মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে ‘গোপন সতর্কবার্তা’ দিয়েছে ইরান। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশগুলো হলো—জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইরান জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র দেশগুলোকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণে যেন তাদের কোনো সহযোগিতা বা সমর্থন না থাকে।
গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এরপর থেকেই ইসরায়েল ইরানের এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে আসছে। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনার মধ্যেই এ খবর প্রকাশিত হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তেহরান ‘গোপন কূটনৈতিক চ্যানেলে’ দেশগুলোর কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে।
ইরানে হামলার পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল অবকাঠামোর ওপর ধ্বংসাত্মক প্রতিশোধমূলক হামলার পক্ষে ওকালতি করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া সীমিত রাখতে এবং একটি বিস্তৃত যুদ্ধ এড়াতে চেষ্টা করছে। দেশটির আশঙ্কা, এমনটা হলে যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সংঘাত জ্বালানি সমৃদ্ধ পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে তাদের নিজস্ব তেল স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যাপারে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্ভাব্য যেকোনো ভুল পদক্ষেপ বা সংঘাতের বৃদ্ধি এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক স্থাপনা ও বাহিনীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে, যা এক অনিশ্চিত ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এমন একাধিক দেশের কর্মকর্তারা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তাদের দেশ মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কোনো আক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের সামরিক অবকাঠামো বা আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে চায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার এক পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্সও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সবাই ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে, তারা ইরানে আক্রমণের ক্ষেত্রে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
এদিকে, তেহরানের সরকারি মহলের একটি সূত্র রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিকে জানিয়েছে, ইরান নিজেকে রক্ষা করতে ও ইসরায়েলের যেকোনো সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত এবং এই প্রতিক্রিয়া হবে ‘আনুপাতিক এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়মের ভিত্তিতে।’
সূত্রটি বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল অবকাঠামোকে টার্গেট করে হামলা চালায় তাহলে তেহরান দেশটির তেল শোধনাগারে হামলার মাধ্যমে জবাব দেবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পারমাণবিক স্থাপনার মতো অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা হলে একইভাবে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে তেহরান।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে ‘গোপন সতর্কবার্তা’ দিয়েছে ইরান। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশগুলো হলো—জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইরান জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র দেশগুলোকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণে যেন তাদের কোনো সহযোগিতা বা সমর্থন না থাকে।
গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এরপর থেকেই ইসরায়েল ইরানের এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে আসছে। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনার মধ্যেই এ খবর প্রকাশিত হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তেহরান ‘গোপন কূটনৈতিক চ্যানেলে’ দেশগুলোর কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে।
ইরানে হামলার পর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল অবকাঠামোর ওপর ধ্বংসাত্মক প্রতিশোধমূলক হামলার পক্ষে ওকালতি করছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া সীমিত রাখতে এবং একটি বিস্তৃত যুদ্ধ এড়াতে চেষ্টা করছে। দেশটির আশঙ্কা, এমনটা হলে যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সংঘাত জ্বালানি সমৃদ্ধ পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে তাদের নিজস্ব তেল স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যাপারে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্ভাব্য যেকোনো ভুল পদক্ষেপ বা সংঘাতের বৃদ্ধি এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক স্থাপনা ও বাহিনীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে, যা এক অনিশ্চিত ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এমন একাধিক দেশের কর্মকর্তারা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তাদের দেশ মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কোনো আক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের সামরিক অবকাঠামো বা আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে চায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার এক পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্সও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সবাই ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে, তারা ইরানে আক্রমণের ক্ষেত্রে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
এদিকে, তেহরানের সরকারি মহলের একটি সূত্র রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিকে জানিয়েছে, ইরান নিজেকে রক্ষা করতে ও ইসরায়েলের যেকোনো সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত এবং এই প্রতিক্রিয়া হবে ‘আনুপাতিক এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়মের ভিত্তিতে।’
সূত্রটি বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল অবকাঠামোকে টার্গেট করে হামলা চালায় তাহলে তেহরান দেশটির তেল শোধনাগারে হামলার মাধ্যমে জবাব দেবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পারমাণবিক স্থাপনার মতো অন্যান্য অবকাঠামোতে হামলা হলে একইভাবে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে তেহরান।
খোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
২ মিনিট আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও স্পেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার যে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যে যুক্তিই তুলে ধরা হোক না কেন, তা আন্তর্জ
১০ মিনিট আগেতাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে এখন ইরানকে তিনটি কৌশলগত পথের একটি বেছে নিতে হবে। প্রথমত কোনো কিছু না করা। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও হামলা থেকে রেহাই পেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এমনকি ইরান চাইলে কূটনৈতিক পথেও যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান নয়। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগে