আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল রোববার বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৫৪ জনকে বহনকারী নৌকাটি ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশের উপকূলে ডুবে যায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ইয়েমেন প্রধান আব্দুসাত্তার এসোয়েভ বিবিসিকে জানান, এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে, আর বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ।
তিনি আরও জানান, খানফার জেলায় সমুদ্রে ভেসে আসা ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য একটি স্থানে আরও ১৪ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
আইওএম জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি এ ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে ইয়েমেনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবিয়ান প্রদেশের রাজধানী জাঞ্জিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আবদুল কাদের বাজামিল জানিয়েছেন, নিহতদের দাফনের জন্য ইয়েমেনের শাকরা শহরের নিকটবর্তী এলাকায় প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আফ্রিকার ও ইয়েমেনের মধ্যকার জলপথ শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য এক ঝুঁকিপূর্ণ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পথ ধরে দুদিকেই যাতায়াত হয়। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে হুতি বিদ্রোহী ও সরকারপন্থী বাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে সহিংসতা কমে আসে এবং ইয়েমেনের চলমান মানবিক সংকট কিছুটা প্রশমিত হয়।
এদিকে, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সংঘাত এড়িয়ে যারা পালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের অনেকে ইয়েমেনে আশ্রয় নিচ্ছেন বা ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোর দিকে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। ইয়েমেনে পৌঁছাতে শরণার্থী ও অভিবাসীদের অনেক সময় মানবপাচারকারীরা লোহিত সাগর বা অ্যাডেন উপসাগরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নৌকায় তুলে পাঠিয়ে দেয়।
আইওএম জানায়, ২০২৪ সালে ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের ৯৭ হাজার ২০০ জন থেকে উল্লেখযোগ্য হারে কম। নজরদারি ও টহল বাড়ায় এ সংখ্যা হ্রাস হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
আইওএমের মতে, এই রুটটি এখনো বিশ্বের অন্যতম ‘ব্যস্ত ও সবচেয়ে বিপজ্জনক’ অভিবাসন পথ হিসেবে রয়ে গেছে। এই বিপজ্জনক নৌপথে শুধু গত বছরই এই পথে ৫৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত এক দশকে এই পথে অন্তত ২ হাজার ৮২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৯৩ জনের ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আইওএমের তথ্যমতে, বর্তমানে ইয়েমেনে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী অবস্থান করছেন।
ইয়েমেন, নৌকা, আফ্রিকা, শরণার্থী, অভিবাসী
ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল রোববার বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৫৪ জনকে বহনকারী নৌকাটি ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশের উপকূলে ডুবে যায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ইয়েমেন প্রধান আব্দুসাত্তার এসোয়েভ বিবিসিকে জানান, এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে, আর বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ।
তিনি আরও জানান, খানফার জেলায় সমুদ্রে ভেসে আসা ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য একটি স্থানে আরও ১৪ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
আইওএম জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি এ ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে ইয়েমেনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবিয়ান প্রদেশের রাজধানী জাঞ্জিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আবদুল কাদের বাজামিল জানিয়েছেন, নিহতদের দাফনের জন্য ইয়েমেনের শাকরা শহরের নিকটবর্তী এলাকায় প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আফ্রিকার ও ইয়েমেনের মধ্যকার জলপথ শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য এক ঝুঁকিপূর্ণ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পথ ধরে দুদিকেই যাতায়াত হয়। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে হুতি বিদ্রোহী ও সরকারপন্থী বাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে সহিংসতা কমে আসে এবং ইয়েমেনের চলমান মানবিক সংকট কিছুটা প্রশমিত হয়।
এদিকে, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সংঘাত এড়িয়ে যারা পালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের অনেকে ইয়েমেনে আশ্রয় নিচ্ছেন বা ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোর দিকে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। ইয়েমেনে পৌঁছাতে শরণার্থী ও অভিবাসীদের অনেক সময় মানবপাচারকারীরা লোহিত সাগর বা অ্যাডেন উপসাগরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নৌকায় তুলে পাঠিয়ে দেয়।
আইওএম জানায়, ২০২৪ সালে ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের ৯৭ হাজার ২০০ জন থেকে উল্লেখযোগ্য হারে কম। নজরদারি ও টহল বাড়ায় এ সংখ্যা হ্রাস হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
আইওএমের মতে, এই রুটটি এখনো বিশ্বের অন্যতম ‘ব্যস্ত ও সবচেয়ে বিপজ্জনক’ অভিবাসন পথ হিসেবে রয়ে গেছে। এই বিপজ্জনক নৌপথে শুধু গত বছরই এই পথে ৫৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত এক দশকে এই পথে অন্তত ২ হাজার ৮২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৯৩ জনের ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আইওএমের তথ্যমতে, বর্তমানে ইয়েমেনে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী অবস্থান করছেন।
ইয়েমেন, নৌকা, আফ্রিকা, শরণার্থী, অভিবাসী
কেনিয়ার মাই-মাহিউ শহরে ১৩ বছর বয়সী শিশুরাও যৌন বাণিজ্যের শিকার—বিবিসি আফ্রিকা আই-এর গোপন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমনই এক নির্মম বাস্তবতা। শহরটির অবস্থান একটি ব্যস্ত ট্রানজিট পয়েন্ট। এর ফলে এখানে প্রতিদিন প্রচুর ট্রাক আসা-যাওয়া করে।
৭ মিনিট আগেভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এর জন্য অভিবাসী, বিশেষ করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে দায়ী করছেন। একজন মন্তব্য করেন, ‘গুজরাটি, পাঞ্জাবি, গোয়ানিজরা যুক্তরাজ্যের জন্য এক ঝামেলা। ট্রাম্পের উচিত দ্রুত যুক্তরাজ্য দখল করা।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘ভারতের সম্মান নষ্ট করার জন্য অন্য দেশের
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের অমতে বিয়ে করায় বিয়ের এক বছর পর গুলি করে হত্যা করা হলো এক পাকিস্তানি দম্পতিকে। গতকাল রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্যমতে, নিহত দুজনের নাম সাকলাইন এবং আয়েশা। হত্যাকারী নিহত আয়েশার ভাই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডন। হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে বলে
৩ ঘণ্টা আগেঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসী আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেন মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও কিডনির জটিলতায় দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর আজ সোমবার সকালে দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
৩ ঘণ্টা আগে