Ajker Patrika

সশস্ত্র সব দলকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীতে যোগ দিতে ১০ দিন সময় দিল সিরিয়া

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ১৯: ২৫
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

সিরিয়ায় যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীতে যোগ দেয়নি, সেসব গোষ্ঠীকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারহাফ আবু কাসরা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধান সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একীভূত হয়েছে। কিন্তু ছোট কিছু গোষ্ঠী এখনো বাইরে রয়েছে। তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা ঘোষণার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়, যেন একীকরণ ও সংগঠনের কাজ সম্পন্ন করা যায়।’

এ সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, ‘এই সময়সীমার মধ্যে কেউ যোগ না দিলে প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে বিবৃতিতে অবশিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিংবা কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়নি।

বিবৃতিতে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর অধীনস্থ ইউনিটগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছে, ‘তাদের সহযোগিতা ও দায়বদ্ধতা আমাদের এই প্রয়াসকে সফল করছে।’

আজ রোববার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ১৩ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ ও দেশজুড়ে বিভাজনের পর সিরিয়ার সদ্য প্রতিষ্ঠিত সরকার জাতীয় ঐক্য ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে গত বছর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন।

এরপর যেসব গোষ্ঠী অস্ত্র ফেলে দিয়েছে, তাদের ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একীভূত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার নতুন সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের জন্য নিয়োগ অভিযান চালাচ্ছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দেরা, উত্তরাঞ্চলের তুরস্ক-সমর্থিত গোষ্ঠী এবং ইসলামপন্থী মিলিশিয়ারা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এর আওতায় তাদের বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে আনা হবে। তবে এই চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

এদিকে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনো তাদের অস্ত্র সংরক্ষণ করে নিজ নিজ অঞ্চলে প্রভাব ধরে রেখেছে। বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল শাম ও তাদের মিত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো এখনো ইদলিব ও দামেস্কে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। আল নুসরা ফ্রন্ট নামে পূর্বে পরিচিত এই গোষ্ঠী ২০১৬ সাল পর্যন্ত আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অনেকেই এখনো তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।

প্রেসিডেন্ট আল-শারা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। এই দুটি বিষয়ই যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার প্রধান শর্ত বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত সিরিয়ার অর্থনীতি আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছে। এই অবস্থায় সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আসাদ আমলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। উপসাগরীয় দেশগুলো সফরের সময় আল-শারা ও ট্রাম্পের এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে। এই বিষয়টিকে প্রেসিডেন্ট আল-শারার জন্য বড় এক কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আসতে পারে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

নূর ধান-২: এক চালেই হবে ভাত পোলাও খিচুড়ি বিরিয়ানি তেহারি

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে বাঁচতে পারবে না বাংলাদেশ: বিজেপি নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত