে গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো পাঁচ সেনা, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল শুক্রবার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতি নিয়ে তোড়জোড়ের মধ্যেই গেল কয়েক দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় অগ্নিগর্ভ রাশিয়া-ইউক্রেন রণক্ষেত্র। গত ১ জুন রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের নজিরবিহীন হামলার পর আরও চড়েছে উত্তেজনার পারদ। গত বৃহস্পতিবারের পর আজ শনিবার আবার ইউক্রেনের বড় হামলা চালাল রাশিয়া। এ হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে বলে
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে মুসল্লিরা যখন কোরবানি করছেন পশু, তখন গাজার বাসিন্দারা নিজেরাই কোরবানি হচ্ছেন। ঈদের মধ্যেও গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বরতা। আজ শনিবার ভোরের আলো ফোটার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২৮ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজির
৩ ঘণ্টা আগে