Ajker Patrika

লিবিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২৩, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা

আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১: ০৮
লিবিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২৩, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা

লিবিয়ার ত্রিপোলিতে সরকারসমর্থিত মিলিশিয়াদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত দুই বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ। দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।

দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র মালেক মারসেত বলেছেন, ‘নিহতদের মধ্যে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মুস্তাফা বারাকা রয়েছেন। তিনি সরকারসমর্থিত মিলিশিয়াদের দুর্নীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৌতুকপূর্ণ ভিডিও পোস্ট করতেন।’

জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা যুদ্ধে আটকে পড়া আহত এবং বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন মালেক মারসেত। তিনি বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ১৪০ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত ৬৪ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যোদ্ধারা রাজধানীর হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে গোলাবর্ষণ করেছে এবং অ্যাম্বুলেন্স যেতে বাধা দিয়েছে। 

আল-জাজিরার সাংবাদিক মালিক ট্রেনা বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বড় ধরনের যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা করছেন। 

লিবিয়ায় আবদুল হামিদ আল-বেইবাহর অধীনে থাকা ত্রিপোলির জাতীয় ঐক্যের সরকার এবং ফাতহি বাশাঘার অধীন এক বিরোধী প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বাশাঘার প্রশাসনটিকে পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সংসদ সমর্থন দিয়েছে।

বাশাঘাকে সমর্থন দিচ্ছেন পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক শক্তিতে বলীয়ান খলিফা হাফতার। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু খলিফা হাফতার এখনো ত্রিপোলির ক্ষমতা দখল করতে পারেননি। কারণ বেইবাহ স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁরা নির্বাচিত সরকার ছাড়া অন্য কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না।’ 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বাশাঘার বাহিনী শনিবার বিভিন্ন দিক থেকে ত্রিপোলির অঞ্চল দখল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা রাজধানীতে পৌঁছানোর আগে বাধা পেয়েছে এবং উপকূলীয় শহর মিসরাতার দিকে ফিরে গেছে।

এদিকে ত্রিপোলির চারপাশে সেনাঘাঁটি রয়েছে তুরস্কের। তারা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে, আমরা লিবিয়ান ভাইদের পাশে আছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত