Ajker Patrika

ইসরায়েল প্রথমবার ঠেকিয়ে দিলেও আরেক জাহাজ নিয়ে গাজা অভিমুখে গ্রেটা থুনবার্গ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সুইডিশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ আবারও গাজার উদ্দেশে ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে রওনা দিয়েছেন। আজ রোববার স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করা এই নৌবহরের লক্ষ্য ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেটার নৌবহরকে বিদায় জানাতে বার্সেলোনার বন্দরে জড়ো হন হাজারো মানুষ। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ও ‘এটা যুদ্ধ নয়, গণহত্যা’ স্লোগান দিয়ে জাহাজগুলোকে বিদায় জানান।

সফর শুরুর আগে থুনবার্গ বলেন, ‘এটি এমন এক মিশন, যা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে সেই সহিংস আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে, যে ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আইন রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’ এটি থুনবার্গের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এর আগে গত জুনে তিনি অন্য কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী তাঁদের ছোট্ট জাহাজ আটক করে এবং তাঁদের ইসরায়েল থেকে বের করে দেয়।

২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল গাজায় নৌ অবরোধ চালু রেখেছে। দেশটি বলছে, হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল এর আগের প্রচেষ্টা এবং থুনবার্গের জুনের উদ্যোগকেও ‘হামাসপন্থী প্রচারণা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

অন্যদিকে নৌবহরের আয়োজকেরা বলছেন, বিশ্বনেতারা ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল হাঙ্গার মনিটরের তথ্যমতে, গাজার কিছু অংশ ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষে ভুগছে।

এবারের নৌবহরের সমন্বয় কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আকর জানান, গ্রিস, ইতালি ও তিউনিসিয়া থেকে আরও কিছু নৌযান এই বহরে যোগ দেবে।

ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর জেনোয়া থেকে কিছু স্থানীয় মানুষ ও কয়েকটি সংগঠন প্রায় ২৫০ টন খাদ্য সংগ্রহ করেছে। এর কিছু অংশ রোববার জেনোয়া থেকে রওনা হওয়া নৌযানে তোলা হয়। বাকি অংশ সিসিলির কাটানিয়া বন্দরে পাঠানো হবে, সেখান থেকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর গাজামুখী জাহাজে রওনা দেবে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এই যুদ্ধ অবরুদ্ধ গাজাকে এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চবি শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে সংঘর্ষে ‘উসকানি’ দেওয়া উদয় কুসুমকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

নেত্রকোনায় হত্যার প্রতিশোধ নিতে পাল্টা হামলা, নিহত ২

এআই চ্যাটবটকে যে ১০ তথ্য কখনো দেবেন না

ছাত্রীকে এক থাপ্পড়ে রণক্ষেত্র চবি এলাকা

রাজধানীতে যানজট নিরসনে নতুন সিগন্যাল-ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত