আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ছোট্ট মেয়েটি ব্যথার তীব্রতায় কাতরাচ্ছিল, কাঁদছিল। বারবার ‘মা’ ‘মা’ বলে চিৎকার করছিল। তবু ব্যথা ও চেতনানাশক ছাড়াই মেয়েটিকে চেপে ধরে তার মাথার ক্ষত সেলাই করছিলেন একজন নার্স। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ, আল শিফা হাসপাতালে ব্যথা ও চেতনানাশকের মজুত ফুরিয়ে গেছে। ফলে এসব ছাড়াই চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার এই হাসপাতালে। এমনকি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারও হচ্ছে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই। খবর রয়টার্সের।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পরের মুহূর্তগুলোকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় বলে মনে করেন হাসপাতালটির নার্স আবু এমাদ হাসনাইন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি খুব কাছ থেকে অসংখ্য আহত মানুষের আর্তনাদ শুনেছেন। অগণিত মানুষের লাশের স্তূপ দেখেছেন।
ব্যথা উপশম ও চেতনানাশক ওষুধের ঘাটতির মধ্যেই আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তিনিসহ গাজার অন্য চিকিৎসক ও তাঁদের সহযোগীরা। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানিন বলেন, ‘কখনো কখনো রোগীদের ব্যথা কমানোর জন্য জীবাণুমুক্ত গজ মুখে কামড় দিয়ে ধরে থাকতে দিই আমরা।’ শিশুটিকে দেখিয়ে হাসানিন বলেন, শিশুদের ব্যথা সহ্য করার মতো না। তাদের বয়সের চেয়ে ব্যথা সহ্য করতে হচ্ছে কয়েক গুণ।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহত হন মধ্যবয়সী নেমার আবু থাইর। পিঠের ক্ষতস্থানে জীবাণুনাশক দিয়ে ড্রেসিং করার জন্য আল শিফা হাসপাতালে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ক্ষতটি সেলাই করার সময় কোনো ব্যথা উপশমের ওষুধ দেওয়া হয়নি। সেলাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম।’
আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমেয়াহ বলেন, যখন একই সময়ে খুব বেশি আহত রোগীকে আনা হয়, তখন ব্যথানাশক ছাড়া তাঁদের চিকিৎসা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। উদাহরণ হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর আল আহলি আরব হাসপাতালে হামলার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সেলমেয়াহ আরও বলেন, ‘ওই বিস্ফোরণের পরপরই আল শিফা হাসপাতালে অন্তত ২৫০ রোগী আসে। কিন্তু আমাদের মাত্র ১২টি অস্ত্রোপচারকক্ষ রয়েছে। আমরা যদি একজন করে অস্ত্রোপচার করার জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে আমরা আহত অনেক ব্যক্তিকে হারাতাম।’
হাসপাতালটির পরিচালক আরও বলেন, ‘রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অপারেশন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যানেসথেসিয়া বা দুর্বল ব্যথানাশক ব্যবহার করা হয়েছিল।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ইতিমধ্যে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ছোট্ট মেয়েটি ব্যথার তীব্রতায় কাতরাচ্ছিল, কাঁদছিল। বারবার ‘মা’ ‘মা’ বলে চিৎকার করছিল। তবু ব্যথা ও চেতনানাশক ছাড়াই মেয়েটিকে চেপে ধরে তার মাথার ক্ষত সেলাই করছিলেন একজন নার্স। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ, আল শিফা হাসপাতালে ব্যথা ও চেতনানাশকের মজুত ফুরিয়ে গেছে। ফলে এসব ছাড়াই চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার এই হাসপাতালে। এমনকি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারও হচ্ছে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই। খবর রয়টার্সের।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পরের মুহূর্তগুলোকে নিজের জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় বলে মনে করেন হাসপাতালটির নার্স আবু এমাদ হাসনাইন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি খুব কাছ থেকে অসংখ্য আহত মানুষের আর্তনাদ শুনেছেন। অগণিত মানুষের লাশের স্তূপ দেখেছেন।
ব্যথা উপশম ও চেতনানাশক ওষুধের ঘাটতির মধ্যেই আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তিনিসহ গাজার অন্য চিকিৎসক ও তাঁদের সহযোগীরা। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানিন বলেন, ‘কখনো কখনো রোগীদের ব্যথা কমানোর জন্য জীবাণুমুক্ত গজ মুখে কামড় দিয়ে ধরে থাকতে দিই আমরা।’ শিশুটিকে দেখিয়ে হাসানিন বলেন, শিশুদের ব্যথা সহ্য করার মতো না। তাদের বয়সের চেয়ে ব্যথা সহ্য করতে হচ্ছে কয়েক গুণ।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহত হন মধ্যবয়সী নেমার আবু থাইর। পিঠের ক্ষতস্থানে জীবাণুনাশক দিয়ে ড্রেসিং করার জন্য আল শিফা হাসপাতালে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ক্ষতটি সেলাই করার সময় কোনো ব্যথা উপশমের ওষুধ দেওয়া হয়নি। সেলাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম।’
আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলমেয়াহ বলেন, যখন একই সময়ে খুব বেশি আহত রোগীকে আনা হয়, তখন ব্যথানাশক ছাড়া তাঁদের চিকিৎসা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। উদাহরণ হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর আল আহলি আরব হাসপাতালে হামলার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সেলমেয়াহ আরও বলেন, ‘ওই বিস্ফোরণের পরপরই আল শিফা হাসপাতালে অন্তত ২৫০ রোগী আসে। কিন্তু আমাদের মাত্র ১২টি অস্ত্রোপচারকক্ষ রয়েছে। আমরা যদি একজন করে অস্ত্রোপচার করার জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে আমরা আহত অনেক ব্যক্তিকে হারাতাম।’
হাসপাতালটির পরিচালক আরও বলেন, ‘রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই অপারেশন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যানেসথেসিয়া বা দুর্বল ব্যথানাশক ব্যবহার করা হয়েছিল।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ইতিমধ্যে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগে