আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজার দুর্ভিক্ষের চিত্র স্পষ্ট ওই ভিডিও দুটিতে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে হাড়-জিরজিরে হয়ে পড়েছে জিম্মিদের শরীর। হাঁটাচলা, এমনকি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই তাঁদের। গত বৃহস্পতিবার এই ভিডিওগুলো প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনাহারে হাড্ডিসার হয়ে গাজার দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু যাদের নাড়াতে পারেনি, এই দুই ইসরায়েলির জীর্ণ শরীর দেখে যেন রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ, শোকস্তব্ধ আর ক্রুদ্ধ বিশ্ব মোড়ল পশ্চিমা নেতারা। একের পর এক বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, ঠিক কার ওপর কেন ক্ষুব্ধ তাঁরা, তা নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশকে ‘বীভৎস’ আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তাঁর ভাষ্য—প্রচারণার জন্য জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস, যা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়। অবিলম্বে বিনা শর্তে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। ভিডিওগুলো দেখে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মের্ৎস। তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ‘জিম্মি মুক্তি’ হতে হবে প্রধান শর্ত। যদিও হামাস কখনো জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়নি, তারপরও তিনি কেন এ কথা বললেন তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে, এই ভিডিও প্রকাশকে হামাসের চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এ সময় তিনি আরও বলেন, সব জিম্মির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যারিস। এ সময় তিনি সংকট নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর আবারও জোর দেন।
উল্লেখ্য, হামাস প্রকাশিত ওই ভিডিওতে ব্রাসলাভস্কি ও ডেভিড নামে দুই জিম্মিকে দেখা যায়। তাঁদের দুজনেরই বয়স ২০-এর কোঠায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাঁদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। প্রকাশিত ভিডিওর প্রথমটিতে দেখা যায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে ব্রাসলাভস্কি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমাদের খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেছে। আজ আমি শুধু তিনটি ফালাফেল (ছোলা বা ডাবরির চপ) খেয়েছি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই আমার।’
অন্য ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডেভিড মাটি খুঁড়ছে। জানান, এটি তাঁর কবর হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন ধরে অভুক্ত। সামান্য পানি পেয়েছিলাম, তা-ও উল্লেখ করার মতো নয়।’
ভিডিও দুটি প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না জিম্মিদের স্বজনেরা। এমন পরিস্থিতে চাপের মুখে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ‘অবিরাম ও নিরলসভাবে’ চলতে থাকবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। গতকাল রোববার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের গাজা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের কাছে অবিলম্বে খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে তাদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গতকাল এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও খাদ্যসহায়তা দিতে সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘হামাস গাজায় অনাহার-দুর্ভিক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে ইসরায়লিদেরই অভুক্ত রাখা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে অনাহার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রেড ক্রস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। হামাসকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, যেন রেড ক্রসকে জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আরও জানায়, প্রকাশিত ওই দুই ভিডিও দেখে তারা মর্মাহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তারা লিখেছে, ‘প্রকাশিত ভিডিওগুলো বিভীষিকাময়। গাজায় জিম্মিরা কী অবস্থায় রয়েছে—এগুলো তার প্রমাণ। জিম্মিদের পরিবার এসব ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’

গাজায় তিন মাস ধরে চরম দুর্ভিক্ষের পর ওই দুই ইসরায়েলির ভিডিও দেখে হঠাৎ পুরো বিশ্বের এমন টনক নড়া দেখে গতকাল অবশেষে মুখ খুলেছে হামাস। গতকাল গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়। রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের সহায়তা পৌঁছাতে হলে গাজা উপত্যকার সব এলাকায় আমাদের জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে মানবিক করিডরগুলোকে স্বাভাবিক ও স্থায়ীভাবে খোলা রাখতে হবে। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখতে হবে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩ জনই শিশু।
জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এবং ইসরায়েলের কয়েকজন মিত্র এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি অবরোধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, সংকটের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ‘কেবল হামাস’।

সম্প্রতি দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজার দুর্ভিক্ষের চিত্র স্পষ্ট ওই ভিডিও দুটিতে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে হাড়-জিরজিরে হয়ে পড়েছে জিম্মিদের শরীর। হাঁটাচলা, এমনকি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই তাঁদের। গত বৃহস্পতিবার এই ভিডিওগুলো প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনাহারে হাড্ডিসার হয়ে গাজার দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু যাদের নাড়াতে পারেনি, এই দুই ইসরায়েলির জীর্ণ শরীর দেখে যেন রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ, শোকস্তব্ধ আর ক্রুদ্ধ বিশ্ব মোড়ল পশ্চিমা নেতারা। একের পর এক বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, ঠিক কার ওপর কেন ক্ষুব্ধ তাঁরা, তা নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশকে ‘বীভৎস’ আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তাঁর ভাষ্য—প্রচারণার জন্য জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস, যা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়। অবিলম্বে বিনা শর্তে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। ভিডিওগুলো দেখে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মের্ৎস। তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ‘জিম্মি মুক্তি’ হতে হবে প্রধান শর্ত। যদিও হামাস কখনো জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়নি, তারপরও তিনি কেন এ কথা বললেন তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে, এই ভিডিও প্রকাশকে হামাসের চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এ সময় তিনি আরও বলেন, সব জিম্মির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যারিস। এ সময় তিনি সংকট নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর আবারও জোর দেন।
উল্লেখ্য, হামাস প্রকাশিত ওই ভিডিওতে ব্রাসলাভস্কি ও ডেভিড নামে দুই জিম্মিকে দেখা যায়। তাঁদের দুজনেরই বয়স ২০-এর কোঠায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাঁদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। প্রকাশিত ভিডিওর প্রথমটিতে দেখা যায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে ব্রাসলাভস্কি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমাদের খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেছে। আজ আমি শুধু তিনটি ফালাফেল (ছোলা বা ডাবরির চপ) খেয়েছি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই আমার।’
অন্য ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডেভিড মাটি খুঁড়ছে। জানান, এটি তাঁর কবর হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন ধরে অভুক্ত। সামান্য পানি পেয়েছিলাম, তা-ও উল্লেখ করার মতো নয়।’
ভিডিও দুটি প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না জিম্মিদের স্বজনেরা। এমন পরিস্থিতে চাপের মুখে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ‘অবিরাম ও নিরলসভাবে’ চলতে থাকবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। গতকাল রোববার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের গাজা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের কাছে অবিলম্বে খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে তাদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গতকাল এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও খাদ্যসহায়তা দিতে সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘হামাস গাজায় অনাহার-দুর্ভিক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে ইসরায়লিদেরই অভুক্ত রাখা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে অনাহার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রেড ক্রস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। হামাসকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, যেন রেড ক্রসকে জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আরও জানায়, প্রকাশিত ওই দুই ভিডিও দেখে তারা মর্মাহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তারা লিখেছে, ‘প্রকাশিত ভিডিওগুলো বিভীষিকাময়। গাজায় জিম্মিরা কী অবস্থায় রয়েছে—এগুলো তার প্রমাণ। জিম্মিদের পরিবার এসব ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’

গাজায় তিন মাস ধরে চরম দুর্ভিক্ষের পর ওই দুই ইসরায়েলির ভিডিও দেখে হঠাৎ পুরো বিশ্বের এমন টনক নড়া দেখে গতকাল অবশেষে মুখ খুলেছে হামাস। গতকাল গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়। রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের সহায়তা পৌঁছাতে হলে গাজা উপত্যকার সব এলাকায় আমাদের জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে মানবিক করিডরগুলোকে স্বাভাবিক ও স্থায়ীভাবে খোলা রাখতে হবে। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখতে হবে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩ জনই শিশু।
জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এবং ইসরায়েলের কয়েকজন মিত্র এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি অবরোধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, সংকটের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ‘কেবল হামাস’।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজার দুর্ভিক্ষের চিত্র স্পষ্ট ওই ভিডিও দুটিতে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে হাড়-জিরজিরে হয়ে পড়েছে জিম্মিদের শরীর। হাঁটাচলা, এমনকি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই তাঁদের। গত বৃহস্পতিবার এই ভিডিওগুলো প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনাহারে হাড্ডিসার হয়ে গাজার দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু যাদের নাড়াতে পারেনি, এই দুই ইসরায়েলির জীর্ণ শরীর দেখে যেন রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ, শোকস্তব্ধ আর ক্রুদ্ধ বিশ্ব মোড়ল পশ্চিমা নেতারা। একের পর এক বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, ঠিক কার ওপর কেন ক্ষুব্ধ তাঁরা, তা নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশকে ‘বীভৎস’ আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তাঁর ভাষ্য—প্রচারণার জন্য জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস, যা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়। অবিলম্বে বিনা শর্তে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। ভিডিওগুলো দেখে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মের্ৎস। তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ‘জিম্মি মুক্তি’ হতে হবে প্রধান শর্ত। যদিও হামাস কখনো জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়নি, তারপরও তিনি কেন এ কথা বললেন তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে, এই ভিডিও প্রকাশকে হামাসের চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এ সময় তিনি আরও বলেন, সব জিম্মির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যারিস। এ সময় তিনি সংকট নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর আবারও জোর দেন।
উল্লেখ্য, হামাস প্রকাশিত ওই ভিডিওতে ব্রাসলাভস্কি ও ডেভিড নামে দুই জিম্মিকে দেখা যায়। তাঁদের দুজনেরই বয়স ২০-এর কোঠায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাঁদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। প্রকাশিত ভিডিওর প্রথমটিতে দেখা যায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে ব্রাসলাভস্কি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমাদের খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেছে। আজ আমি শুধু তিনটি ফালাফেল (ছোলা বা ডাবরির চপ) খেয়েছি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই আমার।’
অন্য ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডেভিড মাটি খুঁড়ছে। জানান, এটি তাঁর কবর হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন ধরে অভুক্ত। সামান্য পানি পেয়েছিলাম, তা-ও উল্লেখ করার মতো নয়।’
ভিডিও দুটি প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না জিম্মিদের স্বজনেরা। এমন পরিস্থিতে চাপের মুখে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ‘অবিরাম ও নিরলসভাবে’ চলতে থাকবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। গতকাল রোববার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের গাজা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের কাছে অবিলম্বে খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে তাদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গতকাল এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও খাদ্যসহায়তা দিতে সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘হামাস গাজায় অনাহার-দুর্ভিক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে ইসরায়লিদেরই অভুক্ত রাখা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে অনাহার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রেড ক্রস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। হামাসকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, যেন রেড ক্রসকে জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আরও জানায়, প্রকাশিত ওই দুই ভিডিও দেখে তারা মর্মাহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তারা লিখেছে, ‘প্রকাশিত ভিডিওগুলো বিভীষিকাময়। গাজায় জিম্মিরা কী অবস্থায় রয়েছে—এগুলো তার প্রমাণ। জিম্মিদের পরিবার এসব ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’

গাজায় তিন মাস ধরে চরম দুর্ভিক্ষের পর ওই দুই ইসরায়েলির ভিডিও দেখে হঠাৎ পুরো বিশ্বের এমন টনক নড়া দেখে গতকাল অবশেষে মুখ খুলেছে হামাস। গতকাল গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়। রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের সহায়তা পৌঁছাতে হলে গাজা উপত্যকার সব এলাকায় আমাদের জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে মানবিক করিডরগুলোকে স্বাভাবিক ও স্থায়ীভাবে খোলা রাখতে হবে। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখতে হবে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩ জনই শিশু।
জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এবং ইসরায়েলের কয়েকজন মিত্র এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি অবরোধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, সংকটের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ‘কেবল হামাস’।

সম্প্রতি দুই জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজার দুর্ভিক্ষের চিত্র স্পষ্ট ওই ভিডিও দুটিতে। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে হাড়-জিরজিরে হয়ে পড়েছে জিম্মিদের শরীর। হাঁটাচলা, এমনকি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই তাঁদের। গত বৃহস্পতিবার এই ভিডিওগুলো প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। অনাহারে হাড্ডিসার হয়ে গাজার দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু যাদের নাড়াতে পারেনি, এই দুই ইসরায়েলির জীর্ণ শরীর দেখে যেন রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ, শোকস্তব্ধ আর ক্রুদ্ধ বিশ্ব মোড়ল পশ্চিমা নেতারা। একের পর এক বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে, ঠিক কার ওপর কেন ক্ষুব্ধ তাঁরা, তা নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশকে ‘বীভৎস’ আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। তাঁর ভাষ্য—প্রচারণার জন্য জিম্মিদের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস, যা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়। অবিলম্বে বিনা শর্তে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। ভিডিওগুলো দেখে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মের্ৎস। তিনি বলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ‘জিম্মি মুক্তি’ হতে হবে প্রধান শর্ত। যদিও হামাস কখনো জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়নি, তারপরও তিনি কেন এ কথা বললেন তা পরিষ্কার নয়।
এদিকে, এই ভিডিও প্রকাশকে হামাসের চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এ সময় তিনি আরও বলেন, সব জিম্মির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্যারিস। এ সময় তিনি সংকট নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর আবারও জোর দেন।
উল্লেখ্য, হামাস প্রকাশিত ওই ভিডিওতে ব্রাসলাভস্কি ও ডেভিড নামে দুই জিম্মিকে দেখা যায়। তাঁদের দুজনেরই বয়স ২০-এর কোঠায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাঁদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। প্রকাশিত ভিডিওর প্রথমটিতে দেখা যায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে ব্রাসলাভস্কি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমাদের খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেছে। আজ আমি শুধু তিনটি ফালাফেল (ছোলা বা ডাবরির চপ) খেয়েছি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও নেই আমার।’
অন্য ভিডিওটিতে দেখা যায়, ডেভিড মাটি খুঁড়ছে। জানান, এটি তাঁর কবর হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েক দিন ধরে অভুক্ত। সামান্য পানি পেয়েছিলাম, তা-ও উল্লেখ করার মতো নয়।’
ভিডিও দুটি প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না জিম্মিদের স্বজনেরা। এমন পরিস্থিতে চাপের মুখে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ‘অবিরাম ও নিরলসভাবে’ চলতে থাকবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। গতকাল রোববার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের গাজা শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের কাছে অবিলম্বে খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে তাদের কাছে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গতকাল এক পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিম্মিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও খাদ্যসহায়তা দিতে সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।’ ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘হামাস গাজায় অনাহার-দুর্ভিক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে ইসরায়লিদেরই অভুক্ত রাখা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে অনাহার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
রেড ক্রস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। হামাসকে তারা আহ্বান জানিয়েছে, যেন রেড ক্রসকে জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আরও জানায়, প্রকাশিত ওই দুই ভিডিও দেখে তারা মর্মাহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তারা লিখেছে, ‘প্রকাশিত ভিডিওগুলো বিভীষিকাময়। গাজায় জিম্মিরা কী অবস্থায় রয়েছে—এগুলো তার প্রমাণ। জিম্মিদের পরিবার এসব ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’

গাজায় তিন মাস ধরে চরম দুর্ভিক্ষের পর ওই দুই ইসরায়েলির ভিডিও দেখে হঠাৎ পুরো বিশ্বের এমন টনক নড়া দেখে গতকাল অবশেষে মুখ খুলেছে হামাস। গতকাল গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়। রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের সহায়তা পৌঁছাতে হলে গাজা উপত্যকার সব এলাকায় আমাদের জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে মানবিক করিডরগুলোকে স্বাভাবিক ও স্থায়ীভাবে খোলা রাখতে হবে। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখতে হবে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় অন্তত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩ জনই শিশু।
জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এবং ইসরায়েলের কয়েকজন মিত্র এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলি অবরোধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে আরোপিত বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, সংকটের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ‘কেবল হামাস’।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়।’ রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে, জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৫
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়।’ রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে, জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কোনো সমাধান ছাড়াই তৃতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ আগে তালেবান দাবি করে, সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
দুই দিনব্যাপী আলোচনা ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, দুই দিনের আলোচনা সৎ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হয়েছিল। তালেবান আশা করেছিল, ইসলামাবাদ ‘একটি মৌলিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বাস্তবসম্মত এবং বাস্তবায়নযোগ্য দাবি’ পেশ করবে।
কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, আলোচনায় পাকিস্তান তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার দায় সম্পূর্ণভাবে আফগান সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে অথচ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কিংবা নিজেদের দায়িত্ব পালনে কোনো সদিচ্ছা দেখায়নি।
মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান আলোচনায় ‘দায়িত্বহীন ও অসহযোগিতামূলক মনোভাব’ দেখিয়েছে, ফলে আলোচনার কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তালেবান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি এবং সেটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের বিবৃতির তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুক্রবার ইসলামাবাদও স্বীকার করে, যে আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ইসলামাবাদ ‘আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না।’
পাকিস্তানের অভিযোগ, কাবুল সরকার ২০২১ সালের দোহা শান্তি চুক্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তান পাকিস্তানি তালেবানের (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি) মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালায়। তবে তালেবান পাকিস্তানের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা কোনো দেশকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড চালাতে দেব না, তেমনি অন্য কোনো দেশকেও আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেব না।’
জবিউল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমাদের বন্ধু ও ভাই, কিন্তু ‘যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে আফগানিস্তান দৃঢ়ভাবে প্রতিরক্ষা করবে।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আফগান সীমান্ত এলাকায় ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তালেবানের হামলায় তাদের ২৩ জন সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি।

কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়।’ রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে, জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

নির্বাচনী সহিংসতার পর কমপক্ষে ২৪০ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তানজানিয়ার একটি আদালত।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সামিয়া সুলুহু হাসান ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় তারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করে।
ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বলা হচ্ছে, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সহিংসতার ব্যাপ্তি কমিয়ে দেখিয়েছে এবং দাবি করেছে, নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ছিল।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর বহু মানুষকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার এস সালামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। আদালতে তাদের এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন জানাতে বলা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার উদ্দেশে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে তানজানিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বদলে সাধারণত তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।
দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে।
গতকাল যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকার দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেনিফার জোভিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শ্যাল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভকারীদের গ্যাস মাস্ক কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও রয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।

কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়।’ রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গাজার সব মানুষ যেমন আছে, জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।’
০৪ আগস্ট ২০২৫
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
১ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে তালেবান সরকার। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ সত্ত্বেও তালেবান জানিয়েছে, আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে