Ajker Patrika

ইসরায়েলের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা বন্ধ: আইএইএ

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ২৬
ইসরায়েলের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা বন্ধ: আইএইএ

ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় পরমাণু স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এ তথ্য জানান। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান গ্রোসিকে জিজ্ঞেস করা হয়, প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি না। 

তিনি বলেন, ‘এই আশঙ্কা নিয়ে আমরা সব সময় উদ্বিগ্ন। ইরান আমাদের পরিদর্শকদের সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে গত রোববার সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব স্থাপনাই আমরা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করেছি।’ 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল সোমবার এই স্থাপনাগুলো আবারও খুলে দেওয়ার কথা। তবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিদর্শকেরা ফিরবেন না বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ পরিদর্শকদের ফিরে আসতে দেব না।’ এ সময় ‘চরম সংযম’-এর আহ্বান জানান তিনি। 

গত শনিবার রাত থেকে রোববার পর্যন্ত ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। দামেস্কে ইরানের কনস্যুলার ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সাত রেভল্যুশনারি গার্ডের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ হামলা করেছে দেশটি।

তবে ইরানের হামলায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইরানি বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশেরা। কিন্তু ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধের আশঙ্কা সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিয়েছে। 

এর আগেও ওই অঞ্চলে পরমাণু স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। ১৯৮১ সালে ওয়াশিংটনের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও সাদ্দাম হোসেনের ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লিতে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ২০১৮ সালে দেশটি ১১ বছর আগে সিরিয়ার একটি পরমাণু চুল্লিতে টপ সিক্রেট বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে। 

এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে ইরানের দুজন পরমাণু পদার্থবিদকে হত্যা এবং এর আগের বছর আরেকজনকে অপহরণ করার অভিযোগ করে তেহরান। ২০১০ সালে ইরান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে স্টাক্সনেট ভাইরাস ব্যবহার করে একটি অত্যাধুনিক সাইবার আক্রমণের জন্য দায়ী করে। এ হামলায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য ব্যবহৃত ইরানি সেন্ট্রিফিউজগুলোতে ধারাবাহিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। 

ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে চায়। যদিও তেহরান এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত