অনলাইন ডেস্ক
ছয় মাস আগে ইসরায়েলি হামলায় মাকে হারিয়েছে শিশু জায়ান মাহনা। এরপর থেকে প্রতি রাতে মায়ের কবরের পাশেই ঘুমায় ৮ বছর বয়সী শিশুটি। মায়ের কবরের পাশে শুয়েই মা দিবস কাটবে তার। সে জানায়, মায়ের হাতে তো ফুল দিতে পারবে না। তাই, কবরে একটা ফুল গুঁজে দিয়ে সারা রাত মায়ের সঙ্গে গল্প করবে। হয়তো কাঁদবেও সারা রাত।
আরব নিউজকে জায়ান জানায়, মাকে হারানোর পর আর কোনো কিছুতে তার ভয় লাগে না। কবরের পাশে ঘুমালে বরং মায়ের গায়ের পরিচিত সেই গন্ধ পায় সে, অনুভব করতে পারে উষ্ণতা। সে বলে, ‘শুধু যে মায়ের আদর-ভালোবাসা অনুভব করি তা নয়, আমার সারা দিন কেমন কাটল সেই গল্পও বলি মাকে।’ কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে জায়ান। জোর করে কান্না চেপে শিশুটি বলে, ‘মাকে খুব মনে পড়ে। যদি শুধু ৫ মিনিটের জন্য আবার ফিরে পেতাম, জড়িয়ে ধরে রাখতাম। চুমু খেতাম।’
তবে গাজার অন্য অনেক শিশুর তুলনায় জায়ানকে বেশ ভাগ্যবানই বলা যেতে পারে। কারণ, তার তো মায়ের একটা কবর আছে! গাজার অনেক শিশু আছে, যাদের মা হারিয়ে গেছে, কোথায় আছে কেউ জানে না! হয়তো মরেই গেছে। কিন্তু দুর্ভাগা ওই শিশুগুলো মায়ের কবরের সন্ধান জানে না। হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। আবার কারও মৃত্যু হয়েছে এত নৃশংসভাবে যে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে শরীর। তাদের কোনো দিনই শনাক্ত করা যাবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়। একইভাবে হাজার হাজার সন্তানের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে বাবা-মা। তেমনই আরেক সন্তান ফাইজা দারবিশ। তাঁর মা সামাহার দারবিশ ছিলেন শিক্ষিকা। তিনি চাইতেন ফাইজা পড়াশোনা করে জীবনে অনেক বড় কিছু হোক। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি হামলায় যখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তখন সামাহার তাঁকে পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন। অনিশ্চয়তা থাকলেও ফাইজা কখনো ভাবেননি যে মায়ের সঙ্গে আর কখনো দেখা হবে না।
আরব নিউজকে ফাইজা বলেন, ‘এত বিপজ্জনক একটা পরিস্থিতিতে পরিবার রেখে বিদেশে আসতে চাইনি। মা খুব জোরাজুরি করলেন। আমিও চেয়েছিলাম পড়াশোনা করে মাকে গর্বিত করব। তাই পরে রাজি হই। কিন্তু আমি দেশ ছাড়ার পর পরই আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলায় মাসহ আমার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়।’
ফাইজা জানান, মা তাঁকে শেষ একটি ভয়েস নোট পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মা, তুমি কেমন আছ? আশা করি, সব ঠিকঠাক আছে। আমরাও ভালো আছি। নিশ্চয়ই তুমি নিরাপদে পৌঁছেছ। নিজের যত্ন নিও, সোনা।’
ফাইজা বলেন, ‘আমি এখনো প্রতিদিন সকালে উঠেই ভয়েস নোটটা শুনি। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এটিই আমার শক্তি। আমি জানি, মা আর কোনো দিন আমাকে রিপ্লাই করবেন না। তাও আমি মেসেজ পাঠাই। এখনো প্রতিদিন মায়ের জবাবের অপেক্ষা করি।’ ফাইজা জানান, এই ভয়েস নোটটিই এবার মা দিবসে তাঁর একমাত্র অনুষঙ্গ।
গাজার সন্তানেরা যেমন মা হারানোর বেদনায় ব্যথিত, একইভাবে গাজার মায়েরাও সন্তান হারানোর হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছেন। আবির নাসের নামের এক ফিলিস্তিনি মা আরব নিউজকে জানান, দুই সন্তানই ছিল তাঁর পৃথিবী। ছেলে আমিরের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর, আর মেয়ে হুর দুই বছরের। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে দুই সন্তানই। শুধু সন্তানই নয়, স্বামীকেও হারিয়েছেন ওই হামলায়। এই মা দিবসে আবিরের চাওয়া খুবই সামান্য—তাঁর দুই সন্তান আবার তাঁকে মা বলে একবার ডাকুক। কিন্তু এই চাওয়া পূরণের সাধ্য কি কারও আছে!
কিন্তু দুবছর আগেও মা দিবসে গাজার দৃশ্য এমন ছিল না। প্রতিটি রাস্তা, পাড়া-মহল্লায় নানা রকমের ফুল, গিফট কার্ডের পসরা সাজিয়ে বসত দোকানিরা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের সামনে। ছুটির পর হই হই করে শিশুরা ফুল, উপহার কিনত মায়ের জন্য। কিন্তু এখন উদ্যাপন করার মানসিকতাই আর নেই কারও। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এখানকার নারী-শিশু সর্বোপরি সব মানুষের জীবন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৫ হাজারের বেশি শুধু নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। অন্তত ১৭ হাজার মা তাঁদের সন্তানকে কবরে শুইয়েছেন। প্রয়োজনীয় যত্ন ও চিকিৎসার অভাবে গর্ভাবস্থায়ই সন্তান হারিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি নারী।
ছয় মাস আগে ইসরায়েলি হামলায় মাকে হারিয়েছে শিশু জায়ান মাহনা। এরপর থেকে প্রতি রাতে মায়ের কবরের পাশেই ঘুমায় ৮ বছর বয়সী শিশুটি। মায়ের কবরের পাশে শুয়েই মা দিবস কাটবে তার। সে জানায়, মায়ের হাতে তো ফুল দিতে পারবে না। তাই, কবরে একটা ফুল গুঁজে দিয়ে সারা রাত মায়ের সঙ্গে গল্প করবে। হয়তো কাঁদবেও সারা রাত।
আরব নিউজকে জায়ান জানায়, মাকে হারানোর পর আর কোনো কিছুতে তার ভয় লাগে না। কবরের পাশে ঘুমালে বরং মায়ের গায়ের পরিচিত সেই গন্ধ পায় সে, অনুভব করতে পারে উষ্ণতা। সে বলে, ‘শুধু যে মায়ের আদর-ভালোবাসা অনুভব করি তা নয়, আমার সারা দিন কেমন কাটল সেই গল্পও বলি মাকে।’ কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে জায়ান। জোর করে কান্না চেপে শিশুটি বলে, ‘মাকে খুব মনে পড়ে। যদি শুধু ৫ মিনিটের জন্য আবার ফিরে পেতাম, জড়িয়ে ধরে রাখতাম। চুমু খেতাম।’
তবে গাজার অন্য অনেক শিশুর তুলনায় জায়ানকে বেশ ভাগ্যবানই বলা যেতে পারে। কারণ, তার তো মায়ের একটা কবর আছে! গাজার অনেক শিশু আছে, যাদের মা হারিয়ে গেছে, কোথায় আছে কেউ জানে না! হয়তো মরেই গেছে। কিন্তু দুর্ভাগা ওই শিশুগুলো মায়ের কবরের সন্ধান জানে না। হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। আবার কারও মৃত্যু হয়েছে এত নৃশংসভাবে যে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে শরীর। তাদের কোনো দিনই শনাক্ত করা যাবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়। একইভাবে হাজার হাজার সন্তানের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে বাবা-মা। তেমনই আরেক সন্তান ফাইজা দারবিশ। তাঁর মা সামাহার দারবিশ ছিলেন শিক্ষিকা। তিনি চাইতেন ফাইজা পড়াশোনা করে জীবনে অনেক বড় কিছু হোক। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি হামলায় যখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তখন সামাহার তাঁকে পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেন। অনিশ্চয়তা থাকলেও ফাইজা কখনো ভাবেননি যে মায়ের সঙ্গে আর কখনো দেখা হবে না।
আরব নিউজকে ফাইজা বলেন, ‘এত বিপজ্জনক একটা পরিস্থিতিতে পরিবার রেখে বিদেশে আসতে চাইনি। মা খুব জোরাজুরি করলেন। আমিও চেয়েছিলাম পড়াশোনা করে মাকে গর্বিত করব। তাই পরে রাজি হই। কিন্তু আমি দেশ ছাড়ার পর পরই আল মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলায় মাসহ আমার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়।’
ফাইজা জানান, মা তাঁকে শেষ একটি ভয়েস নোট পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মা, তুমি কেমন আছ? আশা করি, সব ঠিকঠাক আছে। আমরাও ভালো আছি। নিশ্চয়ই তুমি নিরাপদে পৌঁছেছ। নিজের যত্ন নিও, সোনা।’
ফাইজা বলেন, ‘আমি এখনো প্রতিদিন সকালে উঠেই ভয়েস নোটটা শুনি। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এটিই আমার শক্তি। আমি জানি, মা আর কোনো দিন আমাকে রিপ্লাই করবেন না। তাও আমি মেসেজ পাঠাই। এখনো প্রতিদিন মায়ের জবাবের অপেক্ষা করি।’ ফাইজা জানান, এই ভয়েস নোটটিই এবার মা দিবসে তাঁর একমাত্র অনুষঙ্গ।
গাজার সন্তানেরা যেমন মা হারানোর বেদনায় ব্যথিত, একইভাবে গাজার মায়েরাও সন্তান হারানোর হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছেন। আবির নাসের নামের এক ফিলিস্তিনি মা আরব নিউজকে জানান, দুই সন্তানই ছিল তাঁর পৃথিবী। ছেলে আমিরের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর, আর মেয়ে হুর দুই বছরের। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে দুই সন্তানই। শুধু সন্তানই নয়, স্বামীকেও হারিয়েছেন ওই হামলায়। এই মা দিবসে আবিরের চাওয়া খুবই সামান্য—তাঁর দুই সন্তান আবার তাঁকে মা বলে একবার ডাকুক। কিন্তু এই চাওয়া পূরণের সাধ্য কি কারও আছে!
কিন্তু দুবছর আগেও মা দিবসে গাজার দৃশ্য এমন ছিল না। প্রতিটি রাস্তা, পাড়া-মহল্লায় নানা রকমের ফুল, গিফট কার্ডের পসরা সাজিয়ে বসত দোকানিরা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের সামনে। ছুটির পর হই হই করে শিশুরা ফুল, উপহার কিনত মায়ের জন্য। কিন্তু এখন উদ্যাপন করার মানসিকতাই আর নেই কারও। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এখানকার নারী-শিশু সর্বোপরি সব মানুষের জীবন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৫ হাজারের বেশি শুধু নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। অন্তত ১৭ হাজার মা তাঁদের সন্তানকে কবরে শুইয়েছেন। প্রয়োজনীয় যত্ন ও চিকিৎসার অভাবে গর্ভাবস্থায়ই সন্তান হারিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি নারী।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরের জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গতকাল রোববার বাজারঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। তবে এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারত। কোনো আঘাত এলে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশটির সেনা
১১ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন। রোববার জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত শুধুমাত্র যদি রাশিয়া আগেই যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়।
১২ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ঠিক কী পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি।
১২ ঘণ্টা আগেসমুদ্রে টানা ৫৫ দিন ভেসে থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন পাঁচ জেলে। স্থানীয় সময় শনিবার তাঁদের ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি টুনা ধরার নৌকা ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর নৌবাহিনী।
১৫ ঘণ্টা আগে