সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতার প্রায় ৮০ শতাংশই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েল কঠোর সামরিক হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা গত দুই দিনে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে, যার মাধ্যমে সিরিয়ার বেশির ভাগ কৌশলগত অস্ত্র মজুত ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী রাতারাতি সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করেছে এবং এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অনুমান করেছে যে, তারা আসাদ সরকারের কৌশলগত সামরিক সক্ষমতার ৭০-৮০ শতাংশ ধ্বংস করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
এর ঠিক এক দিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনকে ‘এক নতুন নাটকীয় অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার সরকারের পতন আমাদের হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের বিরুদ্ধে আঘাতের প্রত্যক্ষ ফল। (প্রতিরোধ) অক্ষ এখনো পুরোপুরি বিলীন হয়নি, তবে আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম—আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি, সেটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।’
গত সোমবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে বোমা ফেলছে, যেখানে রাসায়নিক অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে এবং যাতে সেগুলো চরমপন্থীদের হাতে না পড়ে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না। তবে এখন ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
ইসরায়েলি বিমানবাহিনী পরিচালিত ৪৮০টি হামলার মধ্যে প্রায় ৩৫০টি ছিল মানব চালক বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের হামলা। এসব হামলা সিরিয়ার বিমানবন্দর, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক এবং অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনায় চালানো হয়। এসব হামলা দামেস্ক, হোমস, তারতুস, লাতাকিয়া এবং পালমিরায় করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। বাকি হামলাগুলো ছিল স্থল অভিযানের সহায়তায়, যেখানে অস্ত্রাগার, সামরিক কাঠামো, লঞ্চার এবং ফায়ারিং পজিশন লক্ষ করা হয়।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তাদের জাহাজ দুটি সিরিয়ান নৌঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যেখানে ১৫টি জাহাজ নোঙর করা ছিল। এতে বেশ কয়েকটি সমুদ্র থেকে সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির ফটোগ্রাফারদের ধারণ করা ছবিতে লাতাকিয়ায় সিরিয়ার নৌবন্দরে সামরিক জাহাজের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেজ্জেহ বিমান ঘাঁটিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত সিরিয়ান সামরিক হেলিকপ্টারের চিত্র দেখা গেছে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতার প্রায় ৮০ শতাংশই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েল কঠোর সামরিক হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা গত দুই দিনে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে, যার মাধ্যমে সিরিয়ার বেশির ভাগ কৌশলগত অস্ত্র মজুত ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী রাতারাতি সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করেছে এবং এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অনুমান করেছে যে, তারা আসাদ সরকারের কৌশলগত সামরিক সক্ষমতার ৭০-৮০ শতাংশ ধ্বংস করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
এর ঠিক এক দিন আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনকে ‘এক নতুন নাটকীয় অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার সরকারের পতন আমাদের হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের বিরুদ্ধে আঘাতের প্রত্যক্ষ ফল। (প্রতিরোধ) অক্ষ এখনো পুরোপুরি বিলীন হয়নি, তবে আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম—আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি, সেটা ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে।’
গত সোমবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে বোমা ফেলছে, যেখানে রাসায়নিক অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে এবং যাতে সেগুলো চরমপন্থীদের হাতে না পড়ে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না। তবে এখন ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
ইসরায়েলি বিমানবাহিনী পরিচালিত ৪৮০টি হামলার মধ্যে প্রায় ৩৫০টি ছিল মানব চালক বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের হামলা। এসব হামলা সিরিয়ার বিমানবন্দর, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক এবং অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনায় চালানো হয়। এসব হামলা দামেস্ক, হোমস, তারতুস, লাতাকিয়া এবং পালমিরায় করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। বাকি হামলাগুলো ছিল স্থল অভিযানের সহায়তায়, যেখানে অস্ত্রাগার, সামরিক কাঠামো, লঞ্চার এবং ফায়ারিং পজিশন লক্ষ করা হয়।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তাদের জাহাজ দুটি সিরিয়ান নৌঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যেখানে ১৫টি জাহাজ নোঙর করা ছিল। এতে বেশ কয়েকটি সমুদ্র থেকে সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির ফটোগ্রাফারদের ধারণ করা ছবিতে লাতাকিয়ায় সিরিয়ার নৌবন্দরে সামরিক জাহাজের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেজ্জেহ বিমান ঘাঁটিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত সিরিয়ান সামরিক হেলিকপ্টারের চিত্র দেখা গেছে।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৪৩ মিনিট আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
১ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৩ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৪ ঘণ্টা আগে