অনলাইন ডেস্ক
অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে লেবাননের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হিজবুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার ও হামলা বন্ধ করলে তাদের আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই।
পশ্চিমঘেঁষা প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের সময় লেবাননে অস্ত্র ব্যবহারের ওপর রাষ্ট্রের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির তিনটি রাজনৈতিক সূত্র।
গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর সিরীয় মিত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য ভেঙে পড়ার পর থেকেই হিজবুল্লাহর অস্ত্রসমর্পণের আলোচনা গতি পেয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দেড় বছরের সংঘাতে হিজবুল্লাহর বিপুলসংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে বহু অস্ত্রাগার। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। মূলত এ কারণেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে, তাদের প্রধান শর্ত—ইসরায়েলকে লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের একপর্যায়ে দক্ষিণ লেবাননে স্থলসেনা পাঠায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির সময় অন্যান্য জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পাহাড়ি এলাকা ত্যাগ না করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলে লেবাননের সেনাদের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় ইসরায়েল।
এর আগে কখনো অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে লেবানিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি হিজবুল্লাহ। এবারই প্রথম এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তবে, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন তাঁরা। এ নিয়ে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। তবে সাড়া মেলেনি। লেবানিজ প্রেসিডেন্টের দপ্তরও এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকেও ইরান সমর্থিত ১০টি সশস্ত্র গোষ্ঠী অস্ত্রসমর্পণে সম্মত হওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ ইরান–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এ থেকে বোঝা যায়, ইরান এখন কিছুটা রক্ষণাত্মক অবস্থানে আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দেশটি।
এ ছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অবস্থানও কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও কিছুটা নমনীয় হয়েছে। একদিকে তারা হিজবুল্লাহসহ ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণে জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উপায়ে সমাধানের পথ খুঁজছে। অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতদের লেবাননে পাঠানো, লেবানন সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলার মনোভাবেরই ইঙ্গিত।
অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে লেবাননের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হিজবুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার ও হামলা বন্ধ করলে তাদের আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই।
পশ্চিমঘেঁষা প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের সময় লেবাননে অস্ত্র ব্যবহারের ওপর রাষ্ট্রের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির তিনটি রাজনৈতিক সূত্র।
গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর সিরীয় মিত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য ভেঙে পড়ার পর থেকেই হিজবুল্লাহর অস্ত্রসমর্পণের আলোচনা গতি পেয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দেড় বছরের সংঘাতে হিজবুল্লাহর বিপুলসংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে বহু অস্ত্রাগার। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। মূলত এ কারণেই তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে, তাদের প্রধান শর্ত—ইসরায়েলকে লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের একপর্যায়ে দক্ষিণ লেবাননে স্থলসেনা পাঠায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির সময় অন্যান্য জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পাহাড়ি এলাকা ত্যাগ না করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলে লেবাননের সেনাদের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় ইসরায়েল।
এর আগে কখনো অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে লেবানিজ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি হিজবুল্লাহ। এবারই প্রথম এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তবে, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন তাঁরা। এ নিয়ে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রয়টার্স। তবে সাড়া মেলেনি। লেবানিজ প্রেসিডেন্টের দপ্তরও এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এর আগে, গত সোমবার ইরাকেও ইরান সমর্থিত ১০টি সশস্ত্র গোষ্ঠী অস্ত্রসমর্পণে সম্মত হওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ ইরান–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এ থেকে বোঝা যায়, ইরান এখন কিছুটা রক্ষণাত্মক অবস্থানে আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দেশটি।
এ ছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অবস্থানও কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও কিছুটা নমনীয় হয়েছে। একদিকে তারা হিজবুল্লাহসহ ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণে জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উপায়ে সমাধানের পথ খুঁজছে। অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতদের লেবাননে পাঠানো, লেবানন সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলার মনোভাবেরই ইঙ্গিত।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে