ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা আঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘সর্বাধিক চাপ’ প্রয়োগ করে ইরানের তেল বাণিজ্যের এই পরিণতি করতে চান তিনি। গতকাল শুক্রবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘প্রতিদিন ইরান ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। এটি আমরা ১ লাখে নামানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প একটি স্মারকের মাধ্যমে ট্রেজারি বিভাগকে ইরানকে পরমাণু খাতে এগিয়ে যাওয়া রুখতে ‘সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ’ প্রয়োগের নির্দেশ দেন। ট্রাম্পে প্রথম মেয়াদে এমন নির্দেশের ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ২০১৭ সালে প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে আসে ওয়াশিংটন। তারপর শুরু হয় তাদের সর্বাধিক চাপ অভিযান। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে একটি চুক্তি করা হয়। ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।
ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ওয়াশিংটন ইরানের ওপর ‘সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ’ প্রয়োগ করতে সক্ষম। যদি আমরা তাদের ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পারে তাহলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বলে আমি মনে করি।
ইরানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশাল আকারের বাজেট ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বেসেন্ট বলেন, ‘তাদের অর্থনীতি এখন বেশ ভঙ্গুর।’
তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অর্থায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ঘোষণার পরবর্তী দিনগুলোতে তিনটি ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রেজারি বিভাগ। বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশনা পেলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ রাশিয়ান শক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াবে।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার অব্যাহতি পরিবর্তন বা বাতিল করবে এবং ট্রেজারির সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাধিক চাপ অভিযানে অংশ নেবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারবে না, যদি না তারা মধ্যস্থতাকারী এবং চীনের ক্রেতাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এ প্রসঙ্গে বেসেন্ট বলেন, ‘চীন, সম্ভবত ভারতও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানি তেল কিনছে এবং তা মেনে নেওয়া হবে না।’
ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার আশা করছেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্পের সর্বাধিক চাপ নীতির অধীনে এ সংক্রান্ত আলোচনা করা সম্ভব নয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আলোচনা দুর্বল অবস্থান থেকে পরিচালিত হতে পারে না, কারণ এটি আর আলোচনা হিসেবে গণ্য হবে না, বরং এটি এক ধরনের আত্মসমর্পণ হবে। আমরা কখনো এভাবে আলোচনা টেবিলে বসি না।’
বৈশ্বিক অর্থনীতি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চের (সিইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইরানের অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দিনপ্রতি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মিলিয়ন ব্যারেল ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক চাপ অভিযানের দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। এছাড়া, বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রায় পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে জোটের কাছে।
ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ কমিয়ে ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা আঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘সর্বাধিক চাপ’ প্রয়োগ করে ইরানের তেল বাণিজ্যের এই পরিণতি করতে চান তিনি। গতকাল শুক্রবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘প্রতিদিন ইরান ১৫ থেকে ১৬ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। এটি আমরা ১ লাখে নামানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প একটি স্মারকের মাধ্যমে ট্রেজারি বিভাগকে ইরানকে পরমাণু খাতে এগিয়ে যাওয়া রুখতে ‘সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ’ প্রয়োগের নির্দেশ দেন। ট্রাম্পে প্রথম মেয়াদে এমন নির্দেশের ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ২০১৭ সালে প্রায় ৩০ লাখ ব্যারেল থেকে ২০১৯ সালে ৪ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের যৌথ সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনা (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে আসে ওয়াশিংটন। তারপর শুরু হয় তাদের সর্বাধিক চাপ অভিযান। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে একটি চুক্তি করা হয়। ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।
ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ওয়াশিংটন ইরানের ওপর ‘সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ’ প্রয়োগ করতে সক্ষম। যদি আমরা তাদের ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পারে তাহলে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বলে আমি মনে করি।
ইরানের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশাল আকারের বাজেট ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বেসেন্ট বলেন, ‘তাদের অর্থনীতি এখন বেশ ভঙ্গুর।’
তিনি আরও দাবি করেন, ইরানের তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অর্থায়নে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের ঘোষণার পরবর্তী দিনগুলোতে তিনটি ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রেজারি বিভাগ। বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশনা পেলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ রাশিয়ান শক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াবে।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার অব্যাহতি পরিবর্তন বা বাতিল করবে এবং ট্রেজারির সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাধিক চাপ অভিযানে অংশ নেবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারবে না, যদি না তারা মধ্যস্থতাকারী এবং চীনের ক্রেতাদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এ প্রসঙ্গে বেসেন্ট বলেন, ‘চীন, সম্ভবত ভারতও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ইরানি তেল কিনছে এবং তা মেনে নেওয়া হবে না।’
ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার আশা করছেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্পের সর্বাধিক চাপ নীতির অধীনে এ সংক্রান্ত আলোচনা করা সম্ভব নয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আলোচনা দুর্বল অবস্থান থেকে পরিচালিত হতে পারে না, কারণ এটি আর আলোচনা হিসেবে গণ্য হবে না, বরং এটি এক ধরনের আত্মসমর্পণ হবে। আমরা কখনো এভাবে আলোচনা টেবিলে বসি না।’
বৈশ্বিক অর্থনীতি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চের (সিইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইরানের অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দিনপ্রতি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মিলিয়ন ব্যারেল ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওপেকের স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক চাপ অভিযানের দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। এছাড়া, বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রায় পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে জোটের কাছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে