ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত মাসে চালানো অভিযানে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ইসরায়েল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে সংস্থাটি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) কয়েকটি রকেট হামলায় ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে এসব ঘটনার তদন্ত করারও আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই অভিযান চালিয়েছে। এমনকি বেসামরিক নাগরিকদের যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়, সেদিকেও লক্ষ রেখেছে, যা মূলত ঐচ্ছিক। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পিআইজে অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত মাসের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের লড়াইয়ে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি ও এক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এই লড়াই শুরু হয়েছিল গত ৯ মে। এই হামলার সূত্রপাত করে ইসরায়েল। হামলায় পিআইজের তিন কমান্ডারসহ ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর পাঁচ দিন পর মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যায় তাঁরা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার ঘনবসতি এলাকায় ঘুমিয়ে ছিল মানুষ। এ সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা বোমাবর্ষণ করে, যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেনি। এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে চালানো অসম হামলা যুদ্ধাপরাধের মধ্য পড়ে।
আইডিএফ বলছে, ৯ মে রাতের পর তাঁরা গাজার আরও ৪০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় পিআইজের আরও সিনিয়র তিন কমান্ডার নিহত হন। পিআইজের বিরুদ্ধে রকেট হামলার অভিযোগে ইসরায়েল এসব হামলা চালায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব হামলার মধ্য ৯টি হামলা তদন্ত করেছে। এই হামলাগুলো পিআইজের কমান্ডারদের বাড়িতে চালানো হয়েছিল। হামলার তদন্ত শেষে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, গাজার যেসব বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর কোথাও কোনো অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। এমনকি আশপাশের বাড়িতেও এসব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ১৩ মে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের চারতলা এক বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই বাড়িতে নাবাহান পরিবারের ৪২ জন সদস্য ছিল।
আইডিএফ আরও বলেছে, গাজা উপত্যকায় অভিযান চালাতে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে। এর মধ্য রয়েছে হামলার সময় পরিবর্তন করা ও কিছু ক্ষেত্রে হামলা পরিকল্পনা বাতিল করা। বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে কম হবে এমন স্থান ও সময়ে হামলা করেছে আইডিএফ। আর তা ছাড়া ইসলামিক জিহাদ খুঁজে খুঁজে আবাসিক এলাকাতেই তাদের ঘাঁটি গাড়ে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই এমনটি করে থাকে।
আইডিএফ গাজায় হামলার আগে বিভিন্ন উপায়ে নিশ্চিত হয় যে বাড়িটি থেকে বেসামরিক নাগরিকেরা সবাই বের হয়েছে কি না। যেমন ফোনকল ও বাড়ির ছাদে ছোট আঘাত করে। বাড়ি খালি হওয়ার আগে আইডিএফ কোনো হামলা চালায় না।
তবে অ্যামনেস্টি বলছে, বাড়ির ছাদে আইডিএফ যেসব পাথর ফেলে, সেসবেও অন্তত দুই শিশুসহ তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহত শিশুদের পরিবার জানায়, ১০ মে বিকেলে গাজার আল-শাবা সড়কে ইসরায়েলি রকেটের ফেলা পাথরের আঘাতে ওই দুই শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে পিআইজে ইসরায়েলে রকেট হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তবে কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিসরীয় গবেষক মোরায়েফ জানিয়েছেন, হামলার পরপরই পিআইজে রকেট ও অন্যান্য অস্ত্র ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়। এসব হামলার তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।
পিআইজে নেতা তারিক সালমি এ অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বিবিসিকে বলেন, ‘অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রমাণ করে ইসরায়েলই এই সংঘাতের সূচনা করেছে। তাদের এই হামলা ঘৃণ্য ও গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলার উদ্দেশ্যই নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা। অন্যদিকে আমরা যা কিছুই করছি, তা শুধুই নিজেদের আত্মরক্ষার্থে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত মাসে চালানো অভিযানে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ইসরায়েল গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে বলে সংস্থাটি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) কয়েকটি রকেট হামলায় ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে এসব ঘটনার তদন্ত করারও আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই অভিযান চালিয়েছে। এমনকি বেসামরিক নাগরিকদের যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়, সেদিকেও লক্ষ রেখেছে, যা মূলত ঐচ্ছিক। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পিআইজে অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত মাসের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের লড়াইয়ে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি ও এক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এই লড়াই শুরু হয়েছিল গত ৯ মে। এই হামলার সূত্রপাত করে ইসরায়েল। হামলায় পিআইজের তিন কমান্ডারসহ ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর পাঁচ দিন পর মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যায় তাঁরা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার ঘনবসতি এলাকায় ঘুমিয়ে ছিল মানুষ। এ সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা বোমাবর্ষণ করে, যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেনি। এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে চালানো অসম হামলা যুদ্ধাপরাধের মধ্য পড়ে।
আইডিএফ বলছে, ৯ মে রাতের পর তাঁরা গাজার আরও ৪০০ স্থানে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় পিআইজের আরও সিনিয়র তিন কমান্ডার নিহত হন। পিআইজের বিরুদ্ধে রকেট হামলার অভিযোগে ইসরায়েল এসব হামলা চালায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব হামলার মধ্য ৯টি হামলা তদন্ত করেছে। এই হামলাগুলো পিআইজের কমান্ডারদের বাড়িতে চালানো হয়েছিল। হামলার তদন্ত শেষে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, গাজার যেসব বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর কোথাও কোনো অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। এমনকি আশপাশের বাড়িতেও এসব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ১৩ মে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের চারতলা এক বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই বাড়িতে নাবাহান পরিবারের ৪২ জন সদস্য ছিল।
আইডিএফ আরও বলেছে, গাজা উপত্যকায় অভিযান চালাতে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে। এর মধ্য রয়েছে হামলার সময় পরিবর্তন করা ও কিছু ক্ষেত্রে হামলা পরিকল্পনা বাতিল করা। বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে কম হবে এমন স্থান ও সময়ে হামলা করেছে আইডিএফ। আর তা ছাড়া ইসলামিক জিহাদ খুঁজে খুঁজে আবাসিক এলাকাতেই তাদের ঘাঁটি গাড়ে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই এমনটি করে থাকে।
আইডিএফ গাজায় হামলার আগে বিভিন্ন উপায়ে নিশ্চিত হয় যে বাড়িটি থেকে বেসামরিক নাগরিকেরা সবাই বের হয়েছে কি না। যেমন ফোনকল ও বাড়ির ছাদে ছোট আঘাত করে। বাড়ি খালি হওয়ার আগে আইডিএফ কোনো হামলা চালায় না।
তবে অ্যামনেস্টি বলছে, বাড়ির ছাদে আইডিএফ যেসব পাথর ফেলে, সেসবেও অন্তত দুই শিশুসহ তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহত শিশুদের পরিবার জানায়, ১০ মে বিকেলে গাজার আল-শাবা সড়কে ইসরায়েলি রকেটের ফেলা পাথরের আঘাতে ওই দুই শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে পিআইজে ইসরায়েলে রকেট হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তবে কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিসরীয় গবেষক মোরায়েফ জানিয়েছেন, হামলার পরপরই পিআইজে রকেট ও অন্যান্য অস্ত্র ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়। এসব হামলার তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।
পিআইজে নেতা তারিক সালমি এ অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বিবিসিকে বলেন, ‘অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রমাণ করে ইসরায়েলই এই সংঘাতের সূচনা করেছে। তাদের এই হামলা ঘৃণ্য ও গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলার উদ্দেশ্যই নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা। অন্যদিকে আমরা যা কিছুই করছি, তা শুধুই নিজেদের আত্মরক্ষার্থে।’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে