অবশেষে অনেক নাটকীয়তা শেষে গাজায় শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত যুদ্ধবিরতি। আগামী চার দিন চলবে এই যুদ্ধবিরতি। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিপরীতে প্রায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের এই যুদ্ধবিরতিতে বন্দিবিনিময় ছাড়াও গাজায় মানবিক সহায়তাসহ কয়েক শ ট্রাক প্রবেশ করার কথা রয়েছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে হামাস বা ইসরায়েল এই বিরতির কথা ঘোষণা না করলেও রয়টার্সের গাজা সংবাদদাতা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের গাজা সংবাদদাতা উত্তর গাজা থেকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির সময় শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজার আকাশে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর আনাগোনা বা কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে। বিপরীতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকেও কোনো রকেট ছোড়া হয়েছে এমন কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি। লেবাননভিত্তিক আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে।
এর আগে হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজ্জুদ্দিন আর-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছিল, গাজার স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, চার দিনের এই যুদ্ধবিরতিতে আল-ক্বাসাম ব্রিগেড ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই অস্ত্র সংবরণ করবে।
আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলের ১৯ বছরের কম বয়সী বন্দী, নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইসরায়েলির জন্য নারী, শিশুসহ তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, প্রতিদিন ২০০ ট্রাক চিকিৎসা এবং ৪ ট্রাক জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস আনা হবে গাজায়।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ঘনিয়ে এলেও ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৪।
গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৬ হাজার। নিহতদের তালিকায় ৭ হাজার জনকে গণনা করা হয়নি। এই ৭ হাজার জনের সবাই এখনো নিখোঁজ আর না হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এদের মধ্যে আবার ৪ হাজার ৭০০ জনই শিশু।
যুদ্ধবিরতি শেষে আরও দুই মাস তীব্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইসরায়েলের।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুই মাস তীব্র লড়াই চালিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনে প্রথম যে বিষয়টি আপনার দেখবেন তা হলো—জিম্মিদের মুক্তি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। এটি কেবলই সাময়িক বিরতি।’
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী ইউনিটের উদ্দেশে দেওয়া ওই ভাষণে গ্যালান্ত বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতির সময় নিজেরা আবারও সুসংগঠিত হন, বোঝাপড়া তৈরি করুন, অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হন এবং হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অভিযান চলতে থাকবে। কারণ আমাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হবে এবং বাকি জিম্মিদের মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ তাদের কেবল (হামাসের ওপর) চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
এ সময়েই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, যুদ্ধ আরও অন্তত দুই মাস চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, আমাদের আরও দুই মাস যুদ্ধ করতে হবে।’
অবশেষে অনেক নাটকীয়তা শেষে গাজায় শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত যুদ্ধবিরতি। আগামী চার দিন চলবে এই যুদ্ধবিরতি। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিপরীতে প্রায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের এই যুদ্ধবিরতিতে বন্দিবিনিময় ছাড়াও গাজায় মানবিক সহায়তাসহ কয়েক শ ট্রাক প্রবেশ করার কথা রয়েছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-ক্বাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে হামাস বা ইসরায়েল এই বিরতির কথা ঘোষণা না করলেও রয়টার্সের গাজা সংবাদদাতা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের গাজা সংবাদদাতা উত্তর গাজা থেকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির সময় শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজার আকাশে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর আনাগোনা বা কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে। বিপরীতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকেও কোনো রকেট ছোড়া হয়েছে এমন কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি। লেবাননভিত্তিক আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে।
এর আগে হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজ্জুদ্দিন আর-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছিল, গাজার স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, চার দিনের এই যুদ্ধবিরতিতে আল-ক্বাসাম ব্রিগেড ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই অস্ত্র সংবরণ করবে।
আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলের ১৯ বছরের কম বয়সী বন্দী, নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইসরায়েলির জন্য নারী, শিশুসহ তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, প্রতিদিন ২০০ ট্রাক চিকিৎসা এবং ৪ ট্রাক জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস আনা হবে গাজায়।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ঘনিয়ে এলেও ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৪।
গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৬ হাজার। নিহতদের তালিকায় ৭ হাজার জনকে গণনা করা হয়নি। এই ৭ হাজার জনের সবাই এখনো নিখোঁজ আর না হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এদের মধ্যে আবার ৪ হাজার ৭০০ জনই শিশু।
যুদ্ধবিরতি শেষে আরও দুই মাস তীব্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইসরায়েলের।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুই মাস তীব্র লড়াই চালিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনে প্রথম যে বিষয়টি আপনার দেখবেন তা হলো—জিম্মিদের মুক্তি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। এটি কেবলই সাময়িক বিরতি।’
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী ইউনিটের উদ্দেশে দেওয়া ওই ভাষণে গ্যালান্ত বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতির সময় নিজেরা আবারও সুসংগঠিত হন, বোঝাপড়া তৈরি করুন, অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হন এবং হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অভিযান চলতে থাকবে। কারণ আমাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হবে এবং বাকি জিম্মিদের মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ তাদের কেবল (হামাসের ওপর) চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
এ সময়েই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, যুদ্ধ আরও অন্তত দুই মাস চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, আমাদের আরও দুই মাস যুদ্ধ করতে হবে।’
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
৪ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৫ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৬ ঘণ্টা আগে