সিরিয়ার হারাম শহরের কাছে ছোট এক গ্রাম বেসনায়া-বেসিনেহ। ওই গ্রামের দুটি শিশু ভূমিকম্পের পর বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে। প্রায় দুই দিন আটকে থাকার পর তাদের ধ্বংসস্তূপের মাঝে দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। এ সময় ছোট সহোদরকে আঘাত থেকে রক্ষা করতে বড় বোন হাত দিয়ে আগলে রেখেছিল। শিশু দুটির করুণ এই ছবি ও উদ্ধারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বয়সে বড় শিশুটির নাম মারিয়াম এবং ছোট শিশুটির নাম ইলাফ। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট ইলাফকে আগলে রেখেছিল মারিয়াম। আলতো করে সহোদরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। হতে পারে তারা বিছানাতে ছিল, আর সেখানেই চাপা পড়ে।
বড় বোনকে ফিসফিস করে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে বাঁচাও, আমি তোমার জন্য সবকিছু করব। সারা জীবন চাকর হয়ে থাকব।’ এ সময় একজন উদ্ধারকারী উত্তরে বলছিলেন, ‘না, না, কী বলছ!’
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা ওই দুটি শিশুকে ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবারের ভূমিকম্পের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আটকা পড়েছিল তারা।
যখন মারিয়াম ও ইলাফকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন স্থানীয়দের উল্লাস করতে দেখা যায়। পরে দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশু দুটির বাবা মুস্তাফা জুহির আল-সাঈদ জানান, তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তান সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ঘুমাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম মাটি কাঁপছে, আর পলেস্তারা আমাদের মাথায় পড়তে শুরু করে। আমরা দুই দিন ধরে এই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা ছিলাম। এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, এই অনুভূতি যেন কারও জীবনে না আসে।’
আল-সাঈদ আরও বলেন, ‘চাপা পড়া অবস্থায় আমি এবং পরিবারের সদস্যরা উচ্চ স্বরে কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম, যেন কেউ আওয়াজ শুনতে পান। লোকজন আমাদের আওয়াজ শুনতে পান এবং আমাদের উদ্ধার করা হয়। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমরা পরিবারের সবাই বেঁচে আছি এবং যাঁরা আমাদের উদ্ধার করেছেন, তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
ভূমিকম্পের ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে যারা, তীব্র ঠান্ডায় তাদের টিকে থাকা কঠিন। আর সেখানে এখনো যারা উদ্ধার হয়নি, তাদের জীবিত পাওয়ার আশা সময়ের সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তুরস্কে ৬ হাজার ৯৫৭ জন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। অন্যদিকে সিরিয়ায় ২ হাজার ৫০০ জন মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। উদ্ধারকারীরা আটকে থাকা জীবিতদের কাছে পৌঁছতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিরিয়ার হারাম শহরের কাছে ছোট এক গ্রাম বেসনায়া-বেসিনেহ। ওই গ্রামের দুটি শিশু ভূমিকম্পের পর বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে। প্রায় দুই দিন আটকে থাকার পর তাদের ধ্বংসস্তূপের মাঝে দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। এ সময় ছোট সহোদরকে আঘাত থেকে রক্ষা করতে বড় বোন হাত দিয়ে আগলে রেখেছিল। শিশু দুটির করুণ এই ছবি ও উদ্ধারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বয়সে বড় শিশুটির নাম মারিয়াম এবং ছোট শিশুটির নাম ইলাফ। ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট্ট ইলাফকে আগলে রেখেছিল মারিয়াম। আলতো করে সহোদরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। হতে পারে তারা বিছানাতে ছিল, আর সেখানেই চাপা পড়ে।
বড় বোনকে ফিসফিস করে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে বাঁচাও, আমি তোমার জন্য সবকিছু করব। সারা জীবন চাকর হয়ে থাকব।’ এ সময় একজন উদ্ধারকারী উত্তরে বলছিলেন, ‘না, না, কী বলছ!’
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা ওই দুটি শিশুকে ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবারের ভূমিকম্পের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আটকা পড়েছিল তারা।
যখন মারিয়াম ও ইলাফকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন স্থানীয়দের উল্লাস করতে দেখা যায়। পরে দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশু দুটির বাবা মুস্তাফা জুহির আল-সাঈদ জানান, তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তান সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ঘুমাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম মাটি কাঁপছে, আর পলেস্তারা আমাদের মাথায় পড়তে শুরু করে। আমরা দুই দিন ধরে এই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা ছিলাম। এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, এই অনুভূতি যেন কারও জীবনে না আসে।’
আল-সাঈদ আরও বলেন, ‘চাপা পড়া অবস্থায় আমি এবং পরিবারের সদস্যরা উচ্চ স্বরে কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম, যেন কেউ আওয়াজ শুনতে পান। লোকজন আমাদের আওয়াজ শুনতে পান এবং আমাদের উদ্ধার করা হয়। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমরা পরিবারের সবাই বেঁচে আছি এবং যাঁরা আমাদের উদ্ধার করেছেন, তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
ভূমিকম্পের ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে যারা, তীব্র ঠান্ডায় তাদের টিকে থাকা কঠিন। আর সেখানে এখনো যারা উদ্ধার হয়নি, তাদের জীবিত পাওয়ার আশা সময়ের সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তুরস্কে ৬ হাজার ৯৫৭ জন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। অন্যদিকে সিরিয়ায় ২ হাজার ৫০০ জন মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। উদ্ধারকারীরা আটকে থাকা জীবিতদের কাছে পৌঁছতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
১১ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
১২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
১৩ ঘণ্টা আগে