আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বশেষ হামলায় তারা ‘ফাত্তাহ’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে ভেদ করেছে। ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর ‘শেষের শুরু’ বলে উল্লেখ করেছে আইআরজিসি।
তবে ইরানের এই দাবির বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র কী?
ফাত্তাহ, আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘উন্মোচনকারী’। এটি ইরানের তৈরি প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময়, আইআরজিসি অ্যারোস্পেসের তৎকালীন প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছিলেন, ফাত্তাহ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির জন্য একটি ‘প্রজন্মগত উল্লম্ফন’। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে পরিবর্তনশীল গতিপথ অনুসরণ করতে পারে এবং যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ফাত্তাহকে অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা যাবে না কারণ এটি বিভিন্ন দিকে এবং বিভিন্ন উচ্চতায় চলাচল করে।’
গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান সেসময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ফাত্তাহ-১ একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে বর্ণনা করে ইরান। তার মানে হলো, এটি শব্দের গতির ৫ গুণ, অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মাইল বা ৬ হাজার ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলে!
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রায় সব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রই উড্ডয়নের সময় হাইপারসনিক গতিতে পৌঁছায়। বিশেষ করে যখন ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে নামতে থাকে।
ফাত্তাহ মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন অভিযানের জন্য বিভিন্ন ওয়্যারহেড ব্যবহার করতে সক্ষম।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন গবেষণা সহযোগী ফ্যাবিয়ান হিনজ এ বিষয়ে বলেন, ফাত্তাহ-১-এর একটি ‘ম্যানুভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিক্যাল’ রয়েছে। তার মানে হলো, এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে তাৎক্ষণিক দিক পরিবর্তন করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের বহু আলোচিত ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে তাদের মধ্যম পাল্লার অ্যারো সিস্টেম, ডেভিডস স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও যখন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়্যারহেড লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে তখন সেটিকে আটকানো কঠিন হয়ে যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বেশ দূর পাল্লার। এটি একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগেই প্রতিহত করার সক্ষমতা রাখে।
আরও খবর পড়ুন:

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বশেষ হামলায় তারা ‘ফাত্তাহ’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে ভেদ করেছে। ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর ‘শেষের শুরু’ বলে উল্লেখ করেছে আইআরজিসি।
তবে ইরানের এই দাবির বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র কী?
ফাত্তাহ, আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘উন্মোচনকারী’। এটি ইরানের তৈরি প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময়, আইআরজিসি অ্যারোস্পেসের তৎকালীন প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছিলেন, ফাত্তাহ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির জন্য একটি ‘প্রজন্মগত উল্লম্ফন’। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে পরিবর্তনশীল গতিপথ অনুসরণ করতে পারে এবং যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ফাত্তাহকে অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা যাবে না কারণ এটি বিভিন্ন দিকে এবং বিভিন্ন উচ্চতায় চলাচল করে।’
গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান সেসময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ফাত্তাহ-১ একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে বর্ণনা করে ইরান। তার মানে হলো, এটি শব্দের গতির ৫ গুণ, অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মাইল বা ৬ হাজার ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলে!
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রায় সব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রই উড্ডয়নের সময় হাইপারসনিক গতিতে পৌঁছায়। বিশেষ করে যখন ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে নামতে থাকে।
ফাত্তাহ মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন অভিযানের জন্য বিভিন্ন ওয়্যারহেড ব্যবহার করতে সক্ষম।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন গবেষণা সহযোগী ফ্যাবিয়ান হিনজ এ বিষয়ে বলেন, ফাত্তাহ-১-এর একটি ‘ম্যানুভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিক্যাল’ রয়েছে। তার মানে হলো, এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে তাৎক্ষণিক দিক পরিবর্তন করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের বহু আলোচিত ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে তাদের মধ্যম পাল্লার অ্যারো সিস্টেম, ডেভিডস স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও যখন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়্যারহেড লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে তখন সেটিকে আটকানো কঠিন হয়ে যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বেশ দূর পাল্লার। এটি একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগেই প্রতিহত করার সক্ষমতা রাখে।
আরও খবর পড়ুন:

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩৮ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা—যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’—এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা কেবল পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা—যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’—এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা কেবল পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
১৮ জুন ২০২৫
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
১৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩৮ মিনিট আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
১৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩৮ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত বছর, ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছিল, তেহরান ওই সময় ইসরায়েলে তাদের হামলায় নতুন ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
১৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
৩৮ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে