Ajker Patrika

পরমাণু স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধ না করলে পরিদর্শনের অনুমতি দেবে না ইরান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের পারমাণবিক বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬৯তম সাধারণ সম্মেলনে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধে প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ইরান। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সোমবার থেকে ভিয়েনায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর আইএইএর পরিদর্শন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে পৌঁছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইএইএ বারবার পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে হামলা নিন্দা করলেও ইরানে হামলার ক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষ থেকেছে।’

ইরানি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, প্রস্তাবটি যাতে আলোচনাতেই আটকে যায় তার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের উপ-পরমাণু প্রধান বেহরুজ কামালভান্দি অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন সংস্থাটিকে সহায়তা বন্ধের হুমকিও দিয়েছে। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, অতীতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আইএইএ-র সাধারণ সম্মেলনে এ রকম প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ১৯৮১ সালে গৃহীত নিরাপত্তা পরিষদের ৪৮৭ নম্বর প্রস্তাবে ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলাকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানানো হয়েছিল।

এ ছাড়া ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে আইএইএ সাধারণ সম্মেলনেও পারমাণবিক স্থাপনা সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রস্তাব পাস হয়। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে আইএইএ-র বোর্ড চারটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইরানের বিরুদ্ধে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইএইএ কেউই প্রমাণ পায়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে।

গত জুনে আইএইএ ইরানের অনিয়মের অভিযোগ তোলার পরদিনই ইসরায়েল দেশটিতে হামলা শুরু করে। ১২ দিনব্যাপী ওই যুদ্ধে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় কয়েকশ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গত সপ্তাহে কায়রোতে আইএইএ’র সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। চুক্তি অনুযায়ী, বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলোসহ সব স্থাপনায় পরিদর্শন চালানো যাবে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

তবে ইরানি পার্লামেন্টের কট্টরপন্থীরা এ চুক্তির বিরোধিতা করছে। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত পরিদর্শন নতুন হামলার পথ খুলে দিতে পারে। এ কারণে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ স্পষ্ট করেছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যদি কোনো বৈরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়—যেমন জাতিসংঘের পূর্বে বাতিল হওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল—তাহলে পরিদর্শন ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত হবে।’

ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই ২০১৫ সালের চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কার্যকর হলে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা পুনরায় জারি হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিক্ষোভ থেকে সহিংসতায় উত্তাল ভাঙ্গা, মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত অনেকে

সন্তানের গলা কেটে লাশ বাবার হাতে তুলে দিলেন মা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত