অনলাইন ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করতে ও পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নতুন পরিকল্পনায় গাজার ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরও তীব্র করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাকে ‘ভালো পরিকল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে হামাসকে পরাজিত করা এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় গতকাল রোববার রাতে। বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আয়াল জামিরের প্রস্তাবিত একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। এতে গাজা দখল, এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, গাজার জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া এবং মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে হামাসের ক্ষমতা নষ্ট করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ কী কী
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। প্রথম ধাপে গাজার আরও এলাকা দখল এবং সীমান্তজুড়ে ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় আলোচনায় ইসরায়েলের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চলবে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ইউনিটের সঙ্গে এক বৈঠকে জেনারেল জামির বলেন, ‘আমরা গাজায় অভিযান সম্প্রসারণ করছি, যাতে আমাদের নাগরিকদের ঘরে ফেরানো যায় এবং হামাসকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করা যায়।’ তিনি আরও জানান, এই অভিযানে অংশ নিতে প্রায় কয়েক হাজার রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে আসা হচ্ছে।
এই পরিকল্পনার একটি অংশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের কথা বলা হয়েছে, যা গত দুই মাস ধরে চলা অবরোধের অবসান ঘটাতে পারে। তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা বলছে, এটি মানবিক নীতির চরম লঙ্ঘন এবং তারা এতে অংশ নেবে না।
জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা সংস্থা হিউম্যানিটেরিয়ান কান্ট্রি টিম (এইচসিটি) গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল বর্তমান ত্রাণ বিতরণব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের নির্ধারিত শর্তে সামরিক ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে গাজার বহু এলাকা ও অসহায় জনগোষ্ঠী প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবে।
এইচসিটির ভাষ্য, এই পরিকল্পনা মানবিক নীতির বিরুদ্ধে এবং জীবন রক্ষাকারী ত্রাণকে রাজনৈতিক চাপের কৌশল হিসেবে ব্যবহারের শামিল।
হামাসের প্রতিক্রিয়া: ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেল’
হামাস ইসরায়েলের এই প্রস্তাবকে ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেল’ বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটি বলেছে, মানবিক ত্রাণ নিয়ে এমন পরিকল্পনা যুদ্ধনীতির পরিপন্থী এবং ফিলিস্তিনিদের আরও দুর্ভোগে ফেলবে।
ইসরায়েলে সমালোচনা: জমি নয়, চাই জিম্মিদের মুক্তি
এদিকে ইসরায়েলের ভেতরেও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা দেখা দিয়েছে। ‘হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’-এর ভাষ্য, সরকার জিম্মিদের চেয়ে ভূখণ্ড দখলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে—যা দেশটির ৭০ শতাংশ নাগরিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের এই অবরোধ ও ত্রাণ বন্ধের সিদ্ধান্তে গাজায় খাদ্য, ওষুধ, টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সবই ফুরিয়ে এসেছে। ওখানকার মানুষেরা এখন চরম দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের সীমান্ত পাড়ি দেওয়া হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫২ হাজার ৫৬৭ জনে, যার মধ্যে ২ হাজার ৪৫৯ জন নিহত হয়েছেন গত মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আক্রমণ শুরুর পর।
গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করতে ও পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নতুন পরিকল্পনায় গাজার ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরও তীব্র করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাকে ‘ভালো পরিকল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে হামাসকে পরাজিত করা এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় গতকাল রোববার রাতে। বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আয়াল জামিরের প্রস্তাবিত একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। এতে গাজা দখল, এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, গাজার জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া এবং মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে হামাসের ক্ষমতা নষ্ট করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ কী কী
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। প্রথম ধাপে গাজার আরও এলাকা দখল এবং সীমান্তজুড়ে ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় আলোচনায় ইসরায়েলের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চলবে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ইউনিটের সঙ্গে এক বৈঠকে জেনারেল জামির বলেন, ‘আমরা গাজায় অভিযান সম্প্রসারণ করছি, যাতে আমাদের নাগরিকদের ঘরে ফেরানো যায় এবং হামাসকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করা যায়।’ তিনি আরও জানান, এই অভিযানে অংশ নিতে প্রায় কয়েক হাজার রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে আসা হচ্ছে।
এই পরিকল্পনার একটি অংশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের কথা বলা হয়েছে, যা গত দুই মাস ধরে চলা অবরোধের অবসান ঘটাতে পারে। তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা বলছে, এটি মানবিক নীতির চরম লঙ্ঘন এবং তারা এতে অংশ নেবে না।
জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা সংস্থা হিউম্যানিটেরিয়ান কান্ট্রি টিম (এইচসিটি) গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল বর্তমান ত্রাণ বিতরণব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের নির্ধারিত শর্তে সামরিক ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ বিতরণের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে গাজার বহু এলাকা ও অসহায় জনগোষ্ঠী প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবে।
এইচসিটির ভাষ্য, এই পরিকল্পনা মানবিক নীতির বিরুদ্ধে এবং জীবন রক্ষাকারী ত্রাণকে রাজনৈতিক চাপের কৌশল হিসেবে ব্যবহারের শামিল।
হামাসের প্রতিক্রিয়া: ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেল’
হামাস ইসরায়েলের এই প্রস্তাবকে ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেল’ বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটি বলেছে, মানবিক ত্রাণ নিয়ে এমন পরিকল্পনা যুদ্ধনীতির পরিপন্থী এবং ফিলিস্তিনিদের আরও দুর্ভোগে ফেলবে।
ইসরায়েলে সমালোচনা: জমি নয়, চাই জিম্মিদের মুক্তি
এদিকে ইসরায়েলের ভেতরেও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা দেখা দিয়েছে। ‘হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’-এর ভাষ্য, সরকার জিম্মিদের চেয়ে ভূখণ্ড দখলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে—যা দেশটির ৭০ শতাংশ নাগরিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের এই অবরোধ ও ত্রাণ বন্ধের সিদ্ধান্তে গাজায় খাদ্য, ওষুধ, টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সবই ফুরিয়ে এসেছে। ওখানকার মানুষেরা এখন চরম দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের সীমান্ত পাড়ি দেওয়া হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫২ হাজার ৫৬৭ জনে, যার মধ্যে ২ হাজার ৪৫৯ জন নিহত হয়েছেন গত মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আক্রমণ শুরুর পর।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে