সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর রাশিয়ার আফ্রিকা জুড়ে চলমান সামরিক কার্যক্রম এখন নড়বড়ে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ক্রেমলিনের মধ্যে।
ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট ডিসেম্বরের শুরুতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া থেকে দ্রুত অভিযান শুরু করেছিল। বছরের পর বছর স্থবির লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীরা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে রাজধানী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়।
রাশিয়ার বিমান হামলা সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা আসাদকে পালাতে বাধ্য করে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীরা ইদলিব শহরের সাবেক নেতা মোহাম্মদ আল-বাশিরকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
রাশিয়ার কাছে সিরিয়ার গুরুত্ব মূলত তাদের তারতুস নৌঘাঁটি এবং খামেইমিম বিমানঘাঁটির কারণে। তারতুস ঘাঁটিটি ভূমধ্যসাগরের দিকে মুখ করা এবং খামেইমিম বিমান ঘাঁটি তারতুসের উত্তরে অবস্থিত। বছরের পর বছর ধরে এই ঘাঁটিগুলো রাশিয়াকে ভূমধ্যসাগর হয়ে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং আফ্রিকার কাছাকাছি ন্যাটোর দক্ষিণ সীমান্তে প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করেছে।
তবে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় রাশিয়া তার কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া তারতুস থেকে একটি ফ্রিগেট ও একটি কার্গো জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে খামেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে সামরিক সরঞ্জামও সরানো হচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বলেছে, সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো হারালে রাশিয়ার বৈশ্বিক সামরিক কার্যক্রম এবং আফ্রিকায় তার কার্যক্রমের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
আইএসডব্লিউ-এর মতে, সিরিয়ার ঘাঁটি হারালে রাশিয়ার লজিস্টিক, রসদ সরবরাহ এবং আফ্রিকা অঞ্চলে ঘুরে ফিরে কাজ পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে। এই পরিস্থিতি বিশেষ করে লিবিয়া এবং সাহেল অঞ্চলে রাশিয়ার কার্যক্রম দুর্বল করে দেবে।
জানা গেছে, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকায় সক্রিয়। বিশেষত ভাগনার গ্রুপের মতো আধা-সামরিক সংগঠনের মাধ্যমে মালি, নাইজার এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে রাশিয়ার প্রভাব সুপ্রতিষ্ঠিত।
রুশ সামরিক বিশ্লেষক চ্যানেল ‘রাইবার’ সতর্ক করেছে—আসাদের পতন তারতুস ও খামেইমিম ঘাঁটিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই ঘাঁটিগুলো লিবিয়া ও সাহেল অঞ্চলে রাশিয়ার কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাইবার বলেছে, ‘সিরিয়া হারালে রাশিয়ার মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।’ তবে বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়া লিবিয়ার তোব্রুক বন্দর বা সুদানের পোর্ট সুদানের মতো বিকল্প ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারে বলে মত দিয়েছে চ্যানেলটি। যদিও এই বিকল্পগুলো রাশিয়ার জন্য যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল হবে।
রাশিয়ার দীর্ঘকালীন মিত্র আসাদকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়া আফ্রিকার স্বৈরশাসকদের সঙ্গে রাশিয়ার অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। আইএসডব্লিউ বলেছে, এটি রাশিয়ার ‘সুপারপাওয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্যকে’ ব্যাহত করবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর রাশিয়ার আফ্রিকা জুড়ে চলমান সামরিক কার্যক্রম এখন নড়বড়ে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ক্রেমলিনের মধ্যে।
ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট ডিসেম্বরের শুরুতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া থেকে দ্রুত অভিযান শুরু করেছিল। বছরের পর বছর স্থবির লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীরা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে রাজধানী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়।
রাশিয়ার বিমান হামলা সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা আসাদকে পালাতে বাধ্য করে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীরা ইদলিব শহরের সাবেক নেতা মোহাম্মদ আল-বাশিরকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
রাশিয়ার কাছে সিরিয়ার গুরুত্ব মূলত তাদের তারতুস নৌঘাঁটি এবং খামেইমিম বিমানঘাঁটির কারণে। তারতুস ঘাঁটিটি ভূমধ্যসাগরের দিকে মুখ করা এবং খামেইমিম বিমান ঘাঁটি তারতুসের উত্তরে অবস্থিত। বছরের পর বছর ধরে এই ঘাঁটিগুলো রাশিয়াকে ভূমধ্যসাগর হয়ে কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন এবং আফ্রিকার কাছাকাছি ন্যাটোর দক্ষিণ সীমান্তে প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করেছে।
তবে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় রাশিয়া তার কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া তারতুস থেকে একটি ফ্রিগেট ও একটি কার্গো জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে খামেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে সামরিক সরঞ্জামও সরানো হচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বলেছে, সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো হারালে রাশিয়ার বৈশ্বিক সামরিক কার্যক্রম এবং আফ্রিকায় তার কার্যক্রমের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
আইএসডব্লিউ-এর মতে, সিরিয়ার ঘাঁটি হারালে রাশিয়ার লজিস্টিক, রসদ সরবরাহ এবং আফ্রিকা অঞ্চলে ঘুরে ফিরে কাজ পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে। এই পরিস্থিতি বিশেষ করে লিবিয়া এবং সাহেল অঞ্চলে রাশিয়ার কার্যক্রম দুর্বল করে দেবে।
জানা গেছে, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকায় সক্রিয়। বিশেষত ভাগনার গ্রুপের মতো আধা-সামরিক সংগঠনের মাধ্যমে মালি, নাইজার এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে রাশিয়ার প্রভাব সুপ্রতিষ্ঠিত।
রুশ সামরিক বিশ্লেষক চ্যানেল ‘রাইবার’ সতর্ক করেছে—আসাদের পতন তারতুস ও খামেইমিম ঘাঁটিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই ঘাঁটিগুলো লিবিয়া ও সাহেল অঞ্চলে রাশিয়ার কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাইবার বলেছে, ‘সিরিয়া হারালে রাশিয়ার মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।’ তবে বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়া লিবিয়ার তোব্রুক বন্দর বা সুদানের পোর্ট সুদানের মতো বিকল্প ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারে বলে মত দিয়েছে চ্যানেলটি। যদিও এই বিকল্পগুলো রাশিয়ার জন্য যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল হবে।
রাশিয়ার দীর্ঘকালীন মিত্র আসাদকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়া আফ্রিকার স্বৈরশাসকদের সঙ্গে রাশিয়ার অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে। আইএসডব্লিউ বলেছে, এটি রাশিয়ার ‘সুপারপাওয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্যকে’ ব্যাহত করবে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে